আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছে। সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২০ বছরটি পৃথিবী বাসীদের জন্য ভালো কাটেনি। এর কারণ আমাদের সবারই জানা কারণটা হলো প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। যে ভাইরাসে আক্রান্ত পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ, ভাইরাসে আক্রান্ত পৃথিবীর সবকটি দেশ। ভাইরাস থাকলেও বছরটি আমার কাছে সামগ্রিকভাবে ভালো কেটেছে। আমি একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র। স্বভাবতই একজন আনন্দ প্রিয় ছাত্র হওয়ায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে আমার বেশ ভালো লেগেছে কারণ আমি অনেক ছুটি পেয়েছি যদিও পড়ালেখা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল বা গিয়েছে। এবং প্রায় জুন মাসে দেখেছিলাম সকল সড়ক-মহাসড়ক প্রায় জনশূন্য যা আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। এই ১০ মাস আমি অনেক খেলাধূলা করেছি রোজ বিকেলে যেতাম একটা গোপন মাঠে যেটাতে আমরা খেলোয়াড়রা ছাড়া বাকি কেউ আসতো না। আর খাওয়া-দাওয়া কি বলবো রাজার হালে ছিলাম।
বছরটা আমার আর একটা কারনেই স্পেশাল । কারনটা হল আমি আমার প্রিয় মানুষটার দেখা পেয়েছিলাম ঠিক এই বছরেই। যার কারনে আমি এই ২০২০ কে স্পেশালভাবে ধন্যবাদ জানাই।
তবে সত্যি বলতে যদিও বছরটা আমার অনেক ভালো কেটেছে তবুও কোথায় যেন একটা কমতি ছিল। আর সে কোনদিকে হচ্ছে যে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস পৃথিবীজুড়ে তান্ডব চালিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এর প্রাণ কেড়েছে এখনো কারছে। আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে পৃথিবী থেকে যেন খুব তাড়াতাড়ি এই ভাইরাস দূরীভূত হয়, এবং আমরা জেনো আবার আমাদের সেই চিরচেনা দৃশ্য কে দেখতে পারি । এখন চলে যাই আমার আলোচনায়।
আমি জানি আমার জীবনে আর কখনো এই ২০২০ সালের মতো কোনো বছর আসবেনা। হয়তো শতাব্দী থেকে শতাব্দি পর্যন্ত এরকম বছর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এই বছরটা ছিল শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য চরম একটা অধ্যায়। একদিকে সরকারি বাধা আর অন্যদিকে পেটের জ্বালা। সরকার যদিও এই সমস্যা নিবারণের জন্য সাহায্য করে তবুও তা অপর্যাপ্ত। এই ২০২০ সালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে যে মানুষ না খেয়ে ছিল। এই বছরে এমনও দৃষ্টান্ত দেখা গেছিল যে মানুষ কতটা অসহায় প্রকৃতির কাছে। একসময় স্থির হয়ে যায় গোটা বিশ্ব মানুষ দেখে প্রকৃতিটা কত নির্মম হতে পারে। অবশ্য এই সময় একটা ভালো দৃশ্য ছিল যে গ্রাম থেকে শহরে শুরু করে সমস্ত জায়গায় মসজিদগুলো মুসল্লিতে পরিপুর্ণ ছিল। এবং সবার মাঝে সচেতনতা নামক শব্দটি প্রভাবিত হচ্ছিল। এই সময়ে শহর অঞ্চলের মানুষদের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা অনেক সুখে-শান্তিতে ছিল। গ্রামে গেলে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় যে ব্যক্তি জানেনা করোনাভাইরাস কি। অপরপক্ষে শহরাঞ্চলে মাস্ক কিংবা নিরাপত্তা সামগ্রী ছাড়া চলাফেরা করা কিংবা বাস করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। তবে একটি আনন্দের সংবাদ যে করোনাভাইরাস এর টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং সেটা ২০২১ সালের খুব শীঘ্রই প্রয়োগ করা হবে।
এই কারণে ২০২১ সালটাও আমার জন্য একটা স্পেশাল বছর । সৃষ্টিকর্তা যেন এই পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস কে তুলে দেন। আমি আবারো সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি , হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২১।