মানুষ দ্রুতগতিতে বদলে যাচ্ছে। মানুষ যে দ্রুতগতিতে বদলে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবতে হচ্ছে। মানুষ সাহায্য সহমর্মিতা ভুলে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। মানুষ বারবার ভূলে যাচ্ছে, জীবনে কখনো একা ভালো থাকা যায় না, ভালো থাকতে হলে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হয়। আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি এই ভূল সিদ্ধান্ত। তবুও করে বসি। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে চলে বলে কৌশলে অন্যায় কাজ করে চলেছি। বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এজন্য বলেছেন, মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে স্তরের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করা।
হুমায়ূন আহমেদের এই দার্শনিক চিন্তাতেই বর্তমানে বাস্তবে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। মানুষ,মানুষ থেকে এখন আর মনুষ্যত্বহীন হয়ে পড়েছে। আমরা এখন ভালোকে ভালো,মন্দকে মন্দ,বলতে পারিনা এই সামান্য মূল্যবোধ আমরা হারাতে বসেছি। এদেশের ভালো মানুষগুলোও অসত্যে মাঝে পড়ে তারাও বিচ্ছিন্ন। সমাজে তারা অসহায়,একা। কিন্তু অসৎ মানুষগুলো তারা একতাবদ্ধ। ভালো মানুষ গুলোকে খারাপ বানাতে দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এজন্য বলা হয় মানুষ মাত্রই স্বার্থপর। পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আসে যারা এই স্বার্থপরতা ভূলে প্রকৃত মানুষ হতে পেরেছে কিন্তু তার সংখ্যা খুবই অল্প। আমরা সব সময় নিজের ভালো চাই,কিন্তু অন্যের ভালো আমরা দেখতে পারিনা এখান থেকেই স্বার্থপরতা বিকাশ ঘটে। আমরা নিজের সুবিধা আদায় করার জন্য অন্য আরেকজনের ক্ষতি করি। এটা কখনো কাম্য নয়। স্বার্থপর মানুষেররা অন্যেকে ভালো কাজ করতে দেয়না,অন্যকে সহযোগীতা করতে ভয় পায়। কারণ সহযোগিতা পেলে সে যদি সফল হয়!
ক্ষমতার লোভ,টাকার লোভ মানুষকে অন্ধ বানায়, স্বার্থপর বানায়। মানুষ বড়লোক হতে গেলে নিজের মূল্যবোধগুলো ভূলে যায়। নিজেকে নিজে চিনতে পারে না। তারা ভূলে যায়,এই দুনিয়া তাদের চিরস্থায়ী নয়। এই বাস্তব সত্যটি উপলব্ধি হয় তখন তাদের পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে। আমরা নিজেকে যত বড় মানুষ মনে করিনা কেন,আসলে পৃথিবীতে একজন সাধারণ সাদামাটা মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকাটা খুবই আনন্দে।