প্রিয় ভাই বোন বন্ধুরা
আসসালামুু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা। বর্তমান মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করে যার যার অবস্থানে থেকে সুন্দর মনে সুস্থ থাকুন এটাই আমার প্রত্যাশা। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। যেখানে ফুটে উঠেছে একটি মেয়ের নারী জীবনের আর্তনাদ, ফুটে উঠেছে বিয়ের পরে তাকে স্বামীর সংসারে তার সংগ্রামী জীবনের সূচনা, এটি একটি বাস্তবচিত্র যা আমি চয়ন করেছি মাত্র। বন্ধুরা আসলেই একটি মেয়ে বাবা মা ছেড়ে যখন তার স্বামীর হাত ধরে শ্বশুর বাড়িতে আসে তখন ওই পরিবেশে তাকে নানান জটীলতার সম্মুখীন হতে হয় আর যদিই বা তার স্বামী তখন কাছে না থাকে তখন কি কস্টেই না জীবন কাটে আসুন স্বামীর কাছে স্ত্রীর পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নেই।
স্ত্রীর পত্রঃ
নেটে আছো অথচ কোন কথা নেই। কেনই বা বলবে আমি তো তোমার সুন্দর জীবন টা নষ্ট করে দিলাম। আচ্ছা কখনও ভেবেছো নাকি ভাবতেই চাও নি আমি একটা মেয়ে আমার ও কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে? নিজের মতো একটু তোমার সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছা করে, বিয়ের পর থেকে দেখে আসছি ১০ দিনের দিন চলে গেলে। আর পরে বাড়ি আসার পর থেকে কোথায় গেল একটু সময় বউয়ের জন্য? নিজের বিয়ে করা বউয়ের জন্য ও তোমার জবাবদিহি করতে হয়, সব আগের কালের চিন্তা চেতনায় আটকে দিলে।একটু বুজতে চাইলে না আমার মন। বার বার বলেই যাচ্ছো তোমার জীবনটা নষ্ট করছি।
একটু ভেবেছো আমাকে, আজ খারাপ বললে। তোমাদের কাছে কেন খারাপ? আজ যদি তুমি পাশে থাকতে এমন হতো না। আমার দোষ দিবে জানি, একটু ভেবেছো এক পক্ষের দোষ হয় না, একটা মেয়ে স্বামীছাড়া শ্বশুড়বাড়ি থাকলে কেমন পরিস্থিতি হয় তুমি তা কেন বুজবে। আমিই তো খারাপ। ভেবে দেখেছো অন্য ফ্যামেলি থেকে তোমাদের ফ্যামেলিতে কাজ কেমন। আমি তো তোমাদের কোন কাজই করি না। বিয়ের পর থেকে শুধু জ্ঞান আর জ্ঞান দিয়েই যায় ছোট বড় সবাই।
খুব জ্বলে যাচ্ছে একটু সুখে থাকতে চাইলে, আমি ভাবতাম তোমার বাড়ির কেউ না চাইলেও তুমি আমাকে বুজবে, আমার ধারনা ভুল, ভাবতাম কনসেপ্ট করেছে তুমি অন্তত খুশি হবে তাও আজ স্পষ্ট ।অনেক সুখ পেয়েছি। আমি খুব বেশি তোমার কাছে কি কিছু চেয়েছি সত্যি করে একটু ভেবে দেখেছো, যদি কোন কিছু আবদার করে থাকি ভুলে যেও। আমি তো পাগোল তোমরা প্রত্যেকে বুজতে পেরেছো। আমি সত্যি বুজতে পারিনি বিয়ে করলে তোমার সুন্দর জীবন নষ্ট হবে।
আমি তোমাদের বিষ হয়ে গেছি। সত্যি করে একটু ভেবে দেখো তো নিজের কেউ কখনও ভেবেছো নাকি নাম মাএ বউ ভেবেছো। আজ নিজের কেউ ভাবলে বলতে না রেডি হয়ে থাকতে। ১৫ দিন ও হয় নি আমি এখানে এসেছি কিভাবে বললে কেউ নিতে আসবে। নিজের বউয়ের খবরটা নিজে রাখ।অন্যের উপর চাপিয়ো না। তাদের বউয়ের খবর তোমাকে রাখতে বলবে? অসুস্থ হয়ে এখানে এসেছি। কয়বার খবর নেয় তারা? আসল কথা বাড়ির কাজের লোকই মনে করলো সবাই, কোন কাজ করলেই বাধা দাও, ভুলধরো, সমালোচনা করো। সহজভাবে নাও না।
আজ যদি তোমরা বউ মনে করতে তবে একটু বুজতে, ভয় নেই আজীবন থাকতে আসিনি। যখন খুশি তাদের নিয়ে যেতে বলিও। আমি প্রস্তুত ওবাড়ির কাজের লোকের দায়িত্বে। যার স্বামীই বুজলো না তার আর অন্য কারো কাছে কিছু আশা করা ঠিক না। আমি আর কোন নালিশ ও করবো না তোমার ফ্যামিলির কারো সম্পর্কে। আমার প্রাপ্য ওগুলো তাই প্রতিনিয়ত ওগুলো আমাকে শুনতে হবে। আমি বুজে গেছি কাজ করলে সব মনিবরা সমালোচনা করবে আর বেশি কথা চাকরদের বলবেই। বমিটা বন্ধ করেছি ওষুধে কিন্তু দুর্বলতা রয়েই গেছে সারাদিন অস্বস্তিতে আর শুয়ে কাটছে। বেশি হাটাচলা ও করতে পারছি না।
আমি অনেক সুখ পেয়েছি আর বেশি পেলে আরো হয়তো চাইবো তাই এখানে থেমে থাক সব সুখ।তোমার কাছে অনেক আবদার করে ফেলেছি, আর কোন যন্ত্রনা তোমাকে দিব না, তুমি সাবধানে থেকো, আর কোন দুশ্চিন্তা করো না, আসলে তোমার কপালে এমন বিষময়ী ছিলো তাই কিছু করার নেই। সব ভুলে যেও। আমি বুজতে পেরেছি আমার ভুল। আমি তো পাপী আবার ও ক্ষমা চাইছি তোমার কাছে পারলে মাপ করে দিও নয় অভিশাপ দিও।বার বার বিরক্ত করবো ও না। আমি সত্যি প্রস্তুত আছি।
কি বুঝলামঃ–
মেয়েটির স্বামী চাকুরীজীবি। স্ত্রীকে রেখে কর্মস্থলে তার স্বামী। শ্বশুর বাড়িতে তার একান্ত কাছের কেউই নেই। ফলে পোহাতে হচ্ছে সকল তিতা কথা ও মোটা কাজের ভার। একদন্ড সস্তির জন্য বাপের বাড়ি এসেও স্বামীর নির্দেশ আসলো বাড়ি যাওয়ার। মনের অবস্থা কেমন হয় তখন এগুলোই প্রকাশ পেয়েছে উক্ত পত্রে।
বন্ধুরা লেখাটি কাল্পনিক হলেও কারো জীবনের সাথে মিলে যেতে পারে। একটি মেয়ের বিবাহিত জীবনে এগুলো ঘটছে কিনা কমেন্ট করে জানাতে একদম ভুলবেন না। সবাই
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
মাস্ক পরুন ঘরে থাকুন
করোনা প্রটোকল মেনে চলুন
সরকারি জরুরি নির্দেশনা মেনে চলুন।