সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আসসালামুয়ালাইকুম!
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহ তায়ালার রহমতে সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
তো আমি আবারো ধারাবাহিক ভাবে
৮ম শ্রেনীর শিক্ষাথীদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর নিয়ে (বাংলায়জ) আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আমি আশা করি আপনারা যদি সুন্দর ভাবে বাংলা গুলোর পাশাপাশি আরবি গুলো খাতায় লিখতে পারেন, তাহলে আমি অবশ্যই বলবো এই বিষয়ে আপনার A+ নিশ্চিত।
তো এবার খাতা কলম নিয়ে তৈরি হয়ে যান, লিখার জন্য।
প্রশ্ন।১৩, কুরআন বিষয়ের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম কেয়ামত সম্পর্কে ক্লাসে আলােচনা করতে গিয়ে বলেন , কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে কেয়ামতের ছােটবড় কিছু আলামত প্রকাশিত হবে। ক্লাসের ছাত্রী কেয়ামতের একটি উল্লেখযােগ্য আলামত জানার ইচ্ছে পােষণ করলে হুজুর বললেন , ইয়াজুজ মাজুজের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এরপর তিনি নিচের আয়াত তেলাওয়াত করলেন – حتى إذا فتحت ياجوج وماجوج وهم من كل حدب;
( ক ) কেয়ামতের আলামত কয় প্রকার ও কী কী ?
(খ) . উদ্দীপকের বর্ণিত আয়াতের অনুবাদ লেখ।
(গ) . কেয়ামতের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি বড় আলামত তোমার । পাঠ্যবইয়ের আলােকে বর্ণনা কর।
(ঘ). কেয়ামতের বড় আলামতের বর্ণনায় যে ইয়াজুজ মাজুজের কথা , বলা হয়েছে , তুমি এ ব্যাপারে কী জান ? বিস্তারিত বিবরণ দাও।
“””””””””””””১৩ নং প্রশ্নের উত্তর ।”””””””””””
(ক) , কেয়ামতের আলামত দু’প্রকার । যথা- ১. আলামতে কুরবা বা বড় । আলামত , ২. আলামতে সুগরা বা ছােট আলামত ।
(খ) উদ্দীপকে বর্ণিত আয়াতটি হচেছ সূরা আম্বিয়া – এর ৯৬ নং আয়াত।
*আয়াতটিতে কেয়ামতের আলামত বর্ণনা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ। ইরশাদ করেন , “ যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উঁচুভূমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে।
(গ) . কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ছােটবড় অনেক আলামত প্রকাশিত হবে অতঃপর চূড়ান্ত পর্যায়ে কেয়ামত সংঘটিত হবে। • রাসূল ( স ) -এর বর্ণনা অনুযায়ী কেয়ামতের বড় আলামত হচ্ছে । সর্বমােট ১০ টি । এ হাদীসটি হযরত হােফয়ফা ইবনে উসাইদ ( রা ) বর্ণনা করেছেন।
কেয়ামতের বড় দশটি আলামত হচ্ছে ১. পূর্বদিক থেকে ধোঁয়া বের হওয়া , ২. দাজ্জালের আত্ম প্রকাশ , ৩. ‘ দাব্বাতুল আরদ’- এর আত্মপ্রকাশ , ৪. পশ্চিম দিক থেকে সূর্য । ওঠা , ৫. ইসা ইবনে মারইয়াম ( আ ) -এর পৃথিবীতে অবতরণ , ৬ . ইয়াজুজ মাজুজের প্রকাশ , ৭. পূর্বদিকে ভূমিধ্বস , ৮ , পশ্চিম দিকে ভূমিধ্বস , ৯ , আরব উপদ্বীপে ভূমিধ্বস , ১০ , ইয়েমেনের দিক থেকে আগুন বের হবে , যা মানুষদেরকে তাড়িয়ে হাশরের ময়দানে একত্রিত করবে।
(ঘ). কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ছােটবড় অনেক আলামত প্রকাশিত হবে।
অতঃপর চূড়ান্ত পর্যায়ে কেয়ামত সংঘটিত হবে। কেয়ামতের বড় আলামতসমূহের মধ্যে একটি উল্লেখযােগ্য , আলামত হচ্ছে ইয়াজুজ মাজুজের আত্মপ্রকাশ। তাফসীরে মায়ারেফুল কুরআনে ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে যে আলােচনা করা হয়েছে , তার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ ইয়াজুজ মাজুজ সাধারণ মানুষের মতােই মানুষ এবং নূহ ( আ ) এর। সম্ভানসন্ততি। অধিকাংশ হাদীসবিদ ও ঐতিহাসকগণ তাদেরকে ইয়াফেস ইবনে নুহের বংশধর সাব্যস্ত করেছেন। ইয়াজুজ মাজুজ শুধু তাদেরই নাম যারা বর্বর , অসভ্য ও রক্তপিপাসু জালেম সম্প্রদায়। তাদের সংখ্যা পৃথিবীর সমগ্র জনসংখ্যার চেয়ে অনেকগুণ বেশি। ইয়াজুজ মাজুজের যেসব সম্প্রদায় জুলকারনাইনের প্রাচীরের কারণে ওপারে আবদ্ধ হয়ে আছে , তারা কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত এভাবে আবদ্ধ থাকবে। তাদের মুক্ত হওয়ার সময় জুলকারনাইনের প্রাচীর বিধ্বস্ত হয়ে সমতল ভূমির সমান হয়ে যাবে। তখন ইয়াজুজ মাজুজের অগণিত লােক সাধারণ জনবসতি ও সমগ্র পৃথিবীর ওপর ঝাপিয়ে পড়বে। তাদের হত্যাকাণ্ড ও লুটতরাজের মােকাবেলা করার মতাে শক্তি কারাে থাকবে না। সে সময় পানাহারের রসদসামগ্রী নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং জীবনধারণের প্রয়ােজনীয়। আসবাবপত্রের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে পড়বে এ বর্বর জাতি অবশিষ্ট জনবসতিকে খতম করে দিবে এবং নদনদীর পানি মুহূর্তের মধ্যে পান করে নিঃশেষ করে ফেলবে। এ সময় হযরত ইসা ( আ ) – এর আগমন ঘটবে। তার ও তার সঙ্গীদের দোয়ায় ও পঙ্গপালসদৃশ অগণিত লােক নিপাত যাবে। তাদের মৃতদেহ সমূহ ভূপৃষ্ঠকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে এবং দুর্গন্ধের কারণে পৃথিবীতে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়বে। অতঃপর হযরত ইসা ( আ ) ও তার সঙ্গীদের দোয়ায় তাদের মৃতদেহ অদৃশ্য করে দেয়া হবে এবং বিশ্বব্যাপী বৃষ্টির মাধ্যমে সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে ধুয়ে মুছে পাক সাফ করা হবে। উপর্যুক্ত ঘটনার পর প্রায় চল্লিশ বছর পৃথিবীতে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত থাকবে। কেউ দরিদ্র থাকবে না এবং কেউ কাউকে ব্ৰিত করবে না। সর্বত্রই সুখশান্তি বিরাজ করবে।
**আজ এই পযন্ত দেখা হবে আবারো।
*আশা করি আমার লেখা পোস্ট-টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে।
**আজকে এই পযন্ত, দেখা হবে নতুন কোনো আবারো।
*হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন মাক্স পড়ুন এবং নিরাপদ থাকুন সামাজিক ডিসটেন্স বজায় রাখুন।
লেখক: মুহাম্মাদ সজিব মৃধা
(আল্লাহ হাফেজ)