আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই করি।
এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসছি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
(ক)তোমার পরিবারের সদস্যদের কোন কোন কাজ টেকশই উন্নয়নের অন্তরায় তা আলচনা করে প্রতিবেদন রচনা কর।
উত্তরঃ
নভেম্বর ২৫, ২০২০
মাননীয়,
প্রধান শিক্ষক,
কিশোলয়া উচ্চ বিদ্যালয়
বিষয়ঃপরিবারের সদস্যদের যে সকল কাজ টেকসই উন্নয়ন এর অন্তরায়।
মহোদয়,
সম্প্রতি আমার পরিবারের সদস্যদের আচরণবিধি পরিলক্ষিত করে টেকশই উন্নয়নের অন্তরায় সম্পর্কে প্রতিবেদন পেতে আদিষ্ট্য হয়ে নিম্নলিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
পরিবারের সদস্যদের যে সকল কাজ টেকশই উন্নয়নের অন্তরায়
পৃথিবী নামক গ্রহে আমাদের বাস।জীবন ধারণ করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নানা উপকরণ যেমনঃখাদ্য,জ্বালানি, পানি,মাটি প্রভৃতি থেকে পেয়ে থাকি।লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবেশগতভাবে,সামাজিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে পাল্টে যাচ্ছে। কারণ মানুষ এর চাহিদা বাড়ছে।সেই চাহিদা মিটাতে মানুষ পরিবেশের ক্ষতি করছে নানানভাবে।এগুলো মোটেও টেকশই উন্নয়ন হতে পারে না।
টেকশই উন্নয়ন এমন এক উন্নয়ন প্রক্রিয়া, যা ভবিষ্যতের কথা ভেবে করা হয়।ফলে প্রকৃতিকে ঠিক রেখে উন্নয়ন যেমন একদিকে মানুষের বর্তমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম অন্যদিকে ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।যেমনঃ কোন জমির জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করে উৎপাদন বাড়ানো। মানুষ ও প্রানীসম্পদ বিভাগের নিরাপত্তাবিধান সম্ভব হয় এমন কাজ।টেকশই উন্নয়ন এর এমন অনেক কাজ আছে।টেকসই উন্নয়ন শুধুমাত্র পরিবেশের সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয় বরং তা সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নের আওতাভুক্ত। যেমনঃমানসম্মত শিক্ষাগ্রহণ করে দারিদ্র্য ঘোচানো, নারী পুরুষ একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজ থেকে ভেদাভেদ দূর করবে ইত্যাদি।
টেকসই উন্নয়নে অন্তরায় আচরণসমূহঃ
১.চাহিদা ও ভোগ বিলাসকে সব কিছুর উপরে প্রাধান্য দেওয়া।
২.নিয়ম না মেনে ঘরবাড়ি,শিল্পকারখানা ও অবকাঠামো নির্মাণ।
৩.কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা
৪.পারিবারিক এবং সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য।
৫.গুনগত শিক্ষার অভাব।
৬.স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উদাসীন ভাব।
৭.মরুকরণ রোধ এবং বনভূমি রক্ষার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া।
৮.দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়া।
৯. ক্ষতির কথা জেনেও জমিতে সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করা।
মতামতঃউপরের উল্লেখিত আমার পরিবারের এইসকল আচরণ টেকশই উন্নয়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। যা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য তথা পুরো পৃথিবীর জন্য ঠিক না।তাই আমাদের উচিত আরও সচেতন হওয়া এবং টেকশই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখা।
উপসংহারঃআমাদের উচিত টেকশই উন্নয়ন এর লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করা।যথাসম্ভব পরিবেশের ক্ষতি না করার চেষ্টা করা।
প্রবিবেদকের নামঃমারিয়া হাসিন
শ্রেণিঃষষ্ট
রোলঃ১২
প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ২৫.০৯.২০২০
প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃরাত ৭ টা
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
চতুর্থ সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর পার্ট ২