আমরা আমাদের চারপাশে যা দেখি সেগুলোকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। একটি জীব, অন্যটি জড়। জীবের জীবন আছে। তাই না? তাহলে এই জীবন, জীব সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে হবে জীববিজ্ঞান। আজকে আমি এসএসসি জীববিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায়ের নোট-১ নিয়ে এসেছি। তাহলে শুরু করা যাক-
1.1 জীববিজ্ঞানের ধারণা
গ্রিক bios(জীবন) এবং logos(জ্ঞান) শব্দ দুটির সমন্বয়ে Biology শব্দটি এসেছে।
1.2 জীববিজ্ঞানের শাখাগুলো
1.2.1 ভৌত জীববিজ্ঞান
তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে –
অঙ্গসংস্থান (Morphology) — জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক গঠন বর্ণনা সম্পর্কে আলোচনা।
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy) — জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং তার রীতিনীতি সম্পর্কে আলোচনা।
শারীরবিদ্যা (Physiology) — জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈব রাসায়নিক কার্যাদি সম্পর্কে আলোচনা।
হিস্টোলজি (Histology) — টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস এবং কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা।
ভ্রূণবিদ্যা (Embryology) — জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠণ, পরিস্ফুটন সম্পর্কে আলোচনা।
কোষবিদ্যা (Cytology) — কোষের গঠন, কার্যাবলী ও বিভাজন সম্পর্কে আলোচনা।
বংশগতিবিদ্যা (Genetics) — জিন ও জীবের বংশধারা সম্পর্কে আলোচনা।
বিবর্তনবিদ্যা (Evolution) — পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্য সমূহ সম্পর্কে আলোচনা।
বাস্তুবিদ্যা (Ecology) — প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আলোচনা।
এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology) — হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা।
জীব ভূগোল (Biogeography) — পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগলিক সীমারেখায় জীবের বিস্তৃতি এবং অভিযোজন সম্পর্কে আলোচনা।
1.2.2 ফলিত জীববিজ্ঞান
জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে-
জীবাশ্মবিজ্ঞান (Palaeontology) — প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কিত।
জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics) — জীবপরিসংখ্যান বিষয়ক।
পরজীবী বিদ্যা (Parasitology) — পরজীবিতা, পরজীবী জীবের জীবন প্রণালী এবং রোগ সম্পর্কিত।
মৎস্য বিজ্ঞান (Fisheries) — মাছ, মাছ উৎপাদন, মাছ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত।
কীটতত্ত্ব (Entomology) — কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology) — ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত।
কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture) — কৃষি বিষয়ক।
চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medical science) — মানব দেহ, রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত জিন প্রযুক্তি ও এর ব্যবহার।
জিন প্রযুক্তি (Genetic engineering) — জিন প্রযুক্তি ও এর ব্যবহার।
প্রাণরসায়ন (Biochemistry) — প্রাণ রাসায়নিক কার্যপ্রণালী, রোগ সম্পর্কিত।
পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental science) — পরিবেশ সম্পর্কিত।
সামুদ্রিক বিজ্ঞান (Marine biology) — সামুদ্রিক জীব সম্পর্কিত।
বন বিজ্ঞান (Forestry) — বন, বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত।
জীব প্রযুক্তি (Biotechnology) — মানব এবং পরিবেশের কল্যাণে জীব ব্যবহারের প্রযুক্তি।
ফার্মেসি (Pharmacy) — ঔষধ শিল্প কোন প্রযুক্তি বিষয়ক।
বন্যপ্রাণী বিদ্যা (Wildlife) — বন্যপ্রাণী বিষয়ক।
বায়োইনফরমেটিক্স (Bioinformatics) — কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীব বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য বিষয়ক।
ভৌত জীববিজ্ঞান এবং ফলিত জীববিজ্ঞানের সবগুলো বিষয় মনে রাখা আবশ্যক। এটা অনেকটা কঠিন ব্যাপার। তাই আপনারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যেকোনো একটা শাখার বিষয়গুলো মনে রাখবেন। যা আপনাদের এমসিকিউ এর জন্য অনেক কাজে আসবে। তাহলে আজকে এ পর্যন্তই।