আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
সপ্তম শ্রেণীর এসাইন্টমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
১.উত্তর:
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বৈষম্যের সৃষ্টি করে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর থেকে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের উপর নানারকম জুলম এবং অথ্যাচার করে। নিরহ মানুষদের থেকে অধিকার ক্ষরণ করে নিতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। তা কিছু বীভৎস উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হল:
রাজনৈতিক বৈষম্য:
নানা রাজনৈতিক বৈষম্মের স্বীকার প্রথম থেকে শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানিদের উপর। পূর্ব পাকিস্তানিরা বিরাট সংখ্যালঘু হইয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা জোর পূর্বক ঢাকাকে বাদ দিয়ে রাজধানী করে থাকে করাচিকে।
বৈষম্যের একটি নমুনা অতুল ধরা হলো:
বৈষম্যের বিষয় পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান
রাজস্ব খাতে ব্যায় ১৫০০ কোটি টাকা ৫০০০ কোটি টাকা
উন্নয়ন খাতে ব্যায় ৩০০০ কোটি ৬০০০ কোটি
চাউল মন প্রতি ৫০টাকা ২৫ টাকা
আটা মন প্রতি ৩০ টাকা ১৫ টাকা
স্বর্ণ প্রতি ভরি ১৭০ টাকা ১৩৫ টাকা
প্রশাসনিক বৈষম্য:
প্রতিটি নাগরিকের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার যা হতে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের বঞ্চিত করতো। বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা কোনো ধরণের চাকরির ক্ষেত্রে নিজেদের বেশি প্রাধান্য দিতো। পূর্ব পাকিস্তানিদের জন্য বরাদ্ধ করতো শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণীর চাকরি জেখানেও মাত্র ছিল ২৩ ভাগ সুযোগ।
এভাবেই প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পূর্ব পাকিস্তানিদের ছোট করা হতো। তা ছিল সামরিক ক্ষেত্রে ,অর্থনৌতিক ক্ষেত্রে ,সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। পূর্ব পাকিস্তানে বেশি শস্য ফললেও পূর্ব পাকিস্তানিদের জন্য মাত্র বরাদ্ধ ছিল মাত্র ২ ১ ভাগ অর্থ। বাঙালিরা ভাষার জন্য নানা রোকোল বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে। আর বহু আন্দোলনের বিনিময়ে পর ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এ বৈষম্য এই পরাধীন থেকে স্বাধীন বাংলায় অর্জন করি।
২.বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈষম্য ধর্ম ,ভাষা ও উৎসবের ভূমিকা নিচে বেক্ষা করা হলোঃ
সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে ধর্মের ভূমিকা:
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মাম্বলীরা বসবাস করছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ইসলা, হিন্দু ,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। মুসলমানদের রয়েছে দুটি ঈদ উৎসব:ঈদ উল ফিতর এবং ঈদ উল আজহা। প্রাচীনকাল থেকে এদেশে মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দুরা শান্তিতে বসবাস করে আসছে। হিন্ধু ধর্মে রয়েছে বিভিন্ন মূর্তি তৈরী ও এর সাজসজ্জা ,এদের রয়েছে নিজস্ব উপোসনা ,আরাধনা ,আর্তি ও মনকি গানবাজনা চর্চার ব্যবস্থা। আবার সে সাথে বৌদ্ধ ধর্মের লোকজন রয়েছে গৌতম বৌদ্ধের উপসনা। তাদের রয়েছে নিজেদের আচার অনুষ্ঠান এর ব্যবস্থা। এছাড়া খ্রীষ্ঠ ধর্মের রয়েছে বড়োদিন ,যীশু খ্ৰীষ্ট এর জন্মদিন। আর এদেশে সেই পপ্রাচীনকাল থেকে সকলধর্মের মানুষজন একসাথে বসবাস করে আসছে।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে ভাষারঃ ভূমিকা:বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এ এ দেশে কিছু সংখক আদিবাসী রয়েছেন যারা বাংলা ভাষা কথা বলেন না। এদের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে চাকমা,মারমা,গারো ,খাসিয়া ,মনিপুরী ,সাঁওতাল রয়েছে যারা বাংলা ভাষায় সহজে কথা বলে না। আবার বাংলায় অস্ট্রিক,দ্রাবিড়সংস্কৃত ,পলি,আরবি,ফার্সি,পূর্তগীজ সহ রয়েছে অনেক বিদেশী ভাষার মিশ্রণ।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্রে উৎসবের ভূমিকা:
শহরে বসবাস করা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ গ্রামের মানুষের মতোই ধর্মীয় উৎসব উৎযাপন করে। এছাড়া বাঙালিরা বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে যা মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে পহেলা বৈশাখ,পহেলা ফাল্গুন। এছাড়া বর্তমানে ২১ সে বইমেলা অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়ে উৎসবের দেশ বাংলাদেশ
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
।