পৃথিবীর প্রত্যক মেয়েই নারী, কিন্তু রমনী নয়। নারী থেকে রমনী হতে হয়! এখন রমনী সম্পর্কে আপনাদের একটা গল্প বলছি-
*এক অন্ধ, অচল, বোবা, কালা যুবতির গল্প-
সে এক ভদ্র পরিবারের যুবক। অভাবী, আল্লাহভীরু। ক্ষুধার তাড়নায় একদিন ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে। হাঁটতে হাঁটতে সে এক আপেল বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তাজা তাজা আপেল! ক্ষুধার তাড়নায় বাগান মালিকের অজ্ঞাতেই সে একটি আপেল খেয়ে ফেলল। তারপর সে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু অপরাধবোধ তাকে দংশন করছিল সর্প দংশনের মতো। সে ছুটে যায় বাগান মালিকের বাড়িতে।
যুবকটি মালিককে বলল : “গতকাল ভীষণ ক্ষুধা আমাকে অস্থির করে ফেলেছিল। তখন আপনার বাগানের পাশে দিয়ে যেতে আমি আপনার অজ্ঞাতে একটি আপেল খেয়ে ফেলেছি। এর ফলে অপরোধবোধ আমাকে চরমভাবে দংশন করছে। এর জন্যে আমি আপনার অনুমতি চাইছি। আমাকে ক্ষমা করে দিন।”
বাগান মালিক : “না, আমি তোমাকে অনুমতি দেবো, ক্ষমাও করবো না। কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহর কাছে তেমার বিরুদ্ধে বিচার দেবো”
যুবকটি বারবার কাতর কণ্ঠে অনুরোধ করছিল। তিনি একই জবাব দিতে দিতে ঘরে ঢুকে পড়েন। যুবক নিরাশ হয়ে তাঁর দরজার বাইরে অবস্থান নেয়, যাতে আসর নামাযের সময় বের হলে আবার অনুরোধ করতে পারেন।
নামায শেষে তিনি ঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। যুবকও তাঁর পেছনে পেছনে আসে। ঘরের দরজার কাছে এলে যুবক তাঁকে বলে : “চাচা! আমি আপেলটির বিনিময়ে বিনা পারিশ্রমিকে আপনার কাজ করে দিতে চাই, আপনি আমাকে মাফ করে দেন।”
বাগান মালিক : আমি একটি শর্তে তোমাকে মাফ করে দিতে পারি।
যুবক (খুশি হয়ে) : “জি, চাচা বলুন।”
বাগান মালিক : “শর্তটি হলো আমার মেয়েকে তোমার বিয়ে করতে হবে। তবে আমার মেয়ে অন্ধ, বোবা, কালা এবং অচল।”
যুবক : “জি, আমাকে ক্ষমা করার শর্তে আমি আপনার এমন মেয়েটিও বিয়ে করতে রাজি আছি।”
বাগান মালিক : “ইনশাআল্লাহ, অমুক তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে তোমাদের বিয়ে হবে।”
নির্দিষ্ট তারিখে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বললেন : “এটা তোমার বিবির ঘর। যাও তোমার বিবির কাছে।”
যুবক বাসর ঘরে প্রবেশ করতেই অপরূপ সুন্দরী নববধূ হাসিমুখে বলে উঠলো : ‘আসসালামুআলাইকুম।’
যুবক আনন্দ বিস্ময়ে বিমুগ্ধ! অবাক!
নববধূ স্বামীর অবাক আনন্দ দেখে বলে উঠে : “আমি জানি তুমি কেন অবাক হয়েছো? আমার বাবা তোমাকে যা বলেছেন, সে জন্যেই তো অবাক হয়েছো?”
“হ্যাঁ, তিনি ঠিকই বলেছেন।
আসলে আমি অন্ধ, কারণ আমি হারামের দিকে তাকাইনা।
আমি কালো, কারণ আমি হারাম কথা শুনি না।
আমি বোবা, কারণ আমি নিষিদ্ধ কথা বলিনা।
আমি অচল, কারণ আমি হারাম পথে চলিনা।
আমার বাবা আমার জন্যে একজন আল্লাহভীরু যুবকের সন্ধান করছিলেন। আল্লাহ পাক তাঁকে সেই যুবক মিলিয়ে দিয়েছেন। আলহামদুল্লিাহ!”
যুবক : “আমি আমার কাঙিক্ষত স্ত্রী পেয়েছি। আমি মহান আল্লাহর শোকর আদায় করছি। আল্লাহ পাক আমাদের উভয়কে সুখী করুন।”
বধু : আমীন।