বস্তিবাসীর স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে জীবন যাপন নিশ্চিন্ত করতে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীতে আর কোনো বস্তি থাকবে না। বস্তিগুলোকে বহুতল ভবনে পরিণত করা হবে। এখন বস্তিবাসী ভাড়া দিয়ে থাকেন তেমনি তারা ও ওইসব ভবনে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে থাকবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দাসেরকান্দি পয়:শোধনগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীর উন্নয়নে তার সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
শ্রমজজীবী মানুষের জন্য ভালো বাসস্থানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে দরিদ্র মানুষকে রাজধানীতে আসতে হয়। আবার আমাদের দৈনন্দিন কাজে ও এ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেজন্যই ভালো পরিবেশ দরকার।
তিনি আর ও বলেন, বস্তিবাসী এখন যে ভাড়া দিচ্ছে সে ভাড়াতেই এখানে থাকবে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে। কাজেই তারা ও যেন সেই ছোঁয়া পায় সেটি দেখতে হবে। কেবল অবস্থাসম্পন্নদের জন্যই নয়, আমাদের উন্নয়ন সবার জন্য।
তিনি আর ও বলেন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই তিনি বস্তিবাসীকে নিজ নিজ গ্রামে পুনবাসনের লক্ষে ঘরে ফেরা কর্মসূচি চালু করেছিলেন। বস্তিবাসীর জন্যই তার সরকারের বহুতল ভবন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকবে। বি্দু্ৎ, পানির প্রি-পেইড মিটার থাকবে। তারা যতটুকু ব্যবহার করবে, তারা সেইটুকুর বিল দিবে। কারণ শহর যত উন্নত হয়, তার কাজের জন্য এ ধরনের কর্মী ও লাগে। কাজেই তাদের জীবনমান যেন উন্নত হয়, সেদিকে ও ভালোভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধো গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কিছু পরিকল্পনা করেছে, সেগুলো তিনি দেখে নিয়েছেন। কাজ ও শুরু হয়েছে। এভাবে সমগ্র ঢাকা এবং ঢাকা ছাড়া ও পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত পরিকল্পনা করেই আমরা কাজ করব। ভবিষ্যতে যে উন্নয়ন হবে, তার ছোঁয়া এই খেটে খাওয়া নিম্নবিত্তরা ও যাতে পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। কারণ, এই নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের জন্যই আমার রাজনীতি।