ভূত পেতে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না।আমি ভাবতাম ভুত আবার কি জিনিস।মানুষ এগুলো গুজব ছড়ায়।আমি তো অনেক রাত করে বাসায় ফিরি কই আমার তো সামনে কখনো কিছু পরেনি।এসব ভাবতে ভাবতে আমি রাস্তা দিয়ে আস্তে ছিলাম।মাইয়ের ওষুধ কিনতে গেছিলাম।
এজন্য বাসায় ফিরছিলাম।আমাদের সেই রাস্তায় একটা বড় গাছ আছে।ওই গাছ তার কাছে আসতেই গা টা কেমন ছমছম করতে লাগলো মনে হচ্ছিল পিছনে কেও আসছে।কিন্তু তাকিয়ে দেখলাম কেও নেই মনে মধ্যে কেমন যেনো হচ্ছিল যে আমার সাথে ত কখনো এমন হয়না।তারপর ভাবলাম এতক্ষণ ওইসব নিয়ে ভাবছিলাম এজন্যই হয়ত এমন হচ্ছে।তার পর আমি আর পিছনে না তাকিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় আসার পর আর ওইসব বিষয় কিছু মনে হলনা।
পরের দিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর কালকের ঘটনা টা তাদের বললাম।তারা তো খুব হাঁসাহাঁসি করলো।তারপর রাতে বাসায় ফেরার সময় আবারও সেই একই ঘটনা।পিছনে তাকালাম কেও নেই।হটাৎ দেখলাম গাছের একটি বড় ডাল ভেঙ্গে আমার সামনে পড়লো। ওখানে আর এক মুহূর্তও ও দাড়ায় নি।বাসায় চলে আসলাম।এসে মাকে বললাম।মা বললো রাত করে আর কখনো ওইদিক দিয়ে আসবি না।মা বললো ওই গাছ টা নাকি আগে থেকেই ভৈয়ংকর।আমার দাদা বাবা রাও নাকি আগে ওই গাছের কথা বলত ।আগেও নাকি ওই গেছে এমন অনেক জিনিস দেখা যেত।কিন্তু মাঝে অনেক দিন আর কিছু দেখা যায়নি এজন্য মানুষজন আবার ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করে।তারপর বন্ধুদের ফোন দিয়ে বললাম তারা বিশ্বাস করলো না।তারা বললো ঠিক আছে কাল সকালে গিয়ে দেখবো কোনো ডাল পরে আছে কিনা
সকালে গিয়ে দেখলাম কিছু নেই।বন্ধুরা হাসাহাসি করলো।এবং বললো আজ রাতে আমরা তর সাথে যাবো।এরপর রাতে আমি এবং আমার বন্ধুরা একসাথে আসতে দিলাম।যখনই ওই গাছের কাছে আসলাম।কেমন যেনো একটা শব্দ হলো ।না এ কোনো মনের ভুল না।কারণ আমরা সবাই শুনেছি।হটাৎ দেখলাম গাছের মগ ডালে কেও একটা বসে আছে।আমার এক বন্ধু বললো কে কে ওখানে।
ভুতটা আমদের দিকে তাকালেই দেখলাম একটা ভয়ংকর চেহারা।আমরা দৌড়ে যে যার মতো বাসায় চলে আসলাম।তার পর আমি সবাইকে বললাম এবার তো তোর আমার কথা বিশ্বাস করলে।আমি তোদের বলেছিলাম না আমি মজা করছি না।তার পর থেকে আর কখনো ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরিনি।এবং পরে শুনেছি অনেকেই নাকি ওই গাছের নিচে দিয়ে আসার সময় নানা রকম জিনিস দেখতে পেয়েছে।অনেকের নাকি অনেক বিপদও হয়েছে।ঐই গাছ টি কেটে ফেলার ও সিন্দ্ধন্ত নেওয়া হয়েছিল।কিন্তু কাটতে পারিনি যেই কাটতে গেছে তার ই ক্ষতি হইছে।এখন ওই রাস্তা বন্ধ হইয়ে গেছে।কেও আর যাতায়াত করে না।