হাসি – কান্না, দুঃখ – বেদনা, আনন্দ – কষ্ট, ইত্যাদি জীবনের এক একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই একজনের জীবনে কষ্ট থাকাটাই স্বাভাবিক। তবেঁ, সেই কষ্টের উৎসটা যদি হয় অস্বাভাবিক সেটাই মনঃপীড়ার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
মানব জীবনে সাধারণত দুই ধরনের কষ্ট হয়। ১) অন্যের দ্বারা পাওয়া কষ্ট ২) নিজের দ্বারা পাওয়া কষ্ট। এখন এই কষ্টকে কীভাবে অতিক্রম করে হাসি – খুশি থাকা যায়, তা আমাদের শিখতে হবে। আর তা না হলে দুঃখ – কষ্ট আমাদেরকে তাদের দাসে পরিণত করবে।
কেউ যদি আপনাকে হালকা কষ্ট দেয়, তাহলে যার জন্য কষ্ট পাচ্ছেন তাকে ক্ষমা করে দেয়াটাই হবে উত্তম। এতে করে কষ্টটা অনেক কমে যাবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে সেই ছোট হয়েছে। আমি তার ছোট হওয়ার দায় ভার নিজে নিয়ে নিজেকে কষ্ট দেব কেন?
যদি কোন কারনে নিজের কাজের দ্বারা নিজেই কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে, প্রথমে নিজেকে ক্ষমা করে দিন। তারপর সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং তা সংশোধন করে এগিয়ে চলুন।
সব সময় হাসিখুশি থাকতে গেলে নীচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে চেষ্টা করুন –
১) ইতিবাচক বই পড়ুনঃ একশন ধর্মী কিংবা খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, মারামারি, কাটাকাটির গল্প সম্বলিত বই এড়িয়ে চলুন। ধর্মীয় কিংবা নিরেট মৌলিক আনন্দ দান করে এমন বই পড়ুন।
২) হাসির গল্প পড়ুনঃ কৌতুক, কমিক, রম্যরচনা জাতীয় বই বা গল্প পড়ুন।
৩) রান্না করে নিজে খান ও সবাইকে খাওয়ানঃ নিজের রান্নার প্রশংসা শুনতে কে না ভালবাসে? বিশেষ করে মহিলারা! তাই চেষ্টা করুন নতুন কোন আইটেম রান্না করতে এবং পরিবারের সবাইকে তো বটেই, বন্ধু – বান্ধব, আত্মীয় – স্বজনদেরও খাওয়াতে চেষ্টা করুন। নিখাদ আনন্দ পাবেন।
৪) গাছের যত্ন নিনঃ অবসরে সময় কাটান বাগানে। চেষ্টা করুন একটি নিজের বাগান তৈরী করতে। প্রতিদিন গাছ লাগানো ও পরিচর্যায় সময় দিন।
৫) নিজের যত্ন নিনঃ নিজের শরীর, মুখমন্ডল ও ত্বকের পরিচর্যা করুন। সেজে গুজে আয়নার সামনে দাঁড়ান। নিজেই নিজের প্রশংসা করুন।
৬) শিশুদের সাথে মিশতে চেষ্টা করুনঃ শিশুদের ছোট খাট আবদার পূরণ করুন। ওদের হাসি আপনার মন ভালো করবেই।
৭) গান শুনুনঃ তবে দুঃখ বা বিরহের গান শুনে কষ্ট বাড়াবেন না। চেষ্টা করুন ফোক, লোকসংগীত কিংবা আধ্যাত্মিক গান শুনতে।
৮) পকেটে টাকা থাকলে শপিং করুনঃ নিজের জন্য, স্ত্রী/ স্বামী থাকলে অবশ্যই তাকেসহ মা – বাবা, ভাই – বোন, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য সামান্য কিছু হলেও কিনুন। এবং তাদের উপহার দিন।
৯) একটু ঘুমিয়ে নিনঃ একজন মানুষের সাধারণত প্রতিদিন ৬ – ৭ ঘণ্টা গুম প্রয়োজন। চেষ্টা করুন রাতে এবং দিনে মিলিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের।
১০) ধ্যান করার অভ্যাস করুনঃ দিনের কিছুটা সময় নির্ধারন করে নিন এবং ঐ সময় ধ্যানে মগ্ন থাকুন। মন সবসময় ভালো থাকবে –
আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে কষ্ট পেলে যা করে মন ভালো রাখতে চেষ্টা করি, তাই এখানে বললাম।
ধন্যবাদ সবাইকে মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।