অনেকেই আছে অনলাইন থেকে আয় করতে চায় কিন্তুু মাধ্যম খুজে পাচ্ছে না
একজন শিক্ষার্থী বাংলা টেকি ব্লগারের কাজের হাত যদি বেশ ভাল হয় এবং সে যদি বিভিন্ন পত্রিকার সাথে যোগাযোগ করে সেখানে প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য তাহলে তার ব্লগ রিভিও করে তাকে সেই কাজে যুক্ত করতেও পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরীর বেপারে তেদের ব্লগ ও সামাজিক নেটওয়ার্কের অবস্থান ও কাজের নমুনার অনলাইন প্রকাশনাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশে কম হলেও সামনের দিনগুলোর জন্য একটা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
ব্লগারদের মধ্যে কিছু ব্লগার নিজের ব্লগ কাস্টমাইজ করা সহ বেশ কিছু ডিজাইনের কাজ শিখে ফেলেছেন। অনেকে নিজের সাইট হোষ্ট করা, সারভার পরিবর্তন করা ইত্যাদি কাজে হাতে কলমে বেশ দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছেন। পাসের বন্ধুটি বা পরিচিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের একটি সাইট বানানো দরকার হলে সহজেই বানিয়ে দিতে পারেন। এবাবে অফলাইনে নিজের একটা অবস্থান হয়ে যেতে পারে যার ভিত্তি ও পরিচয় হলো আপনার ব্লগ।
নিজে ভিপিএস বা ডেডিকেটেট সারভারে নিজের সাইট হোষ্ট করারা পর দেখলেন অনেক জায়গা খালি পরে আছে। কিছু যায়গা অন্যকে ভাড়া দেওয়ার মতো করে ভাড়া দিয়ে দিতে পারেন। ভাড়ার টাকা দিয়েই বছরের হোষ্টিং খরচ উঠে যেতে পারে। পকেট থেকে হোষ্টিং এর খরচ হলো না।
আমাদের দেশের মানুষ ইদানিং ব্লগের পেছনে ইনভেষ্ট করে যাচ্ছে। অনেকে আভিজ্ঞ ব্লগার দিয়ে নিজের একটা ব্লগ ব্যাবসা খোলারও চিন্তা করছেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাল হলে কারো সাথে চাকুরীর মতো করে নেমে যেতে পারেন। আমার মনে হয় এতে আপনার মেধা বিকাশে আরো সফলতা নিয়ে আসতে পারে। যদি আপনি ব্লগার হোন তাহলে কোন পেশায় সান্তি নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এরকম কোন সম্ভাবনাকে আরো এগিয়ে নিতে পারেন।
বেশ কিছু ভাল ব্লগারকে দেখেছি যারা ভিন্ন ধরনের পেশায় চলে গেছেন আর তাই ব্লগিংটা ছেড়ে দিয়েছেন। আমি হলফ করে বলতে পারবো তারা যদি এর চেয়ে কম আয়ও হতো তাহরেও ব্লগ ছেড়ে চলে যেতো না। কিছু লোক আছে যাদের ব্লগিং এর অশেষ আগ্রহ কিন্তু লিখতে পারেন না, তাদের নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন যৌথ উদ্যোগে ব্লগ যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ব্লগার হিসেবে কাজ করবেন।
এভাবে নিজের একটি কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গিয়ে অনরাইনের চেয়ে অফলাইনে অনেকে বেশ ভাল একটি অবস্থান তৈরী করেছেন তাদের উদাহরণ এখনই টানতে পারি।