আসসালামু আলাইকুম ,আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছি।
আপনাদের সামনে আমি আবারো হাজির হয়েছি-
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তরগুলো।
আপনাদেরকে একটি কথা বলে রাখি আপনারা গ্রোথার ডটকম-এর শিক্ষা ক্যাটাগরিতে এসাইনমেন্ট এর সকল প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে।
আমি সাইটের লিংক দিয়ে দিচ্ছি-
এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ১৭৫৭ সাল থেকে হাজার ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যেকোনো দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কাল সহ একটি পোস্টার তৈরি করো সংকেত সাল উল্লেখ ঘটনার বর্ণনা উপস্থাপনায় বৈচিত্র
১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১০ টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা-
★পলাশীর যুদ্ধ –
বাংলা শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তাই পলাশী যুদ্ধ নামে পরিচিত।
পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হেরে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠায় সূচিত হয়।
★দ্বৈত শাসন-
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদপ্রাপ্ত হলে যেসব প্রণালী উদ্ভব হয় ইতিহাসের দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থার ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে এবং বাংলার নবাব সামান্য বৃত্তিভোগী কর্মচারীকে পরিণত হন।
★ছিয়াত্তরের মন্বন্তর-
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মোগল সম্রাট হতে দেওয়ানি লাভ করে বাংলাদেশের রাজস্ব ক্ষমতা গ্রহণ করার সাথে সাথেই শুরু হয় যায় মুসলমান তথা কৃষকদের উপর নির্যাতনের স্মরণাতীতকাল ভয়াবহতম অধ্যায় এই সময় হিন্দু- ইংরেজরা নিলে বাঙালি মুসলমানদের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল গুদামজাত করে কৃত্তিমভাবে সংকট তৈরি করে। ফলে একসময় দেখা যায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ইতিহাসে ১১৭৬ বাংলায় হয়েছিল বলে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
এই দুর্ভিক্ষে জনসাধারণের এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যু ঘটে।
★সন্ন্যাসী বিদ্রোহ-
সন্ন্যাসী বিদ্রোহ মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে বাংলাতে তাপসের তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলন কে বোঝানো হয়।
★ সিপাহী বিদ্রোহ-
১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা যে বিদ্রোহ করেছিল তা মূলত ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
★ বক্সারের যুদ্ধ –
মীর কাসিম, নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর মিলিত হয়ে ক্লাইড ইংরেজ বাহিনী বক্সারের প্রান্তে যে যুদ্ধ হয়েছিল তাই ইতিহাসে বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
★ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ –
মূলত আঠারোশো শতাব্দি শেষ তিন দশক ধরে চলা ভারতের একটি পালাক্রমে যুদ্ধকে মহা রাজ্য এবং প্রধানত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধকে ইঙ্গ মহীশূর যুদ্ধ বলা হয়।
★সাঁওতাল বিদ্রোহ-
সাঁওতাল বিদ্রোহ এর সূচনা হয় আঠার ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহার এর ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজদের আমলের স্থানীয় কিছু জমিদার, মহাজন’, ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁওতালরা যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তাই সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাঁওতাল দের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম।
★ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন –
ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন ১৯১৯ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল ইসলামী খিলাফত পুনরুদ্ধার করতে ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা শওকত আলী, মোহাম্মদ আলী যওহর ও আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সর্ব ইসলামবাদ রাজনৈতিক প্রতিবাদ অভিযান করে। এটি সার্ভিস চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর খলিফা এবং অটোমান সাম্রাজ্যের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ ছিল।
★বাংলার নবজাগরণ-
ব্রিটিশ রাজত্বের সময় অভিবিভক্ত ভারতের বাংলা অঞ্চলে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে সমাজ সংস্কার আন্দোলনের জোয়ার ও বহু কৃতি মনীষির আর্বিভাবকে ইতিহাসে বাংলার নবজাগরণ বলা হয়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল রাজা রামমোহন রায়ের সাল থেকে (১৭৭৫-১৮৩৫) থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৩১) সাল পর্যন্ত। উনবিংশ শতকের বাংলা ছিল সমাজ সংস্কার, ধর্মীয়, দর্শনচিন্তা সাহিত্য-সাংবাদিকতা, দেশপ্রেম, বিজ্ঞানের পথিকৃৎ দের এক অনন্য সমাহার যা মধ্যযুগের অন্ত ঘটিয়ে এদেশে আধুনিক যুগের সূচনা করে।
সবাইকে ধন্যবাদ।