হ্যলো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়।
বন্ধুরা বরাবরের মতো চলে এলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বন্ধুরা আজ আর কোন আউটসোর্সিংয়ের কথা বলবো না, আজ যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হলো একটি ব্যবসার আইডিয়া। বন্ধুরা ব্যবসা আমরা সকলেই করতে চাই কিন্তু আমরা অনেকে ভয়ে ব্যবসা করতে চাই না যদি ধরা খেয়ে যায় এই কারণে অনেক টাকা নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমরা অনেকে ব্যবসা করতে চাই না।
তো বন্ধুরা আমি আজ আপনাদের এমন একটি ব্যবসার কথা বলব যেখানে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন এবং খুব অল্প টাকা খরচ করে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন যেখানে ঝুঁকিও খুব কম থাকবে এটা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি এটা ডিজিটাল যুগ এই যুগে সবকিছু এখন অনলাইনে সম্ভব যে কোন কিছু আপনি বলতে পারেন সেটাই দেখুন এখন অনলাইনে হচ্ছে। শপিং থেকে শুরু করে চিকিৎসা সবকিছু এখন অনলাইনে করা সম্ভব এবং আমরা করে থাকি। তো অবশ্যই বন্ধুরা ভুলে গেছেন কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমরা অনলাইন ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব।
এযুগের খুবই দারুন একটি ব্যবসা অনলাইন ব্যবসা। অনলাইন ব্যবসা করে অনেকে মাসে হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র তাদের গুন দেখিয়ে। আমি আগেই বলেছি এখানে করতে বেশি দরকার হয়না এখানে যদি দরকার হয় সেটি হচ্ছে আপনার দক্ষতা কারিগরি দক্ষতা যদি আপনার প্রতি হিসেবে কাজ করবে আপনার দক্ষতা যত ভালো হবে সেল তত বাড়বে। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আমাদের আজাদকে আলোচনা।
বন্ধুরা অনলাইন ব্যবসা করতে গেলে কি প্রয়োজন হয়?
বন্ধুরা অনলাইন ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কিছু জিনিস দরকার যার মধ্যে একটি মোবাইল ফোন বা একটি কম্পিউটার খুব অল্প পরিমান কিছু অর্থ এবং সব থেকে বেশি পরিমাণ যে জিনিসটি দরকার সেটি হলো আপনার পরিশ্রম বা আপনার মেধা। পরিশ্রম না করলে আপনি কোথাও তাই পাবেন না কোন কাজ করে আপনি সফল হতে পারবেন না।
তো আপনারা হয়তো ভাবছেন যে আমরা নিয়ে ব্যবসা করব। বন্ধুরা আপনার এখানে যে কোন কিছু নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন আপনি নিজেই চিন্তা করেন যে আপনার মেধা শক্তির মধ্যে কোন জিনিসটি আপনি সবথেকে ভালো বানাতে পারেন বা সেটা সবথেকে ভালো প্রেজেন্ট করতে পারেন।
সেটা হতে পারে আপনার তৈরি রান্না বা আপনার তৈরি কোন প্রোডাক্ট, যেমন মেয়েদের জামা, মেয়েদের বিভিন্ন রকম হাতে তৈরি গহনা, এরকম কুটির শিল্প, মাটির তৈরি জিনিস, ওয়ালমেট, ছোট ছোট আসবাবপত্র যেগুলো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আরও অনেক রকম জিনিস আছে যেগুলো আমরা ঘরে বসে বানাতে পারি এবং যেগুলো চাহিদা বর্তমান বাজারে প্রচুর হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে এখন জনপ্রিয় হচ্ছে কেক তৈরি।
হ্যা বন্ধুরা আপনারা ঠিকই দেখেছেন কেক তৈরি। এই তৈরি করে আমরা মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি। প্রথমে আপনাকে কেক তৈরি টা খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। বন্ধুরা আমরা সকলেই জানি পৃথিবীতে আমাদের বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না কিন্তু একটা যদি আমরা ঘরে তৈরি করি করে যদি আমরা বিক্রি করি তবে আমরা বিক্রি করতে পারবো আমাদের যা খরচ হবে তার দ্বিগুণ দামে।
তো বুঝতেই পারছেন আমরা যদি একটি কেক বানাতে ২০০ টাকা খরচ করি তবে সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ছয়শো টাকা বিক্রি করতে পারব। এবং এই প্যাকটি তৈরি করতে আমাদের সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ ঘন্টার মত সময় লাগবে। কেক তৈরি কিন্তু তেমন কোনো কঠিন কাজ না এটা আপনি আপনার পরিবার থেকে বা ইউটিউব দেখে যেকোনো ভাবে শিখতে পারেন।
আমি শুধু কেকের কথা বললাম আপনারা এখানে চাইলে যেকোনো জিনিস নিয়ে কাজ করতে পারবেন যেটি আপনি ভালো তৈরি করতে পারেন। তো বন্ধুরা তৈরি করা জিনিস কিভাবে অনলাইনে প্রেজেন্ট করবেন। আপনারা অবশ্যই ফেসবুকে একটি পেজ খুলবেন আপনি যে জিনিসটা তৈরি করবেন সেটার উপর ভিত্তি করে। এবার আপনি আপনার তৈরিকৃত জিনিস খুব সুন্দর করে কয়েকটি ছবি তুলুন চাইলে ছবিগুলো একটু এডিট করে নিতে পারেন।
তারপর আপনি আপনার ফেসবুক পেজে এই ছবিগুলো আপলোড করুন তার সাথে ভালো ভালো কিছু কথা লিখে দেন এবং আপনার প্রোডাক্ট এর দাম এবং সেটার লোকেশন এ সবকিছু আপনি আপনার অনুযায়ী দিয়ে দিবেন। আপনি আপনার প্রোডাক্ট ভিউ বাড়াতে বা সেল বাড়াতে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে পারেন তাহলে আপনার প্রোডাক্টটির আরো অনেক বেশি ভিউ হবে যার ফলে আপনার প্রোডাক্ট সেল আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তো বুঝতেই পারছেন বন্ধুরা কিভাবে আমরা খুব সহজে অনলাইন ব্যবসা করব এবং আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন যে এই ব্যবসা করতে হলে বেশি পুঁজি দরকার পড়ে না দরকার পড়ে আপনার শ্রম এবং আপনারা হাতের কারিগরি দক্ষতা ফুটিয়ে তুলবে আপনার প্রতিভাকে দিন দিন সবার মাঝে।