একদিন যৌবন সকালে
গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ।
একদিন
যৌবন সকালে তাকিয়ে দেখি,
ছোটোকালের ভাইয়ে ভাইয়ের
সম্পর্কটা আর নেই।
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে
কে যেন তাড়িয়ে দিছে,
আমি খুঁজে পাইনি উত্তর।
ওরে সমাজ বিশ্লেষক,
তুমি বিশ্লেষণ দাও,
কেন এমন হয়?
কেন ছোটো নয়?
খুঁজে দেখি সামনে যৌবন।
আমি হারিয়ে গেছি অনেক নিচে
দুঃখ ব্যাথায় ভেসে কোথায় পৌঁছাই
জানি না।
জেলখানা
গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ
তবু
এই জেলখানা,
কাটালাম, কাটাচ্ছি,
এতো না বছর, বারো না
বছর, অসংখ্য অসংখ্য কছর।
আমি
বলতে গিয়ে
লিখে ফেলি, বারণ,
শব্দ এসে ফুল ফোটে না।
বলার পরিবেশ হয়ে ওঠে না।
নব
নিদ্রা আমার
সাথী, বন্ধু, আপন,
এ যে ঠিক জেলখানার মতন।
আমি না, আমি না করি যতন।
যেন
কুৎসিত পাখি,
মেলে না তার আঁখি।
এ কি এক নব জেলখানা?
নাকি এক বলা ভব জেলখানা?
আমি
তা কখনো
চাই নি, আর চাইব না।
আমারে রাখা হয়েছে,
মুক্তি শব্দ, কে কখন কয়েছে?
কবিতা: এই তো স্বাধীনতা
লেখা: গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ।
এই তো
স্বাধীনতা,
ক্ষত অশ্রু মিলে
আমাদের উপহার দিল।
ঐ তো
স্বাধীনতা,
কত শত্রু মিলে
তোমাদের উপহার দিল।
সে এক
পাথর কঠিন
না বলা অত্যাচার,
শুধু তাঁরাই সয়ে গেল।
নয় মাস
ইজ্জত যুদ্ধ!
জীবন যুদ্ধের পরে
স্বাধীন শব্দ হয়ে এল।
আমি
এ কাহিনি
শুনে শুনে ঝরাই,
তরুণ চোখের অবুঝ পানি।
এ পাশ
ও পাশ সব পাশ,
কোনো পাশই নয়রে
আপন, স্বাধীন চিত্তে মানি।
কালো গোলাপ
গাজী মোহাম্মাদ আব্দুল মাজেদ।
সেদিন
এক অচেনা,
কালো গোলাপ দিয়ে
বলল, কবিতা খুব পছন্দ,
সব কবিতাই পছন্দের তালিকায়।
লোকে
কিছু ভাববে
তাইতো লাল গোলাপে
বাধা, কালো গোলাপ দিয়ে
স্বাগতম জানায় অচিন বালিকায়।
মুখে
রাজ্য জয়ের
হাসি নিয়ে ফিরল
পেছন পথের নতুন পথে,
লজ্জাতে আবার ফিরে তাকাল
কোনো
মতে। আমি
এক কথাও বলিনি,
এক কথাও তুলিনি, কারণ,
আমার ভেতর ঘর ভীষণ অসুস্থ।