অর্থ উপার্জনের জন্য শক্তির প্রয়ােজন । যদি যথেষ্ট শক্তি না থাকে এবং তাকে অ্যাকশনে নামানাে না যায় তাহলে পরিকল্পনা করেও কোনাে লাভ হয় না। শক্তিকে সংগঠিত এবং বুদ্ধিদীপ্তভাবে পরিচালিত জ্ঞান’ বলা চলে। এখানে শক্তিকে সংগঠিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা একজন ব্যক্তি মানুষকে আকাক্ষায় রূপান্তরিত করে অর্থের সমার্থক হয়ে উঠতে পারে অর্গানাইজড এফোর্ট বা সংগঠিত প্রচেষ্টা দুই বা ততােধিক মানুষের সম্মিলিত কর্মের দ্বারা সৃষ্টি হয় যারা একত্রে কাজ করে একটি সুনির্দিষ্ট সমাপ্তির জন্য | শক্তি কীভাবে অর্জন করা যায় তা নিয়ে এখন লােচনা করা যাক। শক্তি যদি সংগঠিত জ্ঞান হয়ে থাকে তবে জ্ঞানের সোর্স বা উৎসগুলাে পরীক্ষা করে দেখি:
ক. অসীম জ্ঞান এ জ্ঞান অর্জন করা যায় সৃষ্টিশীল কল্পনার সাহায্যে যার কথা পূর্বেই কোনাে অধ্যায়ে আলােচনা করা হয়েছে। খ, সঞ্চিত অভিজ্ঞতা মানুষের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার কথা যে কোনাে গণগ্রন্থাগারে পাওয়া যেতে পারে। এই সঞ্চিত অভিজ্ঞতার একটি অংশ পাবলিক স্কুল এবং কলেজে পড়ানাে হয়, যেখানে এটি ক্ল্যাসিফায়েড এবং অর্গানাইজ করা হয়।
গ, এক্সপেরিমেন্ট এবং রিসার্চ : বিজ্ঞান এবং মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ একত্রিত হয়ে ক্ল্যাসিফাই করছে এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সংগঠিত করছে। যখন ‘সঞ্চিত অভিজ্ঞতার দ্বারা জ্ঞান সহজলভ্য নয় তখন এ সাের্সটিকে কাজে লাগাতে হবে। এখানেও প্রায়ই সৃজনশীল কল্পনাকে ব্যবহার করা হয় ।
পূর্ববর্তী যে কোনাে সূত্র থেকেই জ্ঞান আহরণ করা চলে। একে নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় সংগঠিত করে শক্তিতে রূপান্তর ঘটানাে সম্ভব এবং সেই প্ল্যানগুলাে নিয়ে অ্যাকশনে নামতে হবে। জ্ঞানের এ তিনটি সূত্র যে কোনাে মানুষের অসুবিধাগুলাে দূর করে দেবে যদি সে নিজের প্রচেষ্টার ওপর নির্ভরশীল থাকে এবং জ্ঞান আহরণ করে তা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারে । তার পরিকল্পনাগুলাে যদি হয় সমন্বিত এবং বৃহৎ তাহলে তাকে অন্যদের সাহায্য নিতে হবে।