এইচটিএমএল :
এইচটিএমএল এর পূর্ণরুপ হচ্ছে হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ যা মূলত ওয়েবপেজ এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এইচটিএমএল কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ না। এটি কিছু মার্কআপ ট্যাগ এর সমন্বয়ে গঠিত যা মূলত ওয়েপেজে এর মূল কাঠামোকে তৈরি করে এবং ওয়েবপেজে বিভিন্ন কিছু প্রদর্শন করে।
এইচটিএমএল এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দ্রুত তথ্য আদান প্রদানের উদ্দেশ্যে টিম বার্নার্স লী ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম এইচটিএমএল তৈরি করেন। ১৯৯০ সালে এনসিএসএ কর্তৃক ডেভেলপকৃত মোজাইক ব্রাউজারে এইচটিএমএল প্রথম পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ডাব্লিউসি৩ কর্তৃক এইচটিএমএল ৩.২ প্রকাশিত হয়। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে ডাব্লিউসি৩ কর্তৃক এইচটিএমএল এর নতুন ভার্সন এইচটিএমএল ৪.২ প্রকাশিত হয় । পরবর্তীতে ডাব্লিউসি৩ কর্তৃক ২০১২ সালে এইচটিএমএল ৫ প্রকাশিত হয়। এইচটিএমএল এর আরও কয়েকটি ভার্সন প্রকাশিত হলেও এইচটিএমএল ৫ ভার্সনটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
এইচটিএমএল এর বৈশিষ্ট্যসমূহ :
১. এইচটিএমএল ব্যবহার করে তৈরি ফাইল এর এক্সটেনশন এইচটিএমএল বা এইচটিএম হয়।
২. যেকোন ওয়েবপেজ এর টেম্পলেট তৈরি করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
৩. এটি কেস সেনসিটিভ ভাষা নয়। ক্যাপিটাল লেটার এবং স্মল লেটার উভয়ই সাপোর্ট করে ।
৪. এইচটিএমএল একটি প্লাটফর্ম ইনডিপেনডেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ।
৫. ২১৬ টি ওয়েব কালার সাপোর্ট করে।
৬. কতকগুলো মার্কআপ ট্যাগ বা এলিমেন্টের সমন্বয়ে গঠিত।
৭. তুলনামূলক দ্রুত গতিতে পেজ লোড হয়।
এইচটিএমএল এর সুবিধাসমূহ :
১. সকল ধরনের ওয়েবপেজ এর টেম্পলেট তৈরি করা যায়।
২. এইচটিএমএল দ্বারা তৈরি করা পেজ সকল ব্রাউজার যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোর, মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরা ইত্যাদিতে সাপোর্ট করে।
৩. যে কোন টেক্সট এডিটর এ এইচটিএমএল কোডিং করা যায়।
৪. কেস সেনসিটিভ না হওয়াতে খুব সহজেই কোডিং করা যায়।
৫. প্লাটফর্ম ইনডিপেনডেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়াতে যে কোন কম্পিউটার সিস্টেম যেমন ইউন্ডোজ, অ্যাপেল, লিনাক্স এবং যে কোন এম্বেডেড ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেম যেমন অ্যান্ড্রয়েড, আইএসও, জাভা, ক্রোম এ ব্যবহার করা যায়।
৬. ওয়েবপেজ এর সাইজ ছোট হওয়াতে হোস্টিং স্পেস কম লাগে ফলে খরচ কম হয়।
৭. এইচটিএমএল বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
৮. স্টাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
এইচটিএমএল এর অসুবিধাসমূহ :
১. এইচটিএমএল দ্বারা কোন ডাইনামিক ওয়েবপেজ তৈরি করা যায় না।
২. সাধারণত ছোট একটি ওয়েবপেজ তৈরি করতেও অনেক কোড লিখতে হয়।
৩. কোড লেখার জন্য সিনট্যাক্স মনে রাখতে হয়।
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি এইচটিএমএল দিয়ে স্টাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কিন্ত ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় না। তাই এখন আমরা জেনে নিব স্টাটিক ওয়েবসাইট কি? আর ডাইনামিক ওয়েবসাইট কি? তাহলে উপরের বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে।
স্টাটিক ওয়েবসাইট :
যে সকল ওয়েবসাইট এর তথ্য প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয় না তাকে স্টাটিক ওয়েরসাইট বলে।
ডাইনামিক ওয়েবসাইট :
যে সকল ওয়েবসাইট এর তথ্য প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে।