শৈশবের সেই সুখ মাখা স্বৃতি গুলো এখন দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসে,, চলো আর একটি রার ফিরে আসি সেইদিন গুলো থেকে
চলো একবার ক্লাসরুমে বসে উদগ্রীব হয়ে কান পেতে থাকি দপ্তরির হাতের হাতুড়ি আর পেতলের থালার সংঘর্ষের অপেক্ষায়।
চলো এক মুহুর্তের জন্য ভুলে যাই মার্কার পেনের কালো রক্তে ক্ষতবিক্ষত হোয়াইট বোর্ডের উপর ভেসে উঠা বিদঘুটে গাণিতিক সমীকরণ।
চলো ব্ল্যাক বোর্ডের উপর আগের মতো ভাঙ্গা চক চালাই, আর কাঠের ডাস্টার দিয়ে ভুল গুলো মুছে মুছে সরল অংক সমাধান করি।
চলো সাদা রঙ্গের ময়লা কামিজে বল পয়েন্টের আঁকিবুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে আরো একবার মায়ের সামনে দাড়াই।
চলো নীল ডাউন হই, চলো আরেকবার মিথ্যে শপথ বাক্যটি পাঠ করি “দেশ ও জাতির মঙ্গলে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো”
চলো স্কুল পালাই,
চলো নতুন বই এর মসৃণ পৃষ্ঠায় নাক গুঁজি, নতুন বছরের, নতুন বৈশাখী আমের মুকুল আর নতুন বই এর সুঘ্রাণে মাখামাখি হই।
চলো সন্ধ্যেরাতে ঢুলুঢুলু চোখে পড়া মুখস্ত করতে করতে রবের কাছে লোডশেডিং এর বায়না ধরি।
চলো রস,কষ,সিঙ্গারা বুলবুলি খেলি কিংবা নিউজপ্রিন্ট কাগজের উপর কাটাকাটি।
চলো বিকেল বেলা, বই কাঁধে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরি।
চলো আগামি ডিসেম্বরের শেষ দিনে মার্কসীড হাতে নিয়ে ফাঁসীর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মতো নতজানু হয়ে বাবার সামনে দাড়াই।
চলো মনে মনে এই অতৃপ্ত জীবনকে অস্বীকার করে নিয়ে,মিথ্যে করে হলেও একবার ভাবি “শৈশবের প্রিয় সহপাঠীদের মুখ।চলো শীতের সময় চড়ুইভাতি খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠি আবার খেলার সাথীদের সাথে, চলো ২ টাকার হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার জন্য ন্যাকা কান্না করে মায়ের হাতের সেই থাপ্পড় টা আবার খাই,চলো বউ পুতুলের বিয়ে দিয়ে নিজেকে জাহির করি কনের মা হিসেবে আর একটি রার,
শৈশব প্রত্যেকটা মানুষেরি সুন্দর হয় নির্ভেজাল এই জিবন টা আমরা সবাই খুব মিস করি, কখনো এই দিন গুলোকে মনে করে হাসি পায় আবার কখনো এই দিন গুলো কে মনে করে আবার স্বৃতির পাতায় ফিরে যাওয়ার জন্য আকুল হয়ে মন কষ্টের কালো মেঘে ছেয়ে যায়, শৈশবের দিনের কথা মনে হলে একটি গানি বেজে ওঠে প্রাণে,,পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়,
ও সে চোখের দেখা মনের কথা সে কি ভোলা যায়
আজ এ পর্যন্ত আবার আবার আসবো কোনো লেখোনি নিয়ে আপনাদের মাঝে
আল্লাহ হাফিজ