বর্তমানে অনলাইনে এবং বিভিন্ন ধরনের শপিং মলে খণ্ডকালীন অফার,বিশাল ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয়ে থাকে। যেগুলো মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট, জালিয়াতি,প্রতারণা ইত্যাদি ছাড়া আর কিছু নয়।কারণ একটি পণ্যের মূল্য যদি ১০৫০ টাকা হয় তারা সেটির মূল্য ১৫০০ টাকা দেখিয়ে ৪৫০ টাকার বিশাল ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। এটি হতে পারে যে কোন ধরনের পণ্য বিক্রি।ফলে গ্রাহকরাও সরল মনে ও বিশ্বাসে কিংবা ডিসকাউন্ট/ক্যাশব্যাক পাওয়ার নেশায় ভালোমন্দ না বুঝে অর্ডার করে থাকেন।আর যখনই পণ্য ক্রয় করার জন্য অর্ডার করে তখনই তারা প্রতারিত হন।
এরূপ ঘটনা রহ রহ ঘটেছিল,ঘটিতেছে ও ভবিষ্যৎতে ও ঘটবে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসম্মুখে উঠে আসছে।এরূপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব কমই রয়েছে যারা গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ে পণ্য পাওয়া নিশ্চিত করা, অরিজিনাল পণ্য বিক্রি করা, যোগাযোগ বজায় রাখা, লাভ কম করা বা ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা,উত্তম সেবা প্রদান করা ইত্যাদি কাজ গুলো করে থাকে।বিশেষ করে অনলাইনে প্রতারণা,জালিয়াতি,ধোকা, ফাঁকি বাজি বেশি লক্ষ্য করা যায়। কারণ অনলাইন ভিত্তিক সব প্রতিষ্ঠান কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবে এবং গ্রাহকরা কীভাবে উত্তম সেবা পাবে, এসবের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা আদ্য সম্ভব হয় নাই।
ফলে অনলাইন থেকে কোন পছন্দের পণ্য কিনতে চাচ্ছেন না ক্রেতা বা গ্রাহকরা। আর এটি দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্রেতা বা গ্রাহকরা অনলাইনে পণ্য কিনার ক্ষেত্রে বিশ্বাস হয় না। বেশির ভাগই ক্রেতা বা গ্রাহকদের ধারণা যে,অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয় করা ভালো না এবং করলে প্রতারিত হতে হবে। অথচ আপনি লক্ষ্য করুন বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে গুলো মধ্যে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয় সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। যেমনঃ- আমেরিকার মধ্যে এমাজন/ Amazon জামানির মধ্যে Ebay, ইতালি,franch,Canada, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপের দোকানের পণ্য বিক্রি হয় বেশি। এর কারণ কি? কারণ হচ্ছে ক্রেতা বা গ্রাহকরা বিশ্বাস করে যে,তারা যদি ঐ পণ্যগুলো ক্রয় করে অনেক সুবিধা হবে এবং কোন ধরনের প্রতারিতও হবে না। এক দিকে যেমন তাদের সময় বেচে যাবে আবার অন্য দিকে বাসায় বসে যে কোন পণ্য পাওয়া নিশ্চিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে শতকরা ৩০% নিশ্চিত থাকা যায়। মোবাইল চাহিদা বা অর্ডার করলে প্যাকেটের মধ্যে ইট পাওয়া যায়, পছন্দের পরিধান কাপড় অর্ডার করলে অন্য কাপড় ঢুকিয়ে দেয়,আর কসমেটিকস পণ্য গুলো অর্ডার করলে তো ১০০% নকল কসমেটিক পণ্য গুলো দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। তাই পূর্বেই সাবধান হোন সতর্ক থাকুন। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন।
👉পণ্য ক্রয় করার সময় অবশ্যই করণীয় কাজ
(১) অনলাইনে /অফলাইনে পণ্য কিনার পূর্বে অবশ্যই পণ্যটির বর্তমান বাজার মূল্য,গুনগত মান, বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য,প্যাকেট ইত্যাদি দেখে নিন।তা না হলে আপনি প্রতারিত হবেন।
(২) আপনার অর্ডারকৃত পণ্যের রিভিউ, ছবি, ভিডিও, রং, দেখে তারপর ক্রয় /অর্ডার করুন।
(৩) যে পেজ বা ওয়েবসাইট অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি আপনার চাহিদার পণ্য কিনতে চাচ্ছেন তাদের সেবা কেমন, ট্রেড লাইসেন্স আছে কি নেই, পেমেন্ট পদ্ধতি গুলো কি কি ইত্যাদি দেখে তারপর কিনতে চেষ্টা করবেন।
(৪)কোন ধরনের অফার,বিশাল ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাকের অফার দেখে আকৃষ্ট হবেন না। আগে নিজে যাচাই বাছাই করুন। তারপর ঐ পণ্য গুলো কিনুন।
(৫) পণ্য পরিবর্তন এবং রিফান্ড পলিসি নীতি কেমন অর্ডার করার আগে ভালো করে দেখে নিন।
(৬) পণ্যটি কত সময়ের মধ্যে হাতে পাবেন এবং কোন কুরিয়ার সাভিসে পাবেন, হোম ডেলিভারি তে না অফিস ডেলিভারিতে পাবেন তা একবার হলেও দেখুন।
👉পণ্য পাওয়ার পর করণীয় কাজ গুলো হলো
(১) পণ্যটি হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই qr code scanning app দিয়ে দেখে পরিক্ষা করে নিন তা আসল না নকল কসমেটিক পণ্য।
(২) পণ্য পাওয়ার পরে ভালো করে প্যাকেট এবং উৎপাদনকৃত দেশ,পণ্যটির মেয়াদ ও উপাদান,মূল্য দেখে নিন এবং নিশ্চিত হোন।
(৩) যদি কুরিয়ার সাভিসের মাধ্যমে পণ্যটি পেয়ে থাকেন এবং তারপর মূল্য পরিশোধ করে দেন। তাহলে আপনি বিস্তারিত বিষয় জেনে টাকা পরিশোধ করবেন।
(৪) কোন ক্রমেই ছেড়া প্যাকেটে,মেয়াদ উত্তীণ
পণ্য,নকল পণ্য কিনবেন না।
আরও পড়ুন আপনার ব্যাবহারকৃত যে কোন পণ্য আসল না নকল তা চিনার স্পেশাল থিওরি!!!
https://www.facebook.com/100145961528171/posts/232686054940827/
পরিশেষে বলতে হয় ভাবিয়া কিনিও পণ্য কিনিয়া ভাবিও না। সস্তার তিন অবস্থা। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে।চোর,ভেজাল,নকল,পণ্য ঠকবাজিতে দেশটা কবে যে, মুক্তি পাবে।অনেক ক্ষণ সময় ধরে লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এই লেখাটি শেয়ার করুন যাতে করে অন্যরা সাবধান হতে পারে। আর হে অবশ্যই আমার এই ফেসবুক পেজ টা লাইক,কমেন্ট, শেয়ার করতে ভুলবেন না। আল্লাহ হাফেজ।