আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই? আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে চলে এলাম কয়েকটি মজার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। চলুন দেখা যাক, মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া সেসব হাস্যরসাত্মক গল্পগুলো কেমন হতে পারে…
গল্প-১:- তিন বন্ধু মিলে জঙ্গলে হাঁটছিলো। হঠাৎ তাদের
সামনে একটা পরী এলো।
পরী : তোমরা একটা করে ইচ্ছার কথা বল, আমি তোমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করে দেব।
বন্ধু ১ : আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আর বড়লোক বানিয়ে দাও।
পরী : এই নাও এক্ষুণি দিলাম।
বন্ধু ২ : আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে হ্যান্ডসাম
ছেলে আর কোটিপতি বানিয়ে দাও।
পরী : হুম, দিলাম।
বল্টু : এই দুইজনকে আবার আগের মত করে দাও..
গল্প-২:- খুব দূরন্তপনা এক ছেলে ছিলো এ শহরে; নাম ফাহাদ (ছদ্মনাম)। বয়স এখনো ২০ পেরোয়নি, তার বিয়ে করার শখ জেগেছে। তার পরিবার,সমাজ, কেউই এখন মানবেনা তার বিয়ের ব্যাপারটা। কারণ, ছেলে একটা ভালো পজিশনে চাকরী করতে না পারলে এ সমাজ মনে করে তার কপালপোড়া; বিয়ে/টিয়ে তো অনেকদূরের কথা।
কিন্তু ফাহাদ সেটা মানতে রাজি নয়। সে তার সহকারী হিসেবে তার কয়েকটা বন্ধুকে রাজি করায়, সে কোর্ট ম্যারেজে করবে আর তাকে সাহায্য করতে হবে।
যথাসময়ে তার পছন্দ করা মেয়েটিকে নিয়ে হাজির হলো কোর্টে। বন্ধুদের আসার জন্য ফোন করছে ফাহাদ। কিন্তু কারও সাড়া নেই। তাহলে এখন কি হবে! কিভাবে সাক্ষী ছাড়া বিয়েটা হবে!
যা হোক, সে তার হবু বউকে বলছে,
– তোমার কোন পরিচিত নেই?
– হ্যাঁ আছে তো।
– তাহলে তাদের মধ্য থেকে কাউকে অন্তত আসতে বলো, যারা আমাদের বিশ্বাস ভাঙবেনা..
– আমার পরিচিত বলতে যে আছে, তাকে ফোন দেব?
– হ্যাঁ দাও.. এক্ষুনি একটা দরকার আছে বলে ডাক দাও..
– দেখো, আবার ক্ষতি হতে পারে..
– আরে কিসের ক্ষতি! আসতে বলো..
– দেখো, তিনি কিন্তু এসে আবার সমস্যাও করতে পারেন, বয়সে বড় আমাদের।
– আরে ডাকো তো.. বেস্ট ফ্রেন্ড তো তোমার? নাকি অন্যকিছু?
– আরে হ্যাঁ, বেস্ট ফ্রেন্ডই তো.. অনেকদিনের ভালো সম্পর্ক আমাদের…
– আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে, ফোন দাও উনাকে। বাকিটা আমি দেখবো..
– আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোন দেওয়ার মিনিট বিশেকের মধ্যেই এসে পৌঁছালো হবু বউয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড; তার বাবা..
গল্প-৩:- সদ্য বিবাহিত গ্রামের ছেলেটা তার শহুরে বউয়ের সাথে সকাল বেলার নাস্তা খাচ্ছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষে উচ্ছিষ্টাংশগুলো ফেলতে যাচ্ছিলো। কিন্তু দেখা যায় যে, সে বাড়িতে কোন ডাস্টবিন নেই। কি আর করার, এখন তো বাড়ির বাইরেই সেগুলো ফেলে আসতে হয়…
ময়লাগুলো নিয়ে বাইরে যাবে ওইসময় ছেলের মা তাকে ডেকে বলে, “বউমা, মানুষজন দেখেশুনে ময়লা ফেলিও..”
অতঃপর শহুরে বউ বাড়ির বাহিরে যায় ময়লা ফেলতে। হঠাৎ বাড়ির ভেতরের লোকেরা কিছু কথা কাটাকাটি শুনতে পায় বাহিরে…
তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখে, ছেলের বউ ময়লাগুলো এলাকার এক মুরুব্বীর গা বরাবর ফেলেছে..
এমন বেয়াদবি কেন করলো জানতে চাইলে বউটা বলে, “মা, আপনিই তো বললেন মানুষজন দেখে মারতে। আমি আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলাম..”
শাশুড়ি বলে, “বুঝেছি মা, বুঝেছি। শুধুমাত্র বই-পুস্তকের জ্ঞানই মানুষকে জ্ঞানী বানায়না..”