কখনো কি ভেবে দেখেছেন আমরা যখন কোন কাজ করার পর প্রথমে সফল না হই তখন কি আর সেই কাজ করার ইচ্ছে জাগে?না জাগে না।কারণ আমরা ধরেই নেই যে সেই কাজে আমরা আর কোনদিন সফল হব না। সেই যে এই মনোভাব গড়ে ওঠে সেই মনোভাবটি আমাদের আর আগাতে দেয় না। তাই আমাদের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র ইচ্ছেশক্তি। কারণ শুধুমাত্র ইচ্ছেশক্তি দিয়েই জয় করা সম্ভব যেকোনো কিছু।ইচ্ছেশক্তি এমন একটি জিনিস যে জিনিসের ফলে আমাদের অর্ধেক কাজ সমাধান হয়ে যায় নিজে নিজে। তাই এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ইচ্ছেশক্তির গুরুত্ব। ইচ্ছেশক্তি নিজে নিজেই তৈরি হয় না, আপনাকে সেই মনোবল তৈরি করে নিতে হয়। কারণ পৃথিবীর সব কিছুর জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছেশক্তি এবং একাগ্রতা। ইচ্ছেশক্তি বাড়ানোর জন্য আমাদের কিছু উপায় মেনে চলতে হবে। যেমনঃ ১.মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম:যে কোনো কাজের প্রতি আমাদের ইচ্ছেশক্তি নির্ভর করে সেই কাজের প্রতি আমরা কতটা মনোযোগী তার উপর। আর আমাদের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হলে মেডিটেশন কিংবা যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই। মেডিটেশন আমাদের শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ককে প্রফুল্ল রাখে যা আমাদের মনে ইচ্ছেশক্তি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ২.একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা : আপনাকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ লক্ষ্যহীন ব্যক্তির কোন ইচ্ছে থাকে না। ৩.খেতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার :আপনার কাজের ইচ্ছেশক্তি অনেকটাই নির্ভর করে আপনার খাবারের উপর। আপনি কম্পিউটারকে যেমন ইনপুট করেন কম্পিউটার তেমন সারা দেয় ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের যেমন ইনপুট করা হয় মস্তিষ্ক ও তেমনভাবে সারা দিবে। মস্তিষ্ক তাই ভালোভাবে সাড়া দিতে হলে প্রয়োজন সুষম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। ৪.পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করা:আপনার ইচ্ছেশক্তি অনেকটা আপনার শরীরের উপর নির্ভরশীল। তাই ইচ্ছেশক্তি বাড়াতে হলে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। ঘুম মানুসিক শান্তি প্রদান করে। তাই সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুণ।এতে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে বহুগুণে। ৫.রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুনঃপ্রতিদিন একটি রুটিন সেট করুণ এবং সেই অনুসারে চলুন। রুটিন আপনার কাজের ইচ্ছেশক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে। সাহায্য করে দৈনন্দিন কাজগুলো সঠিকভাবে সমাধান করতে। ৬.আপনাকে প্রত্যেকটি কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে হবেঃআমরা কোন ধরণের কাজ কিভাবে করতে চাই অনেকটা অন্যকে সেই কাজ করে দেখানোর ফলে সেই কাজ করার প্রেরণা খুঁজে পাই।তাই সবসময় সব ধরণের কাজে নিজের অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবার চেষ্টা করুণ। অনুপ্রেরণা ইচ্ছেশক্তির প্রধান হাতিয়ার। ৭.নতুন কিছু করে দেখানোর মনোভাব:সবসময় ইতিহাস তৈরি করার জন্য চেষ্টা করুণ। আপনি পারবেন এই মনোভাব পোষণ করুন। আপনার মাধ্যমে সম্ভব এমন পজিটিভিটি নিজের মাঝে কায়েম করুণ। দেখবেন দিনশেষ এ জয় আপনারই হবে।
এফিডেভিট / হলফনামা কি, কেন এবং কিভাবে করতে হয়?
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ...