জীবন ছায়া (গল্পের পঞ্চম পর্ব )

অনিক চিঠিটা পরে বার বার বলছে এ হতে পারেনা মনে হয়, পৃথিবীর সমস্ত কষ্ট বরফ হয়ে হৃদয় নামের ফ্রিজটাতে জমে গেছে |এযে বড় যন্ত্রণার বড় ব্যথার |সুমন বন্ধু আমার কত না কষ্ট পেয়েছে আমার এই অপরাধ লুকাবো কোথায় | অনিক সুমন  কে বার বার ফোন করে অনিক ফোন করার পরও সুমন ফোনটা ধরেনি |সুমন যে এত ক্ষনে শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে| তা একবারও অনিকে জানায়নি, অনিক জানেনা তার বন্ধু তাকে না জানিয়ে চলে গেছে|

অনিক তাড়াতাড়ি করে সুমনদের বাসায় যায় |বাসায় গিয়ে দেখে  তালা লাগানো |কি ব্যাপার চাচী আর সুমন চলে গেলে কোথায় গেলো ? অনিক রাস্তার মুড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ও ভাই তোমরা জানো কি সুমন আর চাচী ওরা কোথায়?লোকটি বলে ভাই তারা আজ সকালের ট্রেন ধরে গ্রামের বাড়ি চলে যায় |

অনিকের চোখের পানি ওর বুকটা ভিজে যাচ্ছে  মনে মনে হাজার হাজার কথা বুনছে সুমন তুই যদি আমায় একবার বলতিস তাহলে আমার সবটা তোকে দিয়ে দিতাম |(জীবন ছায়া)

তুই তোর ভালোবাসার প্রহর গুনা,হাজার স্বপ্ন দিয়ে নিভৃতে ঘেরা পাখিটি আমায় চেয়েছিলে দিতে, আমি পারবোনা আমি পারবোনা আজ নিতে, আমি সবটুকু দিতে চায় বন্ধু তোকে আমার সমীপে, যত্ন গড়া ভালোবাসা, অনন্ত হার সমাপ্তি আশা যাবেনা যাবেনা বন্ধু আর যাবেনা তোর হৃদয় থেকে |

অনিক  বিকেলের ট্রেন ধরে সুমনের গ্রামের বাড়িতে যায় |ঐখানে গিয়ে দেখে কান্না কাটি কি ব্যাপার  এইখানে কি হয়েছে অনিক একটু ভিতরে গিয়ে দেখে সুমনের হাত থেকে রক্ত পড়ছে | অনিক চিৎকার দিয়ে বলে ওঠলো এটা কি করলে সুমন এটা কি করলি তুই |

সুমন বলে অনিক ভাই আমার, তুই এসেছিস এতটা দেরি করলি কেন, ও তোর ত আজ গায়ে হলুদ, অনেক মজাকরছিস বুঝি |অনিক ভাই, তোর গায়ে মধ্যে হলুদ কোথায় অনিক তোর গায়ে হলুদ কোথায় আমি দেখতে পারছিনা | অনিক বলে, সুমন তুই চুপ কর,সুমন তুই এসব কি করিস|

সুমন বলে, বন্ধু আমার প্রাণের বন্ধু, এযে আমার হৃদয়ের আনন্দদের রক্ত বইছে, তুই চলে যা কাল তোর বিয়ে যা চলে যা, আমি আনন্দের সাগরে একটু ডুব দিতে চায় |তোর দেখতে হবেনা তুই চলে যা, তুই চলে যা এই বলে সুমন অজ্ঞান হয়ে গেলো |

সুমনের মা চিৎকার দিয়ে সুমন বাবা সুমন তোর কিছু হতে পারেনা |অনিক বলে,চাচী আমি সুমন কে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি, তুমি আমার সাথে চলো |

সুমনকে নিয়ে অনিক ও তার মা হাসপাতালে গেলো, ডাক্তার সুমনকে দেখে বললো সুমনের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক ওকে বাঁচাতে হলে  রক্ত দিতে হবে |অনিক বলে, ডাক্তার সুমন আমার কলিজা,ওকে বাঁচাতে যত রক্ত প্রয়োজন আমার শরীর থেকেই নিয়ে নিন |আমি আমার শরীরের সব রক্ত দিয়ে দিবো |

ডাক্তার বলে,ও বললে ত হবেনা আগে আপনার ও রোগীর রক্তের গ্ৰুপ মিলাতে হবে|অনিক বলে, ডাক্তার তাড়াতাড়ি করেন আমার বন্ধুকে বাঁচাতে হবে|

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন