আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুসলমান ভাই ও বোনেরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। নিরাপদে আছেন। রোজা নামাজ ও ইফতারি ভালোই উপভোগ করছেন।
হয়তো মনে মনে একটা আচমকা আতংকও কাজ করে থাকতে পারে। আর সেটা হলো করোনা কালীন ঈদ। ঈদের নামাজ। আত্মীয় স্বজন নিয়ে একত্রে ঈদ উদযাপন করাসহ আনন্দ বিস্বাদে পরিনত হওয়ার মতো অনেকগুলো বিষয়।
আপসেট হবেন না প্রিয় স্বজাতি ভাই ও বোনেরা এই ভেবে যে মহানবী (সঃ) বলেছেন, যে কোনো মহামারির সময় তোমারা নিজ নিজ ঘরে আবদ্ধ থাকো, বেশি বেশি এবাদত করো। মনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা যতটুকু হুকুম করেছেন ততটুকুই ঘটবে তার বাহিরে এক চুল পরিমান হেরফের হবেনা। তবে তোমরা সর্বক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবে।
হ্যাঁ, আমরা মুসলিমরা এই বিশ্বাসটাই বুকে ধারন করে নিজ নিজ ঘরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছি। আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন করছি। আর আশা করছি তিনিই আমাদেরকে এই মহামারি থেকে হেফাজত করবেন।
পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক যে নির্দেশনাগুলো আগামী ঈদের জন্য দিয়েছেন তাও মেনে চলা জরুরি।
মনে রাখতে হবে, করোনা যেভাবে সারা পৃথিবীর মতো আমাদের দেশেও মহামারীরুপে হানা দিয়েছে এতে করে আমাদের সকলের উচিত স্বাস্থবিধিগুলো মেনে চলা। তা না হলে আমরা এই করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবো না। একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা করোনাকে রুখে দিতে পারবো।
অন্যান্য ঈদের মতো এবারের ঈদে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চে গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরা কিছুতেই ঠিক হবেনা।
ঈদের আগে শপিং করার জন্য শপিংমলগুলোতে ভীড় করা আর করোনা শপিং করে আনা একই কথা।
ঈদের নামাজের জন্য খোলা ময়দানে গণজমায়েত না করার পরামর্শ ধর্ম মন্ত্রনালয়ের। মসজিদগুলোতে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে যে যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করুন। জায়গা ত্যাগ করে করোনার বিস্তার ঘটাবেন না।
নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করেই করোনা কালীন ঈদ উদযাপন করুন। মনে রাখবেন বেঁচে থাকলে ঈদ সামনে আরও আসবে। তখন একসাথে বেশি করে আনন্দ করে নিতে পারবেন।
সবাই ভালো থাকবেন।
ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।