আমরা আমাদের পুরোনো ফোনকে হয় ফেলে রাখি নয়ত কোনো কারণে ভেঙ্গে ফেলি বা শেষ মেষ আমাদের বাড়ির কোনো ছোট বাচ্চার খেলনা হয়ে যায় আমাদের পুরোনো ফোন। তবে আজ থেকে জেনে রাখুন পুরোনো ফোনের কি অসাধারণ ব্যবহার। আমরা অনেকেই জানি না যে কয়েক বছরের পুরোনো হার্ডওয়ারটিও কোনো না কোনো কাজে আসতে পারে। হ্যাঁ হয়তো আপনার পুরোনো ফোনটি এখন তার আসল কাজ না করতে পারলেও অন্যভাবে সেই ফোনটি ব্যবহারের বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়েও আপনি তৈরি করতে পারেন নতুন কিছু। তো চলুন জেনে নিই পুরনো ফোনের কিছু ব্যবহার।
সিকিউরিটি ক্যামেরা
আপনার স্মার্টফোনটি বেশি পুরোনো হয়ে গেলেও সেটি ফেলে দেয়া ঠিক নয়। হতে পারে পুরোনো তবে মনে রাখবেন কিছু ক্ষেত্রে “ওল্ড ইজ গোল্ড”।ফোনে অনেক প্রযুক্তি থাকতে পারে যা আপনি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এমনই একটি মজার কাজ হচ্ছে পুরোনো ফোনটিকেসিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা। হ্যাঁ আপনি চাইলেই আপনার পুরোনো ফোনকে আপনার বাড়ির সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য আপনার পুরোনো ফোনটিতে শুধু ভিডিও ধারণ এবং ভিডিও দেখার প্রযুক্তি কাজ করলেই হবে। তারপরফোনটি নিজের বাড়িতে রেখে আপনার মন চাইলে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমেসকল গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখানে একটি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ্য এই কাজটি খারাপ কাজে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
স্মার্টফোনটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে যেমন ট্রাইপড বা এ ধরনের কোনো ধারক যা ফোনটিকে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আপনি একটু বেশি ক্রিয়েটিভ হলে বইয়ের তাকে বা আপনার ঘরের যেকোনো কোণে লুকিয়ে রাখতে পারেন। এই কাজটি করতে কিছু অ্যাপের প্রয়োজন হবে। মেনিথিং (Manything) ও আলফ্রেড (Alfred) এ ধরনের অ্যাপ। আন্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমেই আপনি অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করতে পারবেন। এই দুটি ছাড়াও বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে। গুগল এর সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন। এই কাজটি শুধু যে মুঠোফোন দিয়েই করতে হবে এমন নয়, আপনার যদি পুরোনো ট্যাবলেট ধরনের গ্যাজেটও থাকে তাহলেও কাজটি করা সম্ভব। তবে ট্যাবলেট একটু বেশি বড় হওয়ার কারণে গোপন জায়গায় রাখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে।
এখনকার অধিকাংশ ফোন ওয়াটারপ্রুফ। আপনার ফোনও যদি ওয়াটারপ্রুফ হয় তাহলে আপনি চাইলে বাড়ির বাইরেও ফোনটি লাগিয়ে রাখতে পারেন। ডিভাইস স্থাপনের পর, সেটি যেন সবসময় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় থাকে, ব্যস সেটি নিশ্চিত করলেই যথেষ্ট।
ভিডিও স্ট্রিমিং
গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও স্ট্রিমিং দেখে আসছি। ক্যামেরার নিখুঁত কারসাজি আর চমৎকার উপস্থাপনা দেখার মেলে সেখানে। আপনিও চাইলে একজন মিডিয়া স্ট্রিমার হয়ে উঠতে পারেন আপনার পুরোনো ফোনটির মাধ্যমে। পুরনো ডিভাইসগুলো ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হলে, আপনার তৈরি করা ভিডিওতে যুক্ত হতে পারে নতুন এক মাত্রা। আপনার পছন্দের কৌণিক অবস্থানে শুধু সেই ডিভাইস গুলো স্থাপনের কৌশল বের করাটাই হবে আপনার নতুন ক্রিয়েটিভিটি। গুগলের ক্রোমকাস্ট এবং অ্যাপলের এরায়প্লে সার্ভিসের সঙ্গীত শুনতে স্পিকার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে আপনার পুরোনো ফোনটি।
রিমোট হিসেবে
আপনার পুরনো ফোন কিংবা একাধিক ফোন থাকলে সেটিকে স্মার্ট টিভির রিমোট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিস্তারিত জানতে গুগলের হেল্প নিতে পারেন।