রোনালদো নাজারিও এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম, সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারের নাম, যার উদাহরণ তিনি নিজেই, যার ব্যখ্যা তার পায়ের কারিশমায়, তাকে নিয়ে বেশি কিছু বিশ্লেষণ করাও বোকামি তাকে নিয়ে বিশ্লেষণ সে নিজেকেই নিজে করতে পারে।
হলুদ জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর ব্রাজিলকে সার্ভিস দিয়েছেন। এই ১৭ বছরে বেশিরভাগ সময় তার প্রতিপক্ষ কোন দেশ ছিলো না তার প্রতিপক্ষ ছিলো শুধু ইনজুরি। যতক্ষণ ইনজুরির সাথে লড়াই করে সবুজ গালিচায় নিজেকে বিচরণ করতে পারতেন ততক্ষণ সাফল্যের বৃষ্টি তার এবং ব্রাজিলের উভয়ের মাথার উপর বর্ষিত হতো।
ব্রাজিলের হয়ে ৯৮ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন আর নামের পাশে যোগ করেন ৬২ গোলের পাশাপাশি দুটি বিশ্বকাপ শিরোপা আর একবার রানার্সআপ হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা। দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপা একটি কনফেডারেশন কাপ এবং একটি অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক।
অবসর নিয়েছেন ২০১১ সালে কিন্ত শীর্ষ একজন রেখে গেছেন যে নাকি তাকে ভুলতে থাকা দর্শকদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য রোনালদো নাজারিও ছিলো একজন। হ্যা বলছি নেইমারের কথা যেদিন ফেয়ার ওয়েল ম্যাচটি খেলেছে রোনালদো সেদিন মাঠে তার সতীর্থ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেইমার ডা সিলভা সান্টোস জুনিয়র।
নেইমার ব্রাজিলের সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন ১০ বছর হলো। বুধবার (১৪-১০-২০২০) পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ১০৩ টি আর গোল করেছেন ৬৪ টি যা অত্র তারিখের আগে তার ১০২ ম্যাচে ৬১ গোল ছিলো। বোধহয় ১০৩ নং ম্যাচে পেরুর সাথে পণ করে নেমেছেন বর ভাই রোনালদোকে আজ পেছনে ফেলবেন।
হুম রোনালদোর মতো বার বার ইনজুরিতে পড়ে আবার মাঠে ফিরে আশা ঘাড়ের রগ ত্যারা নেইমার তাই করলেন। মাঠে নামলেন ৩ গোল করলেন বড় ভাইকে পেছনে ফেললেন সাথে নিজের হ্যাট্রিক খানা ও পূর্ণ করে তবেই মাঠ ছাড়লেন। ১০৩ ম্যাচে ৬৪ নাম্বার গোল করেই ক্ষান্ত হলেন।
নেইমার বর্তমানে ব্রাজিলের টপ স্কোরারদের মধ্যে দ্বিতীয় প্লেয়ার। তার উপরে শুধুমাত্র আর একজন আছেন তিনি সর্বকালের সেরা ফুটবলার কালো মানিক পেলে।
পেলের গোল সংখ্যা ৭৭ টি যা নেইমারের কাছে এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যপার স্বদেশী পেলেকেও ছাড়িয়ে যেতে। নেইমার তার ক্যারিয়ারে ২০১২ তে জিতেছেন অলিম্পিকের সিলভার পদক, ২০১৩ তে কনফেডারেশন কাপ, ২০১৬ অলিম্পিক গোল্ড মেডেল এবং সর্বশেষ ২০১৯ এ জিতেছেন কোপা আমেরিকা শিরোপা।
সময় ই বলে দিবে আগামীতে নেইমার কোথায় গিয়ে থামবে? কোথায় গিয়ে তার অর্জনের চাকা বন্ধ হবে।
আরো মিনিমাম দুইটা বিশ্বকাপ খেলতে পারবে যদি ফর্ম ও ফিটনেস উভয় ঠিক থাকে বয়স তো শুধুমাত্র গাণিতিক সংখ্যা!