আমরা যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করতে অভ্যস্ত আজকের ব্লগ টি বিশেষ করে তাদের জন্য। যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করে। আমরা যারা ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে সময় ব্যয় করি ,নিজের কাজে বা চাকরির কাজে। যে কোনো কারণে হোক ।এই দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে আমাদের চোখ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আমরা আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে যতপ্রকার আলো দেখতে পাই। তার মধ্যে বিশেষ কিছু আলো আছে যেগুলো আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকারক। যার মধ্যে আছে ব্লু লাইট, রেডিসন সিপ এগুলো হচ্ছে অন্যতম।
তো এই দীর্ঘক্ষন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলো সামনে থাকার কারণে আমাদের চোখের নানা ধরনের সমস্যা হয়। আমাদের চোখ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের স্কিন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে কাজ করার জন্য একটা সময় দেখা যায়। যে আমাদের চোখের যে ক্ষমতা থাকে সেই ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। কারো কারো চোখ ব্যথা , কারো চোখ দিয়ে নীল হলুদ আলো দেখে, এবং কারো মাথা ব্যাথা করে। একটু পরে দেখা যায় যে এই সমস্যা গুলো ঠিক হলে ।আমরা আবার কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ শুরু করি।
বয়সের পার্থক্য অনুযায়ী এই সমস্যাটি কম বা বেশি হতে পারে। যাদের বয়স 20 থেকে 30 এর মধ্যে আছে তারা হয়ত অনেক সময় টের পাবেন এবং মাঝে মাঝে এই সমস্যাটি অনুভব হতে পারে।
আর যাদের বয়স ত্রিশ থেকে চল্লিশ পার হয়ে গেছে। তারা এই সমস্যাটি বেশি করে বুঝতে পারবে। তখন বোঝা যায় যে দীর্ঘক্ষণ এবং দীর্ঘদিন কম্পিউটারে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করার জন্য। চোখের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
তখন চোখের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি বিশেষ করে চোখ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হবার মতো ভয়াবহ সমস্যা দেখা দেবে। আর যখন এই সমস্যা আপনি বুঝতে পারবেন। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
যদি আপনি এই সমস্যা অনুভব না করেন অথবা মাঝে মাঝে এই সমস্যা অনুভব করেন । তো এখন সতর্ক না হলে পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সুতরাং আপনার সতর্ক হওয়ার সময় এখনই।
যাই হোক আপনি যদি শুরুর লেভেলের হয়ে থাকেন বা সবেমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেছেন। অর্থাৎ আপনি একটা স্টার্ট অফ বয়সের মধ্যে আছেন, সমস্যাটি হয়তো মাঝে মাঝে অনুভব করছেন । হয়তোবা এখনো সমস্যাটি অনুভব করেন না।
তবে আপনার সতর্ক হওয়ার সময় এখনই। আপনি কিভাবে কম্পিউটার স্ক্রিনের ক্ষতিকারক আলো থেকে আপনি আপনার চোখকে রক্ষা করবেন। তা নিচে দেওয়া হল:
মনিটরের ক্ষতিকর আলো থেকে চোখকে নিরাপদ রাখতে অনেক উপায় এর মধ্যেও বিশেষ দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
1. কম্পিউটার সেফ চশমা ব্যবহার করা যেমন, আইজেন প্লাস বা এন্টি রেডিয়েশন।
2. কম্পিউটারে ছোট একটি লাইট কন্ট্রোল সফটওয়্যার ফ্লাক্স ব্যবহার করা।
3. দুই থেকে তিন মিনিট বা পাঁচ থেকে দশ মিনিট বিরতি দিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করা । অনেক আছে ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার ব্যবহার করে, এই কাজটি থেকে বিরত থাকতে হবে।
4. চোখে ক্লান্তি আসলে, চোখ ডলাডলি না করে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখটাকে ধুয়ে নিয়ে, সবুজ কোন বস্তুর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে পুনরায় কাজ শুরু করা।
5. মাঝে মাঝে চোখটাকে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রেখে আবার চোখ খুলে তারপর কাজ শুরু করা ।
6. কম্পিউটারে কাজ করতে করতে অন্যদিকে তাকালে চোখের সাধারণ রং পরিবর্তন হলে। যত দ্রুত সম্ভব কাজে বিরতি দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম গ্রহণ করুন। এবং চোখ স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু করুন। খাদার পড়ে এসে আপনি আবারো কাজ শুরু করবেন।
7. একান্ত প্রয়োজন না হলে অধিক রাত পর্যন্ত কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না ।এরপরেও যদি আপনার কোনো কাজ থাকে তাহলে রুমের লাইট জ্বালিয়ে কাজ করবেন।রুমের লাইট অফ থাকলে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর স্ক্রিনের আলো সরাসরি চোখে লাগে এতেচোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর রুমের লাইট জ্বালিয়ে রাখলে কম্পিউটার স্ক্রিনের আলো সরাসরি চোখে লাগে না। তাই রুমের লাইট জ্বালিয়ে রেখে কাজ করা উচিত।
8.আমরা অনেকে আছি কম্পিউটার ব্যবহারের সময় আমরা চোখের পলক ফেলি না অথবা সময় পাইনা । কম্পিউটার ব্যবহারের সময় নিয়মিত চোখের পলক ফেললে চোখে মইস্টার তৈরি হয়। যা চোখের শুষ্কতা দূর করে। চোখ যদি বেশি চুলকায় বা বেশি শুষ্কতা দেখা দেয়। তবে ডেক্সটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ নিচের দিকের চোখ গেলে চোখের মইস্টার খুব সহজে তৈরি হয়।
9.আরেকটি সহজ উপায় হলো প্রতি 20 মিনিট পর পর কম্পিউটার ব্যবহারের পরে 20 ফুটের কোন জিনিসের দিকে 20 সেকেন্ড তাকিয়ে থাকা। এই নিয়মটি মেনে চললে চোখে অনেক আদ্রতা থাকে এবং চোখের উপর চাপ পড়ে না।