বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এসইও (SEO) ভালো জানলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মান্থলি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে তাদের কোম্পানিকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।বর্তমান ডিজিটাল যুগে আপনি চাইলে এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন অধিক প্যাকটিস এবং ধৈর্য ও সহনশীলতা ক্ষমতা।
এসইও (SEO) এর ধারনা: এসইও (SEO) হলো সংক্ষিপ্ত রূপ। এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)সাধারণভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটকে গুগোল সার্চে প্রথম পেজে নিয়ে আসার জন্য যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকেই বলে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সাধারণত যারা নতুন তাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট না হতে পারে। নিচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছি।
উদাহরণ: সাধারণত সারা পৃথিবীতে অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুগোল, ইয়াহু, পিপিলিকা, বিং ইত্যাদি প্রধান। ধরা যাক আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। ধরুন গাথোর ডটকম একটি বাংলা লেখালেখির ওয়েবসাইট। সারা পৃথিবীতে এমন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল,ফেসবুক পেজ ইত্যাদি ।আপনার যে ওয়েবসাইটটি আছে সেই ওয়েবসাইটকে আপনি গুগল এ সার্চ করছেন কিন্তু প্রথম পেজে বা দ্বিতীয় পেজে পাচ্ছেন না।অর্থাৎ গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে না দেখিয়ে অন্যদের ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে দেখাচ্ছে। অন্যদের ওয়েবসাইটকে যে প্রথম পেজে দেখাচ্ছে এর জন্য তারা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল তাকে আমরা এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে পারি। আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) এর প্রকারভেদ: সাধারণত এসইও বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে উল্লেখিত ধরন হচ্ছে চারটি।
১)হোয়াইট হ্যাট এসইও
২)ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
৩)গ্রে এসইও
৪)নেগেটিভএসইও
১।হোয়াইট হ্যাট এসইও (SEO): হোয়াইট হ্যাট এসইও হচ্ছে এমন এক ধরনের এসইও যার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিশ্বের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট গুগল সার্চে ৮০ ভাগ প্রথমে নিয়ে আসে।গুগলের যে সার্চ কাওলার এটি সাধারণত হোয়াইট হ্যাট এসইও ফ্রেন্ডলি।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ র্যাংর্কিংয়ে প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তা দীর্ঘ দিন টিকে থাকবে। এই ওয়েবসাইটকে গুগোল সহজে পেনাল্টি দেবে না।এই এসইও কে আমরা প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতি বলতে পারি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগোলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে কমপক্ষে ৪থেকে ৫ মাস সময় লাগতে পারে।তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে যদি দীর্ঘদিন টপে রাখতে চান তবে অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
সাধারণত বিশ্বে আমরা যে সকল এসইও এক্সপার্ট দের নাম শুনি তারা সাধারণত হোয়াইট হ্যাট এসইও এর জন্যই এক্সপার্ট হয়েছে।বিশ্বের যে সকল নামকরা ওয়েবসাইটগুলোকে আমরা সাধারণত গুগলের প্রথম পেজে দেখি এবং দীর্ঘদিন টিকে আছে তারা মূলত হোয়াইট হাট এসইওর মাধ্যমেই টিকে আছে গুগলের প্রথম পেজে।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে চান তাহলে ধৈর্য ধরে হোয়াইট হ্যাট এসইও প্র্যাকটিস করুন। দেখবেন চার থেকে পাঁচ মাস ভালোমতো প্যাকটিস করলে আপনার সাইটটি প্রথম দিকে নিয়ে আসতে পারবেন।গুগল সাধারণত বৈধ কাজ পছন্দ করে।বৈধ উপায়ে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রথমে নিয়েছেন একমাত্র পদ্ধতি হোয়াইট হ্যাট এসইও।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(Search Engine Optimization) সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতে পার্ট-২ দেখুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। আমি এখানে ধাপে ধাপে এসইও সম্পর্কে মোটামুটি পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।