আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে ওয়াটসআ্যপ সম্পর্কে যতকিছু আছে তা সব কথা বলব।
সূচনাঃ
আ্যমাজন হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। এ ওয়েবসাইটটির মালিক হচ্ছে জেফ বেজোস যিনি হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী লোকদের মধ্যে একজন। তার ইনকামের প্রায় সবটুকুই আসে এই আ্যমাজন থেকে। আর আ্যমাজনের মোট ইনকামের একটি বড় অংশ আসে তাদের ডেলিভারি সার্ভিস থেকে।
Amazon Delivery Service এর শুরু?
আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হয় আ্যমাজনের মাধ্যমে।
একটি ওয়েবসাইটের মতে আ্যমাজন তাদের ডেলিভেরি সার্ভিস ২০০৫ সাল থেকে আরম্ভ করে৷ যেটার নাম হচ্ছে Amazon Logistic। প্রথমদিকে এটি ইউএস এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছিল বর্তমানে এটি প্রায় ইউএস এর সব জায়গায় আছে। তারপর তারা ২০১৮ সাল থেকে Amazon Delivery Programme চালু করে। বর্তমানে কানাডা, ইউকে, জার্মানি, স্পেইন, ইটালি, ব্রাজিল ও ভারতে আছে। বর্তমানে আ্যমাজন ডেলিভেরি সার্ভিসে প্রবেশ করতে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে আ্যপলাই করতে হবে।
২০২১ সালের সালের মতে তারা তাদের টোটাল পেকেজের ৭২% এর মতো নিজেরাই ডেলিভারি করে।
Amazon Delivery Service এর বর্তমান অবস্থা ও ব্যবহারকারী
বর্তমানে আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিস একটি ভালো অবস্থানেই পৌঁছেছে। তারা বর্তমানে তারা ইউএস এর ডেলিভারির সবচেয়ে বড় কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি যেটি হচ্ছে FedEx কেও হারিয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালে আ্যমাজন প্রায় ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি পার্সেল ডেলিভারি করে। অনেকের মতে বর্তমানে এটিই ইউএস এর সবচেয়ে বড় ডেলিভারি কোম্পানি। তাদের ইউনিক আইডিয়া ও বিজনেস মডেল তাদের এখানে এনেছে। বর্তমানে এই ওর্ডারগুলো কম্পলিট করার জন্য প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজারের মতো ড্রাইভার রয়েছে।
Amazon Delivery Service এর জনপ্রিয়তার কারণ
আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসের জনপ্রিয়তার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। আমি আগেই বলেছি তারাতাদের ইউনিক আইডিয়ার জন্য এখানে এসেছে। তার পাশাপাশি তাদের খ্যাতি লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে হাই কোয়ালিটি প্রোফেশনাল কাস্টমার সার্ভিস। তার পাশাপাশি তাদের বিপুল পরিমাণ পণ্য, কম মূল্য ও দ্রুত ডেলিভারি তাদের আরো শক্তিশালী একটি অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সালে তারা পার্সেল ডেলিভারি করে ৪ বিলিয়ন আর ২০১৯ সালে তারা প্রায় ২ বিলিয়নের মতো পার্সেল ডেলিভারি দিয়েছে। দেখাই যাচ্ছে তারা কি পরিমাণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসে আবেদন প্রক্রিয়াঃ
প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে বাংলাদেশ থেকে আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসে আবেদন করা সম্ভব নয়। ডেলিভারি সার্ভিসে আবেদন তো দূরে থাক বাংলাদেশে আ্যমাজনের প্রায় কোনো সার্ভিসই নেই। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে যে জলদিই আ্যমাজন বাংলাদেশে আসতে পারে।
আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসে প্রবেশে পূর্বে আপনাকে কিছু সংখ্যা গাড়ি বা মোটরসাইকেল থাকতে হবে যাতে আপনি ডেলিভারিগুলো কমপ্লিট করতে পারেন। আ্যমাজনের মতে আপনাকে এই সার্ভিসে প্রবেশ করতে প্রায় ১০০০০ ডলারের মতো লাগতে পারে।
তাদের ওয়েবসাইটে আবেদন করার জন্য প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটে যান।
logistic.amazon.in বা logistic.amazon.us বা logistic.amazon.uk
আপনি যে দেশে থাকবেন সে দেশ অনুসারে ডোমেইনটি থাকবে।
প্রথমে আপনাকে একটি আ্যমাজন একাউন্ট থাকতে হবে। তারপর আপনাকে আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু ফর্ম পূরণের পাশাপাশি তারা আপনামে কিছু প্রশ্নও করতে পারে। একটি এলাকায় একজনই তাদের ডেলিভারি পার্টনার থাকতে পারবে যদিও ভবিষ্যতে তারা তা পরিবর্তন করতে পারে।
উপসংহারঃ
অবশেষে বলা যায় আ্যমাজন ডেলিভারি সার্ভিসটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি। তারা এ শুধু নিজেরাই ইনকাম করছে তা কিন্তু নয়। তারা তাদের ট্রাক ও মোটরসাইকেল ড্রাইভারদের একটি ইনকামের সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা তাদের সেলারদের ইনকামের সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা তাদের ডেলিভারি সার্ভিস পার্টনারদেরও ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। আ্যমাজন খুব দ্রুত সময়ে অনেক খ্যাতি লাভ করতেছে। আ্যমাজনকে বর্তমানে বিশ্বেত সবচেয়ে বড় ডেলিভারি সার্ভিসও বলা হয়।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আবার কয়েকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব। তো ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সেই কামনা নিয়ে আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। গ্রাথোরের সঙ্গেই থাকু