কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে হয় দেখুন.. খুব সহজেই…!

প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদেরকে যে বিষয়টি বলবো সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমরা সবাই বিদ্যুৎ ব্যাবহার করি। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের নিত্যদিনের অনেক কাজই হবে না। এটি আমাদের জীবনের একটি মৌলিক চাহিদা হয়ে গেছে! এখন কথা হচ্ছে আমরা যেহেতু বিদ্যুৎ ব্যাবহার করছি সেহেতু এটার জন্য প্রতি মাসেই আপনাদেরকে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হয় । এটা করতে ব্যাবহার এর ওপর ভিত্তি করে। সাধারণত আমরা দেখি একজন রিডার (যিনি বিদ্যুতের মিটার রিডিং করেন) কিছুদিন পরপর এসে মিটার থেকে কিছু লিখে নিয়ে যায় আর কয়েকদিন পর বিল এর নোটিশ আসলে আমরা পরিশোধ করি। কিন্তূ আমরা অনেকেই এটা জানি না যে কিভাবে বিদ্যুৎ ব্যাবহারের হিসাব করা হয়। আজকের পোস্ট তাদের জন্যই যাদের বিদ্যুতের বিল এর হিসাব সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা নেই।
আমরা অনেকেই মনে করি বিদ্যুৎ বিল এর হিসাব করা একটা ঝামেলার বিষয়। কিন্তূ প্রকৃতপক্ষে এটা খুবই সহজ একটা কাজ। যদি আপনি একবার এটা হিসাব করার নিয়মটা জানেন তাহলে এটা আপনার কাছে খুবই সহজ একটা বিষয় মনে হবে। আর এর জন্য আপনাকে মিটার এর রিডিং সম্পর্কে আর সাথে বিদ্যুতের দর জানলেই হবে।
আগের মিটারগুলো ছিল অ্যানালগ। সেখানে একটা চাকতি বারবার ঘুরত এবং কতগুলো সংখ্যা পরিবর্তন হতো। কিন্তূ বর্তমানের মিটারগুলো সব ডিজিটাল মিটার। এখানে কিছুক্ষণ পর পর কয়েকটি ডিজিট ভাসতে থাকে। KW, KWH ইত্যাদি প্রদর্শিত হয় কয়েক সেকেন্ড পর পর। আপনাকে মনে রাখতে হবে যখন KWH ভাসে, তখন ঐ নম্বরগুলো ই হচ্ছে ব্যবহারকৃত ইউনিট যেইগুলো দিয়েই বিল হিসাব করা হয়। যেমন মিটারে যদি উল্লেখ থাকে 50 KWH, তাহলে আপনার ব্যবহৃত ইউনিট হচ্ছে ৫০। এখন ধরি প্রতি ইউনিটের দাম যদি ৪ টাকা করে হয় তাহলে ৫০ ইউনিটে হবে ৫০*৪ = ২০০ টাকা। এখন এই KWH আপনার মোট ব্যাবহৃত ইউনিট দেখাবে। অর্থাৎ আপনার বিদ্যুৎ ব্যাবহারের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যাবহৃত মোট ইউনিট গুলো দেখাবে। তখন সেইক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার চলতি মাসের হিসাব বের করতে চান তাহলে বর্তমান রিডিং থেকে পূর্ববর্তী রিডিং বাদ দিতে হবে। যেমন আপনার বর্তমান মিটার রিডিং ৩৪৪৩ KWH , আর আগের মাসের রিডিং ৩৩৫০ KWH. তাহলে আপনার বর্তমান মাসের হিসাব হচ্ছে ৩৪৪৩-৩৩৫০ = ৯৩ KWH. এখন বিল হিসাব করলে পাওয়া যাবে:
৯৩*৪= ৩৭২ টাকা (৪টাকা/ইউনিট ধরে)
অর্থাৎ আপনার ঐ মাসের বিদ্যুৎ বিল আসলো ৩৭২ টাকা। কিন্তূ বাস্তবে এমনটা হয় না। এর মাঝে একটু নিয়ম আছে।

যেমন ১-৫০ KWH পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য ৪ টাকা/ইউনিট। কিন্তূ ৫০ KWH এর পরে দাম ৬টাকা/ইউনিট। সুতরাং সে হিসেবে প্রথম ৫০ ইউনিটের দাম ৫০*৪= ২০০ টাকা। আর বাকি থাকে ৯৩-৫০= ৪৩ ইউনিট। এবার এই ৪৩ ইউনিটের হিসাব হচ্ছে ৪৩*৬= ২৫৮ টাকা।
এখন মোট হলো ২০০+২৫৮= ৪৫৮ টাকা। তার সাথে ডিমান্ড চার্জ ২৫ টাকা , মিটার ভাড়া ১০ টাকা (এগুলি ফিক্সড) ভ্যাট ৬/৭% এই সব মিলিয়ে মোট হলো ৪৫৮+২৫+১০+৩২ = ৫২৫ টাকা।

তো বন্ধুরা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে বিদ্যুতের বিলের হিসাব করতে হয়।
সবাই ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ সবাইকে পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য……

Related Posts