হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ
আমি ও ভালো আছি। আজ আমাদের বলবো শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শৈশব, কৈশোরে
তারুণ্য, যৌবনে ঘুমের চাহিদা আলাদা। আলাদা যুক্ত রাষ্ট্রের একটি জাতীয় স্বাস্থ্য
বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান। বয়স অনুযায়ী
ঘুমের নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যশনাল ফাউন্ডেশন ১৮ জন
গবেষকের একটি দল এই বয়স ভিত্তিক
ঘুমের নির্দেশনা তৈরি করেছে। এই পরামর্শ পত্র তৈরি করার সময় তারা ঘুমের সঙ্গে স্বাস্থ্যের উপকারিতা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি গুলো যাচাই করেছেন। আপনার যদি কিছু দিন ধরে
ঘুম কম হয় তাহলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। বিভিন্ন কাজ এ মনোভাব কমে যাবে। এবং উদ্বেগও বেড়ে যেতে পারে।
যদি ঘুম কম হয়। তাহলে ডায়বেটিস, উচ্চ
রক্তচাপ ও মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এবং বেশি ঘুমালেও স্বাস্থ্যের
ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
বয়স অনুযায়ী ঘুমের পরিমাণ:৬-৯ বছর
বয়সী শিশুদের রাত ৯-১১ ঘন্টা ঘুমানো
প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঠিকমতো ঘুমালেও হবে। ১০-১৭ বয়সীদের ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
তবে নিয়মিত ৭ ঘন্টা ঘুমালে ও চলতে পারে। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেই প্রায় ১১ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘন্টার বেশি ঘুমালে
তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দলটির গবেষণায়। বলা হয়েছে। সারকাডিয়ান বা দেহ ঘড়ির প্রভাবে টিনেজারদের একটু রাত করে ঘুম পায়। এবং তারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চাই। আবার অনেকেই ছুটির দিনে
ঘুম পুষিয়ে নেওয়ার কথা চিন্তা করে। কিন্তু আসলে বাকি ঘুম কখনো পুষিয়ে নেওয়া যায় না। ১৮-৬৪ বছর বয়সী মানুষের প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর প্রয়োজন। তবে কারো কারো নিয়মিত ৬ ঘন্টা ঘুমেও সব। ঠিক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এই ছিলো বয়স অনুযায়ী ঘুমের পরিমাণ।