আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব করোনা বিধ্বস্ত ইতালির এক গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত পুরো বিশ্ব।যার ফলে একের পর এক দেশের লকডাউনে পুরো বিশ্বের মানবজাতি ঘরবন্দী।তাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পুরো বিশ্বের চিকিৎসক,বিজ্ঞানী,গবেষকরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।তেমনই করোনাভাইরাসে বেশি বিধ্বস্ত হওয়া অন্যতম দেশ ইতালিও তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে,করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির চোখেও ভাইরাসটি থাকতে পারে।ফলে দেখা দিতে পারে কংজাইটিভাইটিস।ইতালির এক অনলাইন মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ঐ গবেষণার তথ্যমতে,ইতালির প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চোখে লুকিয়ে ছিল ভাইরাসটি।চীনের উহানফেরত ৬৫ বছর বয়সী ঔ নারীর পাঁচদিনের মাথায় শুকনো কাশি-গলাব্যাথা-নাকে অসম্ভব জ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ ধরা পড়ে।তার চোখেও কংজাইটিভাইটিস ধরা পড়ে।তারপর তাঁর লালারস পরীক্ষা করলে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিনদিন পর চিকিৎসকরা তাঁর চোখের সোয়্যাবের নমুনা সংগ্রহ করেন।সেটা পরীক্ষা করলে সেখানে করোনাভাইরাসের আরএনএ এর হদিস মিলে।হাসপাতালে যতদিন ছিলেন,ঐ সময় তার চোখ থেকে একনাগাড়ে পানি পড়ত।ইতালির ঐ গবেষক দলটির দাবি,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে ২১ দিন পরেও চোখে ভাইরাসটি থাকতে পারে।এমনকি সুস্হ হয়ে উঠলেও ২১ দিন পড়েও ঐ ভাইরাসটি চোখে থেকে যেতে পারে।এমনকি ঐ সময় নাকের নমুনা থেকে ভাইরাসটি নাও মিলতে পারে।ঐ সময় দেহের অন্যান্য অংশে না গেলেও চোখের পানিতে এই মারণভাইরাস ক্রমাগত বংশবিস্তার করে যেতে পারে। তাই গবেষকদল পরামর্শ দিয়েছেন,হাঁচি-কাশি দিলে হাতে স্পর্শ না করতে,যদি সপর্শও করেন তাহলে মুখের নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করবেন না,সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবেন।উহানফেরত ঐ নারী ভাইরাস থেকে সুস্হ হওয়ার ২৭ দিন পরেও চোখে ভাইরাসটি থেকে গিয়েছিল।
এমনিতেও পুরো বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন খুঁজতে হয়রান।তার উপর এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষার থেকেও অনেক বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আশংকা রয়েছে।গবেষণাটি পুরো বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে তা বলাই যায়।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।