রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত কয়েকদিনে একাধিক বৈঠক করেছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে। এই দাবি তুললেও বিএনপি এখনো তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের বক্তব্য শোনার পর এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বৈঠকের পরিবেশ ও আলোচনার প্রেক্ষাপট
দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আটজন প্রতিনিধি, যাঁদের মধ্যে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও মুখপাত্র সামান্তা শারমিনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, “আমাদের দাবি এবং প্রস্তাবের বিষয়ে তাঁরা (বিএনপি নেতারা) আলোচনা করবেন এবং পরে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
রাজনৈতিক সংকট এড়াতে বিএনপির নীতিগত অবস্থান
বিএনপি এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা তৈরি হলে তা দেশের জন্য রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করে। ২৩ অক্টোবর, বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন নেতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন, যেখানে এই সংকট এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সমর্থন
বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলাম ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বৈঠক করেছেন। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ইতোমধ্যেই এই দাবি সমর্থন করেছে।