আসসালামু আলাইকুম । কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতির কাছে মানুষ কতটা এবং কি পরিমাণ অসহায় বার বার সেটাই প্রমাণ হচ্ছে।প্রতিটি দিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।যা সত্যি দুঃশ্চিন্তার বিষয়।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে। সেটি হলো “prevention is better than cure” অর্থাৎ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই সর্বত্তম।এই কথাটিকে আমাদের করোনার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।কারণ যদিও করোনার থেকে বাচতে বিভিন্ন উপায়ে সাবধাবতা অবলম্বন করা হচ্ছে।তবে যদি করোনায় কেউ আক্রান্ত হলেও সে কিভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে ফিরে আসবে সেই চিন্তা করতে হবে।কারণ যুদ্ধ যখন সন্নিকটে সেখানে জয় পরাজয় এর চিন্তা করাটা বেমানান। তাই করোনাকে প্রতিরোধ করার জন্য হিমিউন সিস্টেম উন্ন করা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এতে যেমন অধিক মানুষকে বাচানো যাবে সেই সাথে শরীরে করোনার সাথে লড়াই করার শক্তি সঞ্চয় হবে।তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে আসি কিভাবে আপনি শরীরের হিমিউন সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন।
ভ্যাকসিন না আশা পর্যন্ত আমাদের শরীরের করোনা এন্টিবডি তৈরী করতে হবে। তাই সবাইকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হবে। নিচে কিছু পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো আশা করি আপনারা সকলে সেই পদক্ষেপগুলো পালন করবেন।
1. ভিটামিন সি (যথাসম্ভব)
2. ভিটামিন ই (ট্যাবলেট পাওয়া যায়)
3. প্রতিদিন সকাল ১১টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহানো.
4. কমপক্ষে একটি করে ডিম প্রতিদিন।
5. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম।
6. প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৫ লিটার পানি পান এবং প্রতি বেলায় গরম খাবার খাওয়া.
7. তার সাথে জিংক ট্যাবলেট খেতে পারি।
এর বাহিরেও চীনে যে উপায়ে করেনা ভাইরাস প্রতিহত করেছে তা থেকে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
চীনের প্রতিটি বাড়িতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগী আছে।কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা এই ভাইরাস এর জন্য কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না।তারা এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।এর পরিবর্তে তারা গরম পানির ভাপ দিয়ে ভাইরাসকে বিনাশ করছেন।এর জন্য তারা মাত্র ৩টি কাজ করছেন।
সেগুলো হলোঃ
১. তারা দিনে চারবার কেটলি থেকে গরম পানির ভাপ নিচ্ছেন।
২. দিনে চারবার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করছেন।
৩. আর দিনে চারবার গরম চা পান করছেন।
এভাবে টানা চারদিন এই ৩টি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করছেন তারা।
এভাবেই পঞ্চম দিনে হচ্ছেন করোনা নেগেটিভ।
গরম জল ও লেবুর রস খেতে শুরু করুন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তাই আর দেরি কেন? আজই মেনে চলুন বিষয়গুলো। আশা করি এই সকল উপায়গুলো মেনে চললে আপনার শরীরে হিমিউন সিস্টেম যেমন উন্নত হবে সেই সাথে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হবে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন