ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই সহজ। কিন্তু তা যে কোন search engine এ rank করানো খুব জটিল বিষয়। এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে rank বা জনপ্রিয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কি কি দরকার সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।বিশেষ করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন যে সকল বিষয় গুলো পছন্দ করে থাকে এবং ওয়েবসাইটকে Rank দিয়ে থাকে তার মত জুরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো।
পেইড মাকেটিং
এটি একটি পরিষ্কার পদ্ধতি এবং সফলতা অর্জনেও কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।আপনার ওয়েবসাইটি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দ্বারা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার স্মার্ট ও দুর্দান্ত উপায়।আপনি যদি আপনার সাইটে বেশি বেশি করে ট্র্যাফিক চান তাহলে আপনার লক্ষ্য অনুসারে প্রদত্ত কৌশলগুলি মেনে চলা উচিৎ।খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটটি পেইড মাকেটিং করতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে সাবধানতার সাথে চিন্তা করতে হবে। আপনার মনে রাখা উচিৎ এটি একটি ক্ষণস্হায়ী কোন ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারণা।
ফ্রী ওয়েবসাইট মাকেটিং
গুগল,ইয়াহু,বিং,ask,ইত্যাদি মাধ্যম গুলোর দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটিকে সম্পুর্ণ ফ্রীতে
মাকেটিং করে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আনতে পারেন।তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে কষ্ট এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কিন্তু তার ফলাফল অসাধারণ ও দারুণ আসবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে
ওয়েবসাইটের মাকেটিং করা দুর্দান্ত একটি পথ।কিন্তু আপনাকে প্র্যাকটিভ হতে হবে।নিশ্চয়ই এটি সর্বোত্তম উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম। যদিও বেশির ভাগই ওয়েবসাইটের মালিকরা
Google এই ধরনের প্রচার সম্পুর্ণ করে থাকে। এই ক্ষেএে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে জনপ্রিয় কিছু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। আর তা হলো ফেসবুক, টুইটারটি,পিনটারেস্ট,ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি।
যথাসম্ভব মিশ্রিত করুন
যথাসম্ভব আপনার ওয়েবসাইটি আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টা করুন। সংক্ষিপ্ত আকারে নিউজ-ভিত্তিক কনটেন্ট লেখা,এর পাশাপাশি ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স এবং সকল বিষয়েই
সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ মনে করি।
অপ্রতিরোধ্য শিরোনাম লিখুন
কনটেন্টের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিরোনামগুলি আপনার সামগ্রীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একটি বাধ্যতামূলক শিরোনাম ছাড়া যে কোন ধরনের লেখা অসম্পুর্ণই থেকে যায়।তাই সব সময়ই চেষ্টা করবেন keyword research করে কনটেন্ট লিখে তা প্রকাশ করার জন্য।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হচ্ছে কীওয়ার্ড রিসার্চ। কারণ এর মাধ্যমেই প্রতিযোগি ওয়েবসাইট গুলোকে পিছনে ফেলে আপনার ওয়েবসাইট ১ম পেজে আসবে।তাই এমন ধরনের কীওয়ার্ড রিসার্চ করা উচিৎ। যেগুলোর কমপিটিশন খুব কম কিন্তু সার্চ ভলিয়ম বেশি এরুপ কীওয়ার্ডগুলি নির্বাচন করতে হবে।এটি
এবং ব্যয়বহুল হতে পারে কিন্তু ফলাফল দুদান্ত এবং খুবই মূল্যবান হবে।আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
অনপেজ এবং অফপেজ এসইও করুন
একটি ওয়েবসাইটকে Rank করাতে হলে অবশ্যই অনপেজ এবং অফপেজ এসইওতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। যেমনঃ- responsible design,ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি,অনুশীলন করা, ব্যাক লিংক তৈরি করা,
মেটা ট্যাগের বিস্তারিত বর্ণনা,ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। ফলে আপনার সাইটে ট্র্যাফিক আসবে তাড়াতাড়ি এবং আপনিও খুব কম সময়ের মধ্যে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
Long Tail keyword বা দীর্ঘ-টেইল কীওয়ার্ড গুলি নির্বাচন করুন
আপনি কীওয়ার্ড বাছাই করার সময় অবশ্যই অবশ্যই হাই-ইন্টেন্ট কীওয়ার্ড এবং জনপ্রিয় কীওয়ার্ডগুলি নির্বাচন করবেন। আর আপনি যদি এটা না করেন তাহলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ভুল করছেন। কারণ SEO /এসইও দীর্ঘ-পুচ্ছ কীওয়ার্ডগুলি বেশিরভাগই অগ্রাধিকার পায়। তার ফলে গুগল সাচ ইন্জিলেও গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।
অতিথি ব্লগিং শুরু করুন
নিশ্চয়ই অতিথি ব্লগিং বা কোন ওয়েবসাইট এ গেস্ট পোস্ট করা জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। কিন্তু আজকাল স্প্যামিংয়ের ফলে এই কৌশলগুলি কঠোর শাস্তি পেতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং সাবধানতার সাথে এগিয়ে যান।
অ্যানালিটিক্স ডেটা পরীক্ষা করুন
গুগল অ্যানালিটিক্স আপনার ওয়েবসাইট এ কত ভিজিটর আসল, কোথায় থেকে আসল,
সর্বাধিক জনপ্রিয় ফলাফল দেয়। তাই আপনি অ্যানালিটিক্স ডেটার উপর গভীর নজর রাখুন এবং আপনার প্রচারমূলক এবং সামগ্রী কৌশল গুলি অবহিত করতে এই তথ্যটি ব্যবহার করুন। কোন পোস্ট এবং পৃষ্ঠাগুলি সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রমাণ করছে সেদিকে মনোযোগ দিন। আপনার সাইটের ট্র্যাফিক কখন, কখন এবং কখন থেকে আসছে তা দেখতে ভিজিটর ডেটা পরীক্ষা করুন।
নিশ্চিত করুন যে আপনার সাইটটি প্রতিক্রিয়াশীল
গুগল এখন তাদের সব কিছুই দিন দিন আপডেট করছে। যেমনঃ- পূর্বে ওয়েবসাইট তৈরি করা হতো কম্পিউটার উপর নির্ভর করে। কিন্তু এখন কম্পিউটার, মোবাইল, ডেস্ক টপ, ল্যাবটপ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে তৈরি করতে হয়।তাছাড়াও গুগল পান্ডা আপডেটের পর থেকে নিয়ম নীতি কঠিন হচ্ছে।
লোডিং স্পীড দ্রুত হয়েছে তা নিশ্চিত করুন
আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড যদি ৩ সেকেন্ডের বেশি হয়। তাহলে ভিজিটর পাবেন না। আর পাইলেও তারা বেশি সময় ধরে আপনার ওয়েবসাইট এ থাকবে না।ফলে বাউন্সের হার আকাশের চেয়ে বেশি হবে।আপনার সাইটের লোডিং স্পীড যত দ্রুত হবে
তত ভাল।
কমেন্ট বিভাগে নিজেকে নিয়োগ করা উচিৎ
আপনি সম্ভবত অন্যান্য ওয়েবসাইট এ ভিজিট করেন এবং বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করেন। ঠিক একইভাবে আপনার ওয়েবসাইট এ কেউ কমেন্ট করলে তার জবাব দিন।যার ফলস্বরূপ ফলাফল হতে পারে আপনার নিজের সাইটে আরো ট্র্যাফিক ড্রাইভিং।শুধু মনে রাখবেন যে, তারা যেন ওয়েবসাইট এ স্প্যামের লিঙ্কগুলি না ফেলে।
পরিশেষে আপনার ওয়েবসাইট এর এ টু জেট বিষয় গুলোর দিকে নজর দিন।আর কারও সাহায্য ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করুন। যদি তা না পারেন তাহলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিন এবং ওয়েব browse করুন।ধন্যবাদ
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
(১) আমি কোন ওয়েবসাইট এ গেস্ট পোস্ট করবো?
উত্তরঃ- আপনি আপনার ওয়েবসাইট যে,বিষয়ের উপরে ঠিক সেই বিষয়ের ওয়েবসাইট এ গেস্ট পোস্ট করবেন।
(২) ওয়েবসাইট Rank করাতে কত টাকা খরচ হবে?
উত্তরঃপ্রতিদিন ১ থেকে ২ ডলার কিংবা তারও বেশি। মূলত এটি আপনার উপর নির্ভর করে।
(৩) Quora ওয়েবসাইট এ কি আমি গেস্ট পোস্ট করতে পাড়ি?
উত্তরঃ- হ্যা। অবশ্যই কিন্তু ইউনিক কনটেন্ট হতে হবে।
(৪) ভাই আমি শাওন আমাকে কয়েকটি গেস্ট পোস্ট করার ওয়েবসাইট দেওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ- গুগলে সার্চ করুন আপনার ওয়েবসাইট যে বিষয়ের উপর।
(৫) সবচেয়ে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ভালো ট্রাফিক এনে দেয়?
উত্তরঃ- ফেসবুক, টুইটারটি,পিনটারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, লিংকদিন, ইত্যাদি।