ভেবেছিলাম আর কখনও যোগাযোগ হবে না ; নো ফোন, নো ম্যাসেজ, নো মিট ইত্যাদি ইত্যাদি। কি জানি হয়তো সংকল্প ভেঙে পুনরায় নিজেকে প্রশ্ন বিদ্ধ করলাম। যদিও তেমন কিছু বলার নেই, তারপর ও গুটি কয়েক কথা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে, তোমার কাছে আত্মপ্রকাশ করবে বলে। তুমি ব্যস্ত না থাকলে ফোনেই বলা যেত, কিন্তু কি আর করা, লেখালেখি দেখি সঙ্গই ছাড়ে না।
তোমায় নির্ভার করার জন্য বলছি, দেখা করা বা মিট করার আর প্রয়োজন আপাত দৃষ্টিতে একেবারেই ফুরিয়ে গেছে, তুমি অসস্তিতে থাক তা আমার কখনও কাম্য ছিল না আর কোনদিন থাকবে ও না। ভালো কথা, অসস্তিকর কিছুর সম্মুখীন হলে অবশ্যই আমায় জানাবে কিন্তু, আমি বারবার সরে দাঁড়াব।
নিজের ভালো কিসে, তা যে আমি বুঝি না, আমার কর্মকাণ্ডই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পুনরায় যোগাযোগ করে, বুঝতে পারছি না এ আমার পরাজয় নাকি অপরান্তে বিজিত হওয়া, তবে নিজের অহংকে যে ক্ষুণ্ন করেছি তা অনুমেয়। ভুলটা যে নিজের………………
আমাদের মাঝে বিরাজমান বিশ্বাস বা পারস্পরিক সম্পর্কের আঁকড়ে থরে থরে সাজানো কুঁড়ি গুলোর অপমৃত্যু হয়েছে বারংবার। হতে পারে তোমার কাছে বিশ্বাস নামক বস্তুটি এখন মরা লাশ। আমার করা ভুল গুলির জন্য যে বিষয়টি সব থেকে বেশি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল তা হল; অন্যদের- নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করা, নিজের মত ভাবা।
অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানুষ যে আলাদা- আলাদা এবং তাকে আলাদা- আলাদা ভাবা, বিচার করায় যে বাঞ্ছনীয়, সে বিষয়ে কেন জানি বে- খেয়াল ছিলাম। কোন দূরচিন্তা নেই বললেই চলে। আল্লাহতাআলা অনেক ভালো রেখেছেন।
ভেবেছিলাম পিনাপ করে বা খাতা বদলালেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে দিনশেষে কিছু কিছু মানুষের অনুপস্থিতি, মাঝে মাঝে কেন জানি সব কিছুকে শেষ করে দেয়, এ আমার আলো নয়, আঁধারের অবয়ব। ক্ষুদ্র জীবনের পরিসরে অল্প কিছু মানুষের মাঝে কিছু কিছু মানুষ যে নিজের সপ্রতিভ গুণের দরুন জীবন তরীতে আলাদা জায়গা দখল করে নিতে পারে, তা সকলের জানা।
তারা হয়ত স্মৃতির কড়ায় মাঝে মাঝেই উঁকি দেয়। কি জানি কি ভাবছো। তবে আমি এখন আরো বেশি সচেতন, বাস্তববাদী, যা হবার নয় তা নিয়ে হা-হুতাশ করি না। জানি এ অল্প হায়াতের দুনিয়ায়, কত চাওয়া- পাওয়া যে অপূর্ণ থাকবে তার ইয়াত্তা নেই। তাই না পাওয়া বিষয় বা বস্তু না পাওয়ায় থাক, পরকালে যাতে আল্লাহ তাআলার কাছে সবকিছু চেয়ে নিতে পারি।
এক সময় ইউসুফ (আঃ) ও জুলেখা (রাযিঃ) এর মতো নিজের জীবন কিছুটা গড়ার ইচ্ছা হতো। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত যে, সেই ভুল ভেঙ্গে এখন নবী করীম (সাঃ) এর জীবনাদর্শে জীবন গড়ার প্রয়াশ করছি। কেন জানি তোমাদের ভুলতে পারিনা। তোমাদের সাথে যেমন ভাবে মিশতে পেরেছি, অন্য মানুষদের সাথে তেমন ভাবে মিশতে ও পারিনা।
চোখ বুজলেই তোমার ভুবন ভুলানো সরল হাসির ঢেউ খেলে যায়। তোমাদের মত স্বচ্ছ মূল্যবান মানুষদের হারিয়ে বড্ড বেশিই ভুল করে ফেলেছি। আমি এমনিতেই তোমাদের কাছে পরাজিত সৈনিক………………………।