প্রকৃতি রহস্যময়। পৃথিবীকে সে আগলে রাখে নানা ধরনের রহস্য দিয়ে। কিছু রহস্যের সমাধান মানুষ করতে পারে কিছু রহস্য অমিমাংসিতই থেকে যায়। আজ আপনাদের সাথে এমন কিছু ঘটনা শেয়ার করবো যার কূল কিনারা বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত করতে পারেনি।
১৫১৮ সালের জুলাই মাসের ঘটনা। মিসেস প্রোথপ্যারা নামক এক নারী হঠাৎ নাচতে শুরু করেন। কিছুতেই তার নাচ থামছিলো না। এক সপ্তাহ পর আরো চৌত্রিশজন ব্যক্তি তার সাথে নাচতে শুরু করে। এক মাস পর আরো শত শত লোক সেই নাচে যোগ দেন। যার মধ্যে ক্লান্তি, হার্ট এ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপে প্রান হারায় প্রায় চারশ জন ব্যক্তি। এক মাস ধরে কোনো ব্যক্তির পক্ষে নাচতে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব না। এই ঘটনাটি কেন ঘটেছিলো তার কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারীর জন্য এন্ড্রো কারোসিন নামক এক ব্যক্তিকে আটক করেন। তিনি শেয়ার বাজারে ১২৬ টি ঝুকিপূর্ণ লেনদেন করে তার আয় মাত্র আটশ মার্কিন ডলার থেকে তিনশ পঞ্চাশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছায়। ইআরপিআর এর হাতে আটক হওয়ার পর এ্যান্ডো দাবী করেন তিনি একজন টাইম ট্রাভেলার্স। ২২৫৬ খ্রিষ্টাব্দে পৃথিবী থেকে তিনি টাইম ট্রাভেলার্স যানে চেপে ২০০৩ সালে পৌছেছেন। তাই তিনি অতীত থেকে তথ্য পান। অবশ্য এ্যান্ড্রোর এ বক্তব্য মার্কিন আদালত গ্রহন করেনি। পরবর্তীতে আদালতের রায়ে তাকে জেলে ডুকানো হয়। নিজের কথার সত্যতা প্রমান করে কঠোর নজরদারীর জেল থেকে পরবর্তী হাওয়া হয়ে যান এ টাইম ট্রাভেলার্স।
১৯৪১ সালে কানাডার গোল্ড বিচ থেকে একটি ছবি তোলা হয়। যে ছবিতে একজন ব্যক্তিকে দেখা যায়। যার পোষাক আশাক একদমই ১৯৪১ সালের মত নয়। বরং তা বর্তমান সময়ের। তার পড়নে ছিলো একটি চেইন লাগানো হুডি, টি শার্ট এবং সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো ১৯৪১ সালের ওই সময়েও তার হাতে ছিলো ডিএসএলঅার ক্যামেরা।
হলিউডের ফ্রজেন চলচ্চিত্রের ক্যালসা ও আন্নাকে নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ক্যালসার কারনে বরফে জমে যাওয়া আন্নাকে ভালোভাবে সারিয়ে তোলা হয়। এবার বাস্তবের আন্নাকেই খুজে পাওয়া গেছে। তার নাম হিলিয়ার্ট। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন হিলিয়ার্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রচন্ড তুষার পড়া একটি রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি এসে হঠাৎ তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন গাড়ি চালানো থামিয়ে তুষার পড়া রাস্তায় একটু হেটে বেড়াবেন। এরপর বাড়ির লোকেরা যখন খবর পায় তখন তারা প্র্রায় ছয় ঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। সে সময় তাপমাত্রা ছিলো -২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যখন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় তখন তার মধ্যে বেচে থাকার কোনো লক্ষন ছিলো না। তুষার পড়ে তার চামড়া এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিলো যে শরীরে ইনজেকশন দিতে পারছিলেন না ডাক্তাররা। সবাই ভা্বছিলেন তিনি মারা গেছেন। কিন্ত সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিন দিন বাদে হাত পা নাড়তে শুরু করেন তিনি। তারপর সবার চোখের সামনে দিয়ে দিব্যি হেটে বাসায় ফিরেছিলেন হিলিয়ার্ট।