আমরা জানি,পৃথিবীর মানুষকে এক সময় বেছে থাকার জন্য পুরোপুরি প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হতো।মানুষ বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার করে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনেছে।অষ্টাদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে শিল্প বিল্পবের পর মানুষ যন্ত্র এর ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করেছে।পৃথিবীর যে সকল জাতি শিল্প বিল্পবে অংশ নিয়েছি, এক সময় তারাই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রন করেছে।একুশ শতকে যখন জ্ঞানভিওিক অর্থনীতির সুচনা হয়েছে,তখন আবার সেই একই ব্যাপার ঘটছে।যারা জ্ঞানভিওিক সমাজ তৈরি করার বিল্পবে অংশ নেবে তারাই পৃথিবীর চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করবে।
এই নতুন বিল্পবে অংশ নিতে হলে বিশেষ একধরনের প্রস্ততি নিতে হবে সেটি আমরা অনুভব করতে পারি।যদি আমরা বেচে থাকার জন্য সুনির্দিষ্ট দক্ষতা গুলো দেখতে চাই তাহলে সেগুলো হবে পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব,যোগাযোগ দক্ষতা,সুনাগরিকত্ব, সমস্যা সমাধানে পারদর্শী,বিশ্লেষণী চিন্তন দক্ষতা(Critical Thinking), সৃজনশীলতা এবং তার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা। সত্যি কথা বলতে , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা (Skill) হিসাবে খুব দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। একুশ শতকে টিকে থাকতে হলে সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয় গুলো জানতে হবে। এই প্রথমিক বিষয়গুলো জানা থাকলে একজন মানুষ এটি ব্যবহার করে তার বিশাল বৈচিএ্যের জগতে প্রবেশ করতে পারে। একজন শিক্ষাথী যতক্ষণ পর্যন্ত এই প্রযুওি ব্যবহারে অভ্যস্ত না হবে ততক্ষন পর্যন্ত সে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষন, সংযোজন, মুল্যায়ন করে নতুন তথ্য সৃষ্টি করতে পারবে না৷ এই দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে সে একুশ শতকের চ্যালেণ্জ মোকাবেলা করে জ্ঞানভিওিক সমাজে স্থান করে নিতে পারবে না ইত্যাদি।।