আমরা যারা এস.এস.সি পরীক্ষা দেই এর পরে মোটা মোটি ২ মাস ছুটি কাটানোর সুযোগ পাই। কিন্তু এই বন্ধে শুধু মজা না করে যদি নিজেকে একটু স্কিলড করা যায় তাহলে আমাদের ক্যারিয়ার জীবন অনেক্ সহজ হয়ে যাবে।তো এখন প্রশ্ন থাকবে, ভাইয়া আমরা এই সময় কি করতে পারি ? এই সময় টায় যদি কিছু সফটওয়্যার স্কিল ডেভেলপ করা যায় তাহলে তুমি এই ২ মাস পর থেকেই ইনকাম করতে পারবা।অন্যদের থেকে নিজেকে অনেক ভাল জায়গায় রাখতে পারবা।এখন কি কি সফটওয়্যার স্কিল এই সময় করতে পারো তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এই অল্প সময়ের তুমি কম্পিউটার টাইপিং (বাংলা,ইংলিশ),মাইক্রসফট পাওয়ার-পয়েন্ট, মাইক্রসফট এক্সেল, মাইক্রসফট ওয়ার্ড,এডোবি ফটোশপ এই অল্প কয়টা কাজ শিখে ফেলতে পারো । আপাতত এই সব স্কিল অর্জন করতে পারেলেই চলবে ।তোমাকে খুব বেশি এক্সপার্ট হতে হবে না।মোটামুটি কভার করতে পারলেই চলবে।
আবার প্রশ্ন,ভাইয়া এইসব স্কিল কি কাজে লাগবে ?
হুম।এই প্রশ্নের ও উত্তর দিব।
•রাইটিং স্কিল
তুমি যদি লেখা-লেখি তে পারদর্শী হও। সেই সঙ্গে যদি তোমার বাংলা ইংলিশ এ টাইপিং করার স্কিল থাকে তবে তুমি পোস্ট রাইটার ফ্রিলেন্সার হিসেবে অনেক কাজ পাবা। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট পোর্টাল রয়েছে যারা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর,ব্লগার হিসেবে নিয়োগ দেয়। তাই তুমি এই সাইটে খুব সহজেই কাজ করার সুযোগ পাবে।
•মাইক্রসফট পাওয়ারপয়েন্ট
মাইক্রসফট পাওয়ার পয়েন্ট হলো প্রেজেন্টেশন ডিজাইন সফটওয়্যার। পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে যেকোনো ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায় এবং অনেক সুন্দর সুন্দর স্লাইড তৈরি করা যায়।
কোন রিপোর্ট, প্লান প্রভৃতি পাওয়ার পয়েন্টে উইজার্ড ব্যাবহার করে অতি সহজেই উপস্থাপন করা যায়।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যানার,পোস্টার ও তৈরি করা যায়।
•মাইক্রসফট এক্সেল
মাইক্রসফট এক্সেল হিসাব রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরল ও জটিল হিসাব করা যায়।যেমনঃ বেতন বিল ,রেজালত,চার্ট ও গ্রাফ ইত্যাদি হিসাব খুব সহজেই করা যায়।
•মাইক্রসফট ওয়ার্ড
মাইক্রসফট ওয়ার্ড হল একটি ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার।এর মাধ্যমে বই,দলিল,চিঠিপত্র,প্রশ্ন,ডকুমেন্ট তৈরি করা যায়।এছাড়া এর প্রিন্ট বের করে অফিসিয়াল যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা যায়। অত্যান্ত সহজ প্রোগ্রামটি বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রচলিত।
•এডোবি ফটোশপ
ফটোশপ ফটো এডিটিং এর একটি চমৎকার সফটওয়্যার। ফটোশপ এর মাধ্যমে নিজের ক্রিয়েটিভীটি প্রকাশ করা যায়। ফটোশপের মাধ্যমে আমরা আমাদের কল্পনার চিত্রটি বাস্তবিক ভাবে উপস্থাপন করতে পারি।এছাড়া ফটোশপ দিয়ে বিভিন্ন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন ও করা সসম্ভব।বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন করা সম্ভব।
উক্ত স্কিলগুলো যদি এস এস সি এক্সাম এর বন্ধের মধ্যে অর্জন করা যায় তাহলে সামনের জীবন টা অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেকোনো জবে যেকোনো সেক্টরে এই স্কিলগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনেক। শুধু মাত্র কিছু সফটওয়্যার স্কিল না থাকার কারণে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী আজ বেকার। যেহেতু জীবনে এই স্কিল এর দরকার আছে।কোন না কোন সময় আমাদের শিখতেই হবে তাহলে কেন না এই বন্ধের মধ্যে শিখে ফেলা যায় । পরে শিখবো করে পরে আর শিখা হয় না।কেননা আমরা যত উপরের ক্লাসে উঠবো আমাদের পরা লেখার চাপ ততই বাড়বে। আর তখন এই সহজ স্কিলগুলো অর্জন করা টা কঠইন হয়ে পরে।
প্রচলিত একটা কথা বলে শেষ করতে চাই, “আগে লার্নিং তার পরে আর্নিং”।
প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাটতে হলে প্রযুক্তি কে আপন করে নিতে হবে।