প্রতারিত হবার কারণ হচ্ছে ইন্টারনেট এ বিশেষ করে ইউটিউব এ যেসব অডিও, ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় আউটসোর্সিং এর নামে এর ৯০ ভাগের ও বেশি সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত ! অবাক লাগলেও সত্যি যে ক্যাপচা সলভিং, কপি পেস্ট, এ্যাড ভিউ এগুলো আউটসোর্সিং নয় । আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানতে হলে ব্লগ টি শেষ পর্যন্ত পরার অনুরোধ রইল ।
এখানে আমি আউটসোর্সিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ব্যাসিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, ইনশাল্লাহ আপনাদের উপকারে আসবে ।আউটসোর্সিং কি ?
আউটসোর্সিং এর জন্য জনপ্রিয় কিছু সাইট আছে । যে সাইট গুলো তে নিজের নামে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে, নিজের প্রোফাইল এ গিয়ে আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা যুক্ত করবেন । এবং সেখানে অনেক ক্যাটাগরির কাজ আছে, আপনি যে ক্যাটাগরির কাজ করতে পারেন সেই ক্যাটাগরিতে যাবেন এবং সেখানে দেখতাম পাবেন যারা কাজ করাতে চায় তারা কাজের বিবরণ ও কাজের জন্য কত থেকে কত ডলার ( যেমন একটা আর্টিকেল লেখার জন্য ৫-১৫ ডলার ) বাজেট দিবে । আপনি পোস্ট টি তে বিট দিলে, যে কাজ করাবে সে আপনার বিট দাতাদের প্রোফাইল এ ঘুরে যার প্রতি ইম্প্রেসিভ হবে তাকে কাজ দিবে । এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে, কারন নতুন অবস্থায় কাজ পেতে দেরি হবে ।
আউটসোর্সিং সাইট গুলোতে আপনার কাজের মান অনুযায়ী আপনার র্যাংকিং এবং সুনাম দুটোই হবে , যা আপনাকে পরবর্তী তে কাজ পেতে সহায়তা করবে । নিচে আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় কয়েকটি ওয়েব সাইট এর নাম দেয়া হলো
১. ফ্রিল্যান্সার ( www.freelancer.com )
২. আপওয়ার্ক ( www.upwork.com )
৩. গুরু ( www.guru.com )
ইত্যাদি ।
আউটসোর্সিং কোথায় শিখব ?
অনেকেই মনে করেন যে ফ্রিল্যান্সিং আলাদা করে শিখতে হয়, যা একটি ভ্রান্ত ধারণা । এই ভ্রান্ত ধারণা কে কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা আর ফ্রিল্যান্সিং খাতে বেকার তৈরি করছে কিছু ট্রেনিং সেন্টার, অবশ্যই চাকচিক্য বিজ্ঞাপন দিয়েই আকৃষ্ট করছে, ফ্রিল্যান্সিং এ আলাদা কিছু শেখার নেই । আপনি আর্টিকেল লিখতে ও ইংরেজী জানেন, তাহলে আর্টিকেল লিখে আউটসোর্সিং করতে পারবেন, আপনি পাওয়ার পয়েন্ট এর কাজ পারেন কিংবা ভালো লোগো ডিজাইন করতে পারেন, তাহলে ও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন । আপনি কম্পিউটার এর ব্যাসিক ( অফিস ম্যানেজমেন্ট ) পারলে, আউটসোর্সিং করে উপার্জন করতে পারবেন ।