সম্মানিত গ্রাহক,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা? নিশ্চয়ই ভালো আছেন? আর ভালো থাকুন এটাই আমরা চাওয়া। আজ আপনাদের জন্য নতুন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। যা জানা আপনার, আমার ও আমাদের বর্তমান সময়ের জন্য অতীব জরুরী। বন্ধুরা, আপনারা থাম্বেল দেখেই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন বিষয়টি কি??আজকের বিষয় করোনা টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহন করা কেন আবশ্যক। বন্ধুরা তার আগে করোনা সম্পর্কে একটু জেনে নেই।
করোনা কি?
উত্তরঃ-
করোনা একটি সুক্ষ্ম অনু জীব যা একমাত্র প্রান আছে এমন স্থানেই এর বিস্তার ঘটে, যেমন মানুষ, পশুপাখি ও উদ্ভিদ। সুতরাং কোন পাত্র, জামা কাপড় এমন স্থানে এই ভাইরাস থাকলেও কোন বংশবিস্তার করতে পারেনা কিন্তু এখানে এরা প্রায় ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আর বাতাসে এরা মাত্র ৩ ঘন্টা বেঁচে থাকে।
তাই মাক্স ও হ্যান্ড গ্লোভস পরিধান করতে হবে। কিভাবে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে?
উত্তরঃ-
১। শরীরের কাটা বা ক্ষত স্থানের মাধ্যমে
২। চোখের মাধ্যমে
৩। নাকের মাধ্যমে ও
৪। মুখের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে প্রথমে লান্স,ও কিডনিকে আক্রান্ত করে। সুতরাং এই চারটি অংগকে সাবধানে রাখতে যে সমস্ত কার্যক্রম করা দরকার তাই করতে হবে। যেমনঃ-
১ বাহিরে ঘোরাঘুরি করা যাবে না।
২। একজন থেকে অন্যজনের দুরত্ব ৬ ফিট হতে হবে।
৩। হাত না ধোয়া পর্যন্ত মুখে, নাকে ও চোখে এবং কাটা স্থানে কোন ভাবেই হাত লাগানো যাবে না।
৪। মাক্স ও গ্লোভস ছাড়া কোনভাবেই চলাচল ও কাজ করা যাবে না
৫। বাজারের সবজি ধুয়ে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটিয়ে রান্না করতে হবে।
৬। সব সময় গরম জল খেতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠান্ডা জল কোন ভাবে পানযোগ্য নয়।
হা বন্ধুরা ইতিমধ্যে অনেকেরাই করোনা টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছেন। আবার অনেকই দ্বিতীয় ডোজও কমপ্লিট করেছেন। আবার কেউ কেউ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনিচ্ছুক। এবার জানবো দ্বিতীয় ডোজ কেন জরুরি। বন্ধুরা বুস্টার ডোজ বা ২য় ডোজ নেওয়ায় নিয়ম হলো ১ম ডেজ নেওয়ার ৪-৮ সপ্তাহ পর। কেন এই ডোজ নিতেই হবে?
এর কারন জানলে আমরা সবাই ২য় ডোজ নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে যাব। আসুন জেন নেই। করোনা সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে রক্তের শ্বেত কণিকা। করোনার ভ্যাক্সিন দেহে ঢুকেই দুটো শ্বত কণিকাকে একটিভ করে দেয়। একটি প্লাজমা বি সেল এবং অন্যটি মেমোরি টি সেল। প্লাজমা সেলের প্রধান কাজ হলো দেহে গনহারে এন্টিবডি তৈরি করা। আর এন্টিবডির কাজ হলো বহিরাগত বডিগুলোকে ভেঙে ফেলা।
একদিকে প্লাজমা বি সেল এন্টিবডি তৈরি করতে থাকে, অন্য দিকে সেই এন্টিবডি গনহারে ভাইরাস বডিকে ধ্বংস করতে থাকে। আর এই সময়টাতেই অনেকেরই হালকা জ্বর দেখা দেয়। তবে জ্বরের ওসুধ খেলেই জ্বর কুমে যাবে। এই সময়ের জ্বরে ভয়ের কিছু নেই। এভাবেই দেহ থেকে ক্রমাগত দুর হতে থাকে অবাঞ্চিত করোনা ভাইরাস।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো প্লাজমা বি সেলের স্থায়িত্বকাল খুবই কম। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দুর্বল হতে থাকে এই কোষগুলো। ফলে পুনরায় দুর্বল হতে থাকে আমাদের ইমিউন সিস্টেম। আর এই সময়টাই দিতে হয় চলতি টিকার ২য় ডোজ বা বুস্টার ডোজ। যার মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেম বিপুল শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
আর একই ব্যপার ঘটে মেমোরি টি সেলের ক্ষেত্রেও। এই ২য় ডোজে মোটামুটি কয়েক দশক পর্যন্ত টিকে থাকে এই কোষগুলো। এর মানে কি দাড়ালো? দীর্ঘ সময়ের জন্য আমরা করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রইলাম। বন্ধুরা ২য় ডোজ কমপ্লিট করার পরেও মাস্ক পরাতে অনিহা ও বিলম্ব করা যাবে না।
কারণ বহিরাগত ভাইরাস হয়তো আমাদের শরীরে নিস্ক্রিয় থাকবে কিন্তু আমাদের হাঁচি কাশি ও নিশ্বাসের মাধ্যমে অন্যদের দেহে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তাই টিকা কমপ্লিট করার পরেও সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলা আমাদের মানবিক দ্বায়িত্ব। আসুন বন্ধুরা
মাস্ক পরি সুস্থ থাকি
করোনা প্রটোকল মেনে চলি ও অন্যদেরকেও মেনে চলতে উৎসাহ প্রদান করি। আর মাবার সেবা করি ও গ্রাথোরন.কমের পাশেই থাকি।