উত্তরঃ বাংলায় ইংরেজ শাসনামলের সূচনা পর্বঃপ্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চল ছিল ধন সম্পদে পরিপূর্ণ রূপকথার মতো একটি দেশ। অঞ্চলের স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি গ্রাম। জীবনধারার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা শুধুমাত্র গ্রামে পাওয়া যেত।
এই স্বয়ং সম্পূর্ণ গ্রামের কৃষকদের ছিল ক্ষেতে ভরা ফসল, গোয়াল ভরা ধান,ক্ষেতে ভরা মাছ। কুটির শিল্পেই এই গ্রামগুলো ছিল সম্পূর্ণ। তাতীদের হাতে বোনা কাপড় ছিল ইউরোপের অঞ্চলের মানুষের কাপড়ের থেকেও উন্নত। এর মধ্যে সবচেয়ে উন্নতমানের ছিল মসলিন কাপড়।
এছাড়াও উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চল নানান ধরনের বানিজ্যিক পন্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই সকল পণ্যের আকর্ষণের কারণে অনেকে এদেশে বাণিজ্য করতে আসত। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও উপমহাদেশে এসেছিল৷ বাণিজ্য করতে।পরবর্তী সময়ে তারা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়।
ইংরেজ আমলে বাংলায় প্রতিরোধ, নবজাগরণ ও সংস্কার আন্দোলনঃবাংলার কৃষক একসময়ে সূর্য উঠা ভোরে লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে ছুটতো তার ফসলের জমিতে। ফিরত আগামী সূর্যাস্তকে সামনে রেখে। তার ঘরে অন্ন বস্রের প্রাচুর্য ছিল না আবার অন্য বস্ত্রের জন্য কোন অভাবও ছিল না।
অভাব ছিল না কোন ধরনের আচার অনুষ্ঠানের। বারো মাসে তেরো পারবন লেগেই থাকতো। জারি,সারি,যাএাগান, পালাগানের তালে জমে উঠতো বাংলার সন্ধ্যার আসর। কিন্তু সপ্তম এবং অষ্টাদশ শতকে ইংরেজ বনিক আগ্রাসন কেড়ে নিতে থাকে এদেশের কৃষকের মুখের হাসি। প্রথমে তারা ধ্বংস করেছিল এদেশের কুটির শিল্পকে।
তারপর তাদের নজরে পরে এদেশের উর্বর জমি।অতিরিক্ত অর্থ লাভের জন্য ভুমি রাজস্ব আদায়ে একের পর এক জমি কেড়ে নেওয়ার মহরা শুরু করে। যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এদেশের কৃষক সমাজ।
তখন তাদের কাছে আনদোলন ছাড়া আর কোন উপায় খোলা রইলো না। এই আনদোলন ক্রমাগত চলতে থাকে এবং তা আঠারো শতকের শেষাংশ থেকে উনিশ শিতিকের শেষাংশ অবধি বিদ্যমান ছিল।
এর ফল বাংলায় মুসলিম সমাজের সংস্কার ঘটে। যা পরবর্তীতে ব্যাপক বড় কৃষক আনদোলনে রুপ নেয়। এ ছাড়া পাশ্চাত্যের ঢেউ আছড়ে পড়ে এদেশের শিক্ষিত সমাজের উপর।ফলে এদেশের শিল্প এবং সাহিত্য নবজাগরণের সুত্রপাত ঘটে। এই সব কিছুর প্রথম সূচনা করে এদেশের সাধারণ মানুষ।
প্রতিরোধ আনদোলনঃ
১. ফকির সন্ন্যাসি আন্দোলন
২. তিতুমির আনদোলন।
৩. নীল বিদ্রোহ
৪. ফরায়েজি আনদোলন