বর্তমানে বেশির ভাগই পুরুষ এবং মহিলা
ওজন কমানোর জন্য চিন্তিত থাকেন।তাই তারা
কী করলে ওজন কমবে?কোন কোন বিধি নিষেধ মেনে চলা উচিৎ?কোন অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে ওজন কমানো সম্ভব?খাবারের দ্বারা নাকি ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমাবো? ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করে থাকেন।কিন্তু তারা সঠিক উপায়ে ওজন কমানোর নিয়ম জানে না। ফলে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করেন এবং কয়েক দিন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আবারও বাদ দেন।এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য সকল ধরনের সঠিক উপায়গুলো জানতে পারবেন।
ওজন কমানোর জন্য যা যা দরকার হবে
(১)যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা
(২)গুরুত্ব ও দৃঢ়সংকল্পতা
(৩)সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম
(৪)ওজন কমানোর আদর্শ খাবার
(৫)নিয়ম মেনে চলা
(৬)খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
(৭)জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন
(৮) আত্নবিশ্বাস ইত্যাদি
ওজন কমানোর পূর্বে আপনাকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে কেন ওজন বাড়ালো বা বৃদ্ধি পাচ্ছে?কোন ধরনের সমস্যা দুর করার আগে ঐ সমস্যা তৈরি কেন হলো তা দূর করতে পারলে ৫০% সফলতা অর্জন করা যায়।প্রতিষোধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম উপায়।
(১)যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা
ওজন কমাতে হলে অবশ্যই যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তা না হলে সফলতা অর্জন করা যায় না। একটি গবেষণার ফলে দেখা গেছে যে,অধৈর্যশীল ব্যাক্তির চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিরা যে কোন বিষয়ে তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারে।পাড়িব না এই কথাটি বলিও না আর। একবার না পারিলে দেখ শতবার।তুমি পাড় যাহা আমিও পাড়িব তাহা।
(২)গুরুত্ব ও দৃঢ়সংকল্পতা
আপনাকে ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। কয়েকটা দিন চেষ্টা করার পরে আর মন চায় না। এমন করলে হবে না। গুরুত্ব এবং মনোযোগসহকারে উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কে কি বলবে বা বলছে এসবের তোয়াক্কা না করে অনুশীলন চালিয়ে যান। মনে রাখবেন নিন্দা করাই নিন্দুকের কাজ।সো ভালো হবে এসব থেকে দূরে থাকুন।
(৩)সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম
যে কোন কিছু করার আগে পরিকল্পনা তৈরি করতে হয়।আপনার পরিকল্পনাই আপনাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তা অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা হতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুধু পরিকল্পনা থাকলেই হবে না। আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে। আজ যারা বড় বড় ব্যাবসায়ী তারা কিন্তু অনেক পরিশ্রম করেই এখানে এসেছেন। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডা খানা।তাই পরিশ্রমী হতে চেষ্টা করুন।
(৪)ওজন কমানোর আদর্শ খাবার
খাবারের মাধ্যমে ৬০% ওজন কমানো সম্ভব। আর ব্যায়ামের মাধ্যমে ৩০% এবং অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে ১০% ওজন কমানো যেতে পারে।তবে সেগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার হতে হবে। আর স্নাকেস এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি বেশি করে ভিটামিন,ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাাখতে হবে।
(৫)নিয়ম মেনে চলা
যে জাতি বা গোষ্ঠী যতবেশি নিয়ম মেনে চলে সে জাতি বা গোষ্ঠী ততবেশি উন্নতি লাভ করে। নিয়মনীতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি ওজন কমিয়ে স্লিম এবং স্মার্ট হতে পারেন।ওজন কমানোর বিভিন্ন ধরনের নিয়মনীতি গুলো সঠিকভাবে পালন করুন।
(৬)খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং লোক ফেস দেখায়। আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করুন। ওজন কমানোর খাবার গুলো যোগ করুন।যেমনঃ- ডিমের সাদা অংশ,মুগ ডাল, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি,টমেটো,ওটস,কিসমিস ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। আর হে অবশ্যই মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করবেন।
(৭)জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন
আপনি কি জানেন যে,আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানের জন্য ওজন বৃদ্ধি পায়? শুয়ে বসে খেলে তো বৃদ্ধি পাবেই। একই ধরনের জীবন যাপন না করে একটু পরিবর্তন আনুন।বেশি আরাম আয়েশ না করে একটু হাটাহাটি, কাজকর্ম করুন। এতে করে আপনার শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং চবি জমবে না। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভবনাও কম থাকবে।তাছাড়াও এক ঘেয়েমি চলে আসে।
(৮) আত্নবিশ্বাস ইত্যাদি
Self-confidence বা আত্নবিশ্বাস কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ যে কোন কাজ করতে হলে আত্নবিশ্বাস না থাকলে সফলতা অর্জন করা মুসকিল। তাই নিজের উপর আস্তা রাখুন।কখনোও নিজের উপর বিশ্বাস বা আস্তা হারানো উচিৎ নয়। ওজন কমানোর পিছনে লেগে থাকুন একদিন না একদিন সফলতা আসবেই। আজ এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।
শেষ পান্তে এসে বলতে চায় ওজন কমানো সত্যিই সম্ভব কিন্তু ধৈর্য্য হারালে চলবে না।আর হে ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন চিকিৎসক পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।না বুঝে না জেনে কোন কিছু করা উচিৎ নয়। তাই স্বাস্থ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর মিশনে নেমে পড়ুন।ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্য।