আপনি কি স্টুডেন্ট?পার্ট টাইম জবের কথা ভাবতেছেন?
তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ।বিজ্ঞানের ছোয়ায় পুরো পৃথিবী আশীর্বাদপ্রাপ্ত।
সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়।তাহলে ইনকাম কেন নয়?
হ্যাঁ অনলাইনেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।অনলাইনে অযথা সময় নষ্ট না করে আয়ের মাধ্যম হিসবে নিতে পারেন। ফেসবুক পেজে আর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন। আর এসবে ভিডিও আপলোড করতে হলে আপনাকে শিখতে হবে ভিডিও এডিটিং।ভিডিও আপলোড করে আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।তার আগে শিখতে হবে এডিটিং। আজ আপনাদের সে সম্পর্কেই জানাবো।
ভিডিও এডিটিং দিয়ে কি করা যায়?
ভিডিও এডিটিং দিয়ে কি করা যায় না আগে সেটা বলুন।এটা দিয়ে আপনি পুরো পৃথিবীটাকে ওলটপালট করে দিতে পারবেন।তাই এটা শেখা জরুরি।
ভিডিও এডিটিং কি?
ভিডিও মানে তো আপানারা জানেন।মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারনকৃত চলমান ছবি।আর এডিটিং হচ্ছে সেই ভিডিওটাকে ভিডিও এডিটিং অ্যাপসের মাধ্যমে নতুন রূপ দান করা।অ্যানিমেশন,গান,বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট,ভয়েস রেকর্ড,ট্রানজিশন,ভিডিও কাটা,দুই বা ততোধিক ভিডিও একখানে যুক্ত করা,টাইটেল,সাবটাইটেল যুক্ত করা ইত্যাদি কাজ করা যায়। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দুইটি অধিক জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সম্পর্কে।
1.kinemaster:
এটি একটি বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ।প্রফেশনাল ভিডিও ক্রিয়েটর রা এই অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও এডিট করে থাকে।ভিডিও এডিট করার প্রয়োজনীয় সব ফিচারই এই অ্যাপের মধ্যে আছে। প্রথমে আপনি প্লে স্টোরে চলে যান।kinemaster লিখে সার্চ দিন।তারপর অ্যাপ টা ডাউনলোড করুন।এরপর ওপেন করুন।তারপর পারমিশন চাইবে।এলাও করে দেবেন।
এরপর একটা ভিডিও এডিট করার একটা ইন্টারফেস চলে আসবে।আপনি দেখতে পাবেন।মিডিয়া নামের একটা অপশন আছে।ওখানে ক্লিক করলে গ্যালারিতে নিয়ে যাবে।পছন্দমতো ভিডিও বেচে নেন যেটা এডিট করতে চান। ভিডিওটির স্লাইড গুলোর ওপর টাচ করলে দেখতে পাবেন কিছু ট্রানজিশন এড করার অপশন এসে গেছে।এক ভিডিও থেকে আরেক ভিডিও তে যাওয়ার সময় এক বা দুই সেকেন্ডের একটা ট্রানজিশন এড করা যায়।
এখানে দেখতে পাবেন clip graphics নামে একটা অপশন আসবে।এরপর ইচ্ছেমতো সেখান থেকে ট্রানজিশন এড করতে পারবেন।এরপরের একটা অপশন আছে color filter।basic,cold,low, saturation,mono,vivid,warm etc filter use করে যেমন ইচ্ছে তেমন লুক এনে ভিডিওটির বৈচিত্র্য পাল্টে দিতে পারেন।
এরপর একটা অপশন adjustment.এখানে ক্লিক করে brightness বাড়াতে পারেন।এছাড়াও contrast, saturation এড করতে পারেন।
ইন্টারফেসের একটু ওপরের দিকে একটা কাচির মতো চিহ্ন আছে।এটা ব্যবহার করে আপনি ভিডিও এর শুরু,শেষ,মাঝখানে যেখানে ইচ্ছে অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলতে পারেন।
Rotate/ mirroring অপশন ব্যবহার করে ভিডিওটাকে
উপর,নিচে,ডানে,বামে যে কোন এঙ্গেলে ঘুরাতে পারেন।
এবার যদি একাধিক ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে media অপশনে ক্লিক করে দুই বা ততোধিক ভিডিও সিলেক্ট করুন।
ভিডিও দুটির মাঝখানে প্লাস আইকনে ক্লিক করুন।
Transition effect নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। এর মধ্যে আছে travel and activity,text transition, sentimental, presentation, powerful, picture in picture and multivideo,fun transition, classic transitions,3d transition etc
চমৎকার সব effect দিয়ে ভিডিওটি প্রফেশনাল লেভেলের লুক দিতে পারবেন।ভিডিওটা দেখতেও আকর্ষনীয় ও দৃষ্টিনন্দন লাগবে।
আপনি layer নামের একটা অপশন দেখতে পাবেন এখানে ক্লিক করে আপনি ভিডিওতে টেক্সট,স্টিকার,হ্যান্ড রাইটিং যোগ করতে পারবেন।
Audio অপশন থেকে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক এড করতে পারেন।
Recording অপশন থেকে নিজের কন্ঠে ভয়েস রেকর্ড করতে পারেন।সেখানে echo, reverb সেট করতে পারেন।
এক কথায় একটা আকর্ষনীয় লুক দিতে পারবেন যদি ভিডিও এডিটিং ভালোভাবে করতে পারেন।
এরপর ওপরের দিকে কর্নারে বর্গের মতো একটা আইকন দেখতে পাবেন।সেখানে ক্লিক করে
Export করুন।একটু ওয়েট করুন একটু পর ভিডিও তৈরী হয়ে যাবে।
Inshot:
এটাও একটি চমৎকার অ্যাপ।প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করার পর ওপেন করবেন।পারমিশন এলাও করবেন।
এরপরে new নামের একটা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে গ্যালারিতে চলে যাবেন।পছন্দ মতো ভিডিও সিলেক্ট করার পর এডিটের কাজ করবেন।অনেক গুলো অপশন আসবে canvas, music, sticker, text, filter, precut, split, delete, background, speed, crop, volume, duplicate, rotate etc ব্যাবহার করে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন।
Background ব্যবহার করে অনেক সুন্দর ভিডিও এডিট করা যায়।এছাড়াও টিকটকে যে ভিডিও গুলো দেখে থাকেন ধীরে ধীরে হাটা ওরকম ভিডিও আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে করতে পারবেন speed অপশন টার volume কমিয়ে।এছাড়াও আপনি ফটো দিয়ে ভিডিও তৈরী করতে পারেন।
এই ছিল দুটি অ্যাপসের বিস্তারিত আলোচনা।আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।