বিশ্বের বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল। কারণ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ফুটবল খেলে।কিন্তু এই ফুটবলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়। আর এই দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবলে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল সংস্থার নাম সাফ। এই সাফ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করে কিন্তু এরপরও দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অথবা এশিয়া কাপ বাছাইয়ে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু একসময় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এবং বাংলাদেশ সোনালী অতীত পার করছিল যেমন ভারত ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েও খেলেনি এর প্রধান কারণ ছিল তারা জুতো পড়ে খেলবে না। আর স্বাধীনতার পরে আমাদের বাংলাদেশ একবার এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আরও বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া হলো ফলাফল করেছিল বাংলাদেশ।এইভাবে বাংলাদেশও অনেক সুনাম ফুটবলে অর্জন করেছে। কিন্তু বর্তমানে চিত্র আলাদা।ফুটবলে বেশ কয়েক বছর বেশ বাজে পারফর্ম করছে বাংলাদেশ।এর জন্য প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয় খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠন আবার এই ফুটবল পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে দেখা হয় ক্রিকেটকে। কিন্তু যদি আমরা ইংল্যান্ডের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই তারা সব খেলাতেই পারদর্শী যেমন তারা ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এবং গত ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট। ফুটবলে পিছিয়ে পড়ার আসল কারণটা কি। আসল কারণ হলো সারা বিশ্বব্যাপী দেশগুলো যেভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে উন্নত মানের ফুটবল লিগ তৈরি করেছে সেদেশের ক্লাবগুলো ফুটবল একাডেমি তৈরি করে ভালো ফুটবলারদের খুঁজে বের করতে সহযোগিতা করেছে সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে আছে। ফুটবলার তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ফুটবল একাডেমি। কিন্তু এই ফুটবল একাডেমি তৈরি করবে কারা ফুটবল ফেডারেশন নাকি পেশাদার ক্লাবগুলো। যদি আমরা চীনের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই তাদের ছোট বড় 22000 ফুটবল একাডেমি তৈরি করেছে তাদের ফুটবল ফেডারেশন।কিন্তু এই চীন কবে বিশ্বকাপ খেলেছে আমি জানিনা আমার দেখা ৪ বিশ্বকাপে তাদের উপস্থিতি দেখতে পাইনি। যদিওবা এখন তাদের পেশাদার লিগের ক্লাব গুলো ফুটবল একাডেমি তৈরি করেছে।এই যদি আমরা স্পেনের দিকে তাকায় তাদের প্রত্যেকটি ক্লাবের এই অত্যাধুনিক ফুটবল একাডেমি রয়েছে।বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের জাদুকর খ্যাত লিওনেল মেসি ও স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ফুটবল একাডেমি লা মাসিয়ায় ট্রেনিং নিয়েছিল।কিন্তু বাংলাদেশ কোন পেশাদার ফুটবল ক্লাবের অত্যাধুনিক ফুটবল একাডেমি নেই।যদি ক্লাবগুলো ফুটবল একাডেমি তৈরি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিত্তিতে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারত তবে বাংলাদেশও ভালো ফুটবলার তৈরি করতে পারত।বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যর্থতার কারণে স্টেডিয়ামে তেমন দর্শক থাকে না। কিন্তুু একসময় দর্শকে পরিপূর্ণ থাকত স্টেডিয়াম। কারণ তখন ফুটবল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে দেশের ফুটবল।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে যা দেশের খেলার ফলাফলে প্রভাব ফেলছে যদি দেশের পেশাদার ফুটবল ক্লাবগুলো নিজস্ব একাডেমী তৈরি করে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে পারতো তবে বাংলাদেশেও অনেক ফুটবলার তৈরি হবে। আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব হলো সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করে নেওয়া জাতীয় দলের জন্য সেরা কোচিং স্টাফ তৈরি করে রাখা,দেশের উন্নত মানের পেশাদার ফুটবল লিগ চালু করা যাতে করে দেশের মানুষ ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। পেশাদার লিগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উচিত প্রত্যেকটা দলের জন্য আলাদা জেলার একটা করে স্টেডিয়াম প্রস্তুুত রাখা স্টেডিয়ামগুলোো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পানি নিষ্কাশনেের ব্যবস্থা করা পেশাদার লিগের জন্য ভালো স্পন্সর খুঁজে বের করা পেশাদার লিগের খেলাগুলো যেকোনো একটা অথবা দুইটা টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং দুইজন করে নারী ধারাভাষ্যকার নিয়োগ দেওয়া উন্নত মানের ক্যামেরা ব্যবহার করা ইত্যাদি। এইসব করলে দেশের ফুটবলে আকর্ষণ বাড়বে মানুষের। আর ভালো মানে ফুটবলার তৈরি করতে পারলে সাফল্য ফিরে আসবে ফুটবলে। ফিরে আসবে দেশের ফুটবলের সোনালী অতীত।
এক নজরে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের বিজয়ী তালিকা- ভাগ= ১ঃ (১৯৩০-১৯৭৮)
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের নাম আমরা কে শুনিনি!!! অনেকে দেখেওছি। আবার অনেকে এটা দেখেই ফুটবলের প্রেমে পড়েছি!!! তো বন্ধুরা, আজ আমরা...