নৃত্যশিল্পী, মডেল এবং অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী এখন যুক্তরাষ্ট্রে সময় কাটাচ্ছেন। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, যা তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয়তার প্রমাণ। ফেসবুকে প্রায়ই দেখা যায় তাঁর জীবনের বিশেষ মুহূর্তের স্থিরচিত্র। সম্প্রতি এমনই একটি ছবিতে তিনি নিজের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র কাজলরেখা-এর জন্য পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্কের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি জমকালো অনুষ্ঠানে মন্দিরা পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা। এই অর্জন তাঁর জন্য যেমন গৌরবের, তেমনি এটি তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মন্দিরা বলেন, “এই সম্মাননা আমাকে অনুপ্রেরণা দেবে আরও ভালো কাজ করার জন্য।”
মৈমনসিংহ গীতিকার ঐতিহাসিক গল্পে মন্দিরার অভিনয়
গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত চলচ্চিত্র কাজলরেখা মৈমনসিংহ গীতিকার ৪০০ বছর আগের একটি প্রেমের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত। ছবিতে মন্দিরা চক্রবর্তী কাজলরেখার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। গল্পের আবেগময় চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পরিচালকের দিকনির্দেশনা এবং সহশিল্পীদের সহযোগিতা তাঁকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। মন্দিরা বলেন, “এটি আমার স্বপ্নপূরণের কাজ। কাজলরেখার চরিত্রে অভিনয় আমার জন্য জীবনের বড় একটি অভিজ্ঞতা।”
ছবিটি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে। রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসবে কাজলরেখা জায়গা করে নেওয়ায় এটি এখন বিশ্বমঞ্চে আরও আলোচিত হচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যামে বসবে এই উৎসবের মূল পর্ব। উৎসবে অংশ নিতে পরিচালকের পাশাপাশি মন্দিরারও যাওয়ার কথা রয়েছে।
নতুন উচ্চতায় মন্দিরা
কাজলরেখা মন্দিরার প্রথম সিনেমা হলেও এটি তাঁকে বিনোদন জগতে এক নতুন পরিচিতি দিয়েছে। এর আগে তিনি সেরা নাচিয়ে রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের এই চলচ্চিত্রই তাঁকে এনে দিয়েছে বিশেষ পরিচিতি। এমনকি অনেক ভক্ত মন্দিরাকে এখন “কাজলরেখা” নামেই ডাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিজের কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্দিরার উপস্থিতি তাঁকে ভক্তদের কাছে আরও প্রিয় করে তুলছে। তাঁর সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টগুলোতেও তিনি নিজের সাফল্য এবং অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছেন, যা তাঁর ভক্তদের সঙ্গে একটি দৃঢ় সংযোগ তৈরি করছে।
মন্দিরা চক্রবর্তীর এই সাফল্যের যাত্রা প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভা একসঙ্গে কাজ করলে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।