আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমরা জীবনে হয়তো অনেকেই বড় হয়ে ইউটিউবার হতে চেয়েছি,আবার কেও কেও এখুনি ভিডিও করা শুরু করে দিয়েছি।অনেকেই ইউটিউবের ইনকামটা নিয়ে এত একটা ভাবেন না তারা মনে করেন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে মোনিটাইজেশন পাওয়ার পর তার থেকে অনেক অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।কিন্তু তারা আসলেই ইউটিউব নিয়ে জ্ঞান খুব কম।আজ আমি ইউটিউবের কি কিভাবে ইনকাম করা যায়?কত বেশি ইনকাম করা যায় তা নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নেের উওর দেবোঃঃ
১.ইউটিউবে ইনকাম করার কয়টা উপায় আছে?
–ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি এড ক্লিকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।যার জন্য আপনাকে অবশ্যই ১০০০ সাবস্ক্রাইবারস লাগবে আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাগবে।আর দ্বিতীয় ইনকামের উপায়টি হলো স্পনসর।এটা আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের উপর নির্ভর করে যে আপনি কত টাকা পাবেন।আর এফ্যলিয়েট মার্কেটিং করিয়ে ও ইনকাম কএতে পারবেন।
২.বাংলাদেশি ইউটিউবাররা কত টাকা ইনকাম করতে পারেন ইউটিউব থেকে?
–ইউটিউবে একটা সিপিসি রেট রয়েছে।আর বাংলাদেশে সিপিসি রেট অনেক কম।তাই অন্যান্য দেশে ৫০০,১০০০ ভিওসে ১ ডলার ইনকাম করতে পারেন।আর বাংলাদেশে প্রায় ৩০০০-৪০০০ ভিওসে ১ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।তো একটা ভিডিও থেকে বেশি ইনকাম হবে তখন যখন ভিডিওটা একটু ভাইরাল হয়।
৩.ইউটিউবে স্পন্সর থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
–সাধারণত স্পনসর সবাই পায় না।আর যারা স্পনসর পায় তারা সাবস্ক্রাইব অনুযায়ী টাকা পায়।যদি তাদের চ্যানেলে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে তারা ১০০ ডলার চাইতে পারে।কিন্তু যদি আরও বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে ইনকাম টা আরেকটু বেশি হয়।
৪.ইউটিউবে বেশি টাকা ইনকাম কিভাবে করবো?
–আপনি প্রতিদিন ভিডিও বানান,ধৈর্যো ধরে থাকতে হবে কারণ আপনার প্রথম ভিডিওগুলোর ভিওস হবে না।তারপর যদি সঠিক ট্যাগ,থাম্বনেইল,ডিস্ক্রিপশন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে।আর আস্তে আস্তে ইনকাম বাড়বে।
এইগুলা হলো ইনকাম করার উপায় ইউটিউব থেকে।যারা ভাবছেন কোটি কোটি টাকা ইনকাম হয় তারা হয়তো সত্যিটা বুঝেছেন।সবাই ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।