এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করার উপায়-
- যেকোনো পরীক্ষায়ই ভালো করার জন্য ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা জানি পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। যেকোনো সফলতার মূলেই রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। পরিশ্রমের মাধ্যমেই জীবনে দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব। তাই এইচএসসি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় সফল হতে হলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা আবশ্যক।
- অধ্যবসায়-পৃথিবীতে যত জ্ঞানী-গুণী, মনীষী আছে তাদের কঠোর অধ্যাবসায়ের জন্যই তারা সফলতা অর্জন করেছেন এবং স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাই পড়াশোনাতে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই অধ্যবসায়ী হতে হবে।
- পড়ার সময় জগতের সব ধরনের চিন্তাভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং শুধু পড়াশোনাতেই মনোনিবেশ করতে হবে তাহলে খুব দ্রুত পড়া হবে এবং যেটা পড়া হবে সেটা একদম মাথায় গেথে যাবে।
- পরীক্ষার অন্তত ১৫ দিন আগেই সব পড়া কমপ্লিট করতে হবে তখন আর নতুন কোনো পড়াশোনা মাথায় না ঢুকানোই ভালো । তখন শুধু বারবার রিভিশন দিতে হবে এবং পুরাতন পড়াগুলোই ঝালাই করে নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার অতিরিক্ত চাপের কারণে পড়া জিনিসগুলাই পরীক্ষার হলে মাথায় আসে না, বারবার রিভিশন দিলে পরীক্ষার হলে এই সমস্যাটা হবে না।
- সময়ের সঠিক ব্যবহার- জীবনের সর্বক্ষেত্রেই সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। তেমনি একজন শিক্ষার্থীকেও সময়ের পড়া সময়ে কমপ্লিট করতে হবে। পরীক্ষার আগে প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য সময় ভাগ করে নিতে হবে এবং ঔ সময়ের মধ্যেই পড়া কমপ্লিট করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়ার কৌশল-
- খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা: অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা প্রচুর জানে এবং পড়ালেখা করে কিন্তু সঠিকভাবে পরীক্ষায় খাতায় উপস্থাপন না করতে পারায় ভালো ফলাফল করতে পারে না। তাই প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে সেই উত্তরটাই খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা লিখলে শিক্ষকরা বিরক্ত হয় ফলে মার্কস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- হাতের লেখা সুন্দর করা: আমরা প্রায়ই শুনে থাকি “আগে দর্শনদারী ,তারপর গুণবিচারী”। সুন্দর ও পরিপাটি হাতের লেখার খাতা দেখলে পরীক্ষকদের শিক্ষার্থী সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয় যার প্রভাব শিক্ষার্থার পরীক্ষার খাতাতেও পড়ে যা শিক্ষার্থীকে অধিক নাম্বার এবং ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করে।
- সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া: পরীক্ষার সময় টাইম ম্যানেজমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর দিকের প্রশ্নের উত্তর বড় করে লিখতে গিয়ে পরবর্তীতে দেখা যায় শেষের দিকের উত্তরগুলো লেখার টাইম পাওয়া যায় না।এতে পরীক্ষায় টাইম কম আসে। শুরু থেকে শেষ অবধি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে টাইম ধরে ধরে উপস্থাপন করতে হবে, কোনো প্রশ্নের উত্তর ফেলে রেখে আসা যাবে না।