আপনার ফোনের সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে । চমকাবেন না ঘাবড়াবেন না অকারণে আপনার ফোনের সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না । সাধারণত প্রায় ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো পরিপূর্ণ সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন চালু ছিলো না । এখন বর্তমানে প্রায় ২০১৬ সালের পর থেকে বায়োমেট্রিক সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চালু করা হয়েছে বাংলাদেশে । আমরা অনেকেই জানি আগে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন না থাখার কারণে জনগণ অসংখ্য সিম কার্ড কিনে রাখত প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ।
একই সঙ্গে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন না থাখার কারণে মানুষ এগুলো অবৈধ কাজে ব্যবহার করতেন । এখন নিজ নিজ ফিংগারে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না । সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো আপনার নিজ ফিংগারে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন থাকার পরও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন গভমেন্ট । এর কারণ হলো যখন রেজিস্ট্রেশন বিহীন অসংখ্য সিম কার্ড অপ্রয়োজনে আমরা সংগ্রহ করতাম, অনেক সিম কার্ড আমরা বছরের পর বছর বন্ধ রেখে দিতাম ।
এর কারণে দেখা যায় সিম কম্পানির যে নির্দিষ্ট ডিজিটের সিম কার্ডের সিরিয়াল নাম্বার থাকে তা এক সময় তৈরি করা শেষ হয়ে যায় । এর ফলে সিম কম্পানি নতুন ভাবে নতুন সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে সিম কার্ড তৈরি করা শুরু করে । অথর্চ জনগণ এইযে বহু সিম কার্ড অকারণে বন্ধ করে রাখে এগুলো থেকে কম্পানির কোনো লাভ আসে না । একই সঙ্গে একজন ব্যক্তি সিম কার্ড কেনার কিছু দিন পর মারা গেলেন এই সিম কার্ডটি ও আর একজন ব্যক্তি ব্যবহার করা অন্যায় ।
এসব বিষয়ে বিবেচনায় করে বাংলাদেশ সিম কার্ড বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় ও একটি সিম কার্ড একসাথে ১৫ মাস যদি ব্যবহার করা না হয় তাহলে সিম কার্ড কম্পানি তা রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে অন্যের অধীনে পূণরায় নতুন ভাবে সিম কার্ডটি রেজিস্ট্রেশন করে বিক্রয় করে থাকে । আপনারা কখনো এমন ভুল করবেন না যে গভমেন্ট আমাদের একজন ব্যক্তিকে একটি ( এন আই ডি ) কার্ড দিয়ে ১৫ টি সিম কার্ড ব্যবহারের সুযোগ দেয় ।
এর কারণ হলো আপনার ছোট ছেলে, মেয়ে, বাচ্চা যাদের ( এন আই ডি ) কার্ড হয়নি তাঁরা যেন ( এন আই ডি ) কার্ড ছাড়া ফোনে সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারে আপনার রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম কার্ড দিয়ে । কিন্তু যারা অকারনে অতিরিক্ত সিম কার্ড কিনে ব্যবহার না করে একনাগাড়ে ১৫ মাস বন্ধ রাখে তাদের সিম কার্ড নির্দিষ্ট সিম কম্পানি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আপনার লাইলটি কেটে অন্যের অধীনে সিম কার্ড বিক্রি করে দেয় ।
আপনাদের যদি কোন কারণে একাধিক সিম কার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তবে যে সিম কার্ডটি বন্ধ করে রাখবেন সেটি অবস্যই তিন (৩) মাস অন্তর অন্তর একবার করে হলেও রিচার্জ করে নিবেন ।