গ্যাস্ট্রিক নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়াটা খুবই কঠিন।গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশের কমন একটি রোগ।আসলে এটা কোনো রোগ নয়।এটা সাধারন্ত বদ অভ্যাসের কারনে হয়ে থাকে।ঠিক মতো খাবার না খেলে,তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে এ সমস্যা হতে পারে।
কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
একদিনে হয়তো এটা পুরোপুরি নিরাময় করা যাবে না।কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি এসিডিটি মুক্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
আসুন দেখে নেই নিয়ম গুলো কি কিঃ
√প্রতিদিন একই সময় তিন বেলা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
√তৈলাক্ত খাবার যথা সম্ভব বর্জন করতে হবে।যদি তা না ও পারেন সমস্যা নাই।তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
√যদি সাইনাসের সমস্যা না থাকে তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানি খান।খুব বেশি ঠান্ডা পানি যেনো না হয়।তবে গরম পানি না খাওয়াই ভালো।
√মাংস,ডিম,বিরিয়ানি, মোঘলাই,চাইনিজ খাবার যাই খাই না কেনো সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন।রাতের খাবারটি যেনো হয় হালকা টাইপের।শাকসবজি ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের খাবার খান।
√ভাত খাবার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন।তারপরে ভাত খান।আমরা অনেকেই খাবার পরেই অনেক বেশি পানি খাই।এটা কিন্তু ঠিক না।ভাত খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।
√প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলে ও যেনো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন।সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসাবে কাজ করবে।অর্থাৎ আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।এতে গ্যাস তৈরি হবে না যেমনঃ শাক সবজি,কলা,ঢেড়শ।
√সরাসরি গ্লোকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান।তাও যদি খেতে হয় চেষ্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পুরুন করতে।
√বাজারে পাওয়া যায় দেশি তৈরি সমস্ত জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।
√অনেকেই আছে খাবার খাওয়ার পরেই শুয়ে থাকতে পছন্দ করে।এটা ঠিক নয়।কিছুক্ষন আস্তে আস্তে হাটা চলা করতে পারেন,অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে।খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর শুতে যান।
√দেশে তৈরি আইসক্রিম অনেকে রাতে খাওয়ার পর খেতে পছন্দ করেন।এটা খাওয়া বর্জন করুন
√কখনো খালি পেটে থাকবেন না।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করুন।পানি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।
এই নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।আশা করি আস্তে আস্তে আপনার এসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।