- আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি আপনাদের সাথে আজকে আলচনা করব আমার লেখা একটি অভিযান গল্প।গল্পটা আশা করি আপনাদের আনন্দ দেবে। চলেন শুরু করা যাক-

*ক্যাপ্টেন শাহাদাত এর মৃত্যুপুরী অভিযাত্রা : পর্ব-১
সময়টা ছিল ১৯৮২ নাকি ১৯৮৩। তখন শাহাদাত ছিলেন মাত্র ২১ বছর।তিনি পেশায় জাহাজের ক্যাপ্টেন হতে চেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন টা পূরণ হয় ১৯৯৩ সালে অর্থাৎ তার ৩০ বছর বয়সে। তার পূর্বে তিনি নাবিক হয়ে অনেক দু:সাহসিক অভিযান করেছিলেন। ক্যাপ্টেন হওয়ার পরেও তিনি একবার অভিযান করেছেন হাওয়াই নামক এলাকার উত্তপ্ত সাগরে। কিন্তু তার জীবনের সবচাইতে দু:সাহসিক এবং ভয়ংকর অভিযাত্রা ছিল ১৯৯৬ সালের হাওয়াই নর্থপোল অঞ্চল।
দিনটি ছিল ১৯৯৬ সালের ২৬শে মে,তখন উত্তর মেরূতে বরফে ঢাকা। তিনিসহ ১৮ জন অভিযাত্রীরা সেখানে দূর্ঘটনায় আটকা পরা মানুষদের উদ্ধার করার মিশন নেয়।তারা জাহাজে চেপে আটলান্টিক হয়ে ওই স্থানের দিকে রওনা দেয়।যাত্রার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি হয়েই গিয়েছিল। জাহাজ যখন বন্দর ছাড়বে তখনই এক্টা দু:সংবাদ আসে অভিযাত্রীদের জন্য। জাহাজ কে সরাসরি আফ্রিকান মধ্য সাগরের পার ঘেঁষে না গিয়ে উত্তর দিকে বেকে যেতে নির্দেশ আসছিল। কিন্তু জাহাজ ততক্ষণে বন্দর ছেড়ে দিয়েছিল, ফলে তাদের আর জানানো হয়নি। ঘটনাটা তেমন গুরুতর বলে মনে হয়নি জাহাজপথ পরিচালনাকারীদের । কিন্তু এই অবহেলাটায় ছিল ওই অভিযাত্রীদের জন্য ভীষণ অভিশাপ।
জাহাজ ধীরে ধীরে গতিশীল হতে লাগল। জাহাজে ক্যাপ্টেন শাহাদাত এবং তার বাকি চার বন্ধুরা মিলে একটি কেবিনে বসে ছিলেন।তাদের মধ্যে সিনিয়র আর্মি মেজর আল-আমিন , ক্যাপ্টেনের ছোট বেলাকার বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নকিব গেরেই,বিশিষ্ট দক্ষ নাবিক হার্বাট এবং একজন দক্ষ লেখক জর্জ মাহমুদেন।
জাহাজের ক্ষিপ্রগতি প্রখর হতে হতেই বেলা ফুরিয়ে আসছিল এবং বন্দরতীর দিগন্তের সাথে মিলিয়ে হারিয়ে যেতে লাগল।জাহাজ বন্দর থেকে ১১.১৫ তেই ছাড়া পেয়েছিল।
জাহাজ বঙ্গোপসাগরের মাঝে আসতে আসতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা অতিবাহিত করেছিল।
অর্থাৎ সে সময়টি ছিল দুপুর ২.৩০।———–০————–
আশা করি গল্পটা আপনাদের অনেক ভাল লাগবে।
এটি একটি অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী। আরো অনেক চমকপ্রদ কিছু নিয়ে আসব আপনাদের সামনে
গল্প টা প্রায় ১৩-১৪ পর্বে শেষ হবে।
এটা কোন বিদেশি কাহিনি অবলম্বনে নয়,এটা আমারি ভাবনায় খেলে যাওয়া কাহিনি
গল্পটা ভাল লাগলে শেয়ার করবেন বন্ধুদের মাঝে।
কাহিনির মাঝে ও শেষে রোমাঞ্চকর এবং ক্যাপ্টেনের দুঃসাহসিকতার পরিচয় উল্লেখিত হবে।
আশা করি সবাই অপেক্ষায় থাকবেন আগামি পর্বগুলার।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজসূর্য আস্তে আস্তে পশ্চিম দিকে হেলে পড়তে লাগল।
আটলান্টিক সাগরে যেতে তখন ১৭ দিন বাকি।
জাহাজ ভারতীয় উপসাগরের মধ্য দিয়ে চলতে লাগল
জীবন ছায়া (গল্পের পঞ্চম পর্ব )
অনিক চিঠিটা পরে বার বার বলছে এ হতে পারেনা মনে হয়, পৃথিবীর সমস্ত কষ্ট বরফ হয়ে হৃদয় নামের ফ্রিজটাতে জমে...